Posts

উপন্যাস

Darkman

July 1, 2025

taher khan

73
View


 

সাদের ঘর কাঁপছিল চিন্তার ভারে। সে নিখোঁজদের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছিল। হঠাৎ দরজার ঘণ্টা বাজল।


 

দরজা খুলতেই ঢুকল তার পুরনো বন্ধু আব্বাস।


 

আব্বাসের চোখে ছিল এক অদ্ভুত উন্মাদনা, আর মুখে চাপা একটি খবর।


 

 আব্বাস বলল,শহরে যা হচ্ছে, তা বলার মতো না, সাদ।

পুলিশের তো কোনো মাথাব্যাথাই নেই। ওরা যেন হাত গুটিয়ে বসে আছে।


 

সাদ:

(একটু থেমে) সবার দ্বারা সব হয় না, আব্বাস।

কিন্তু সত্যি বলতে, ওদের কাছে হাত-পা বাঁধা আছে।


 

আব্বাস:

হয়তো তাই। কিন্তু এই কিডন্যাপার কোনো ক্লু রাখে না—মাটির নিচে হাত বুলিয়ে খুঁজলেও কিছু পাওয়া যায় না।

কোনো সাক্ষী, কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট, কিছুই না।


 

সাদ:

(গভীর নিঃশ্বাস)

যে কেউ এত নিখুঁত হতে পারে! এটা একটা দক্ষতা না, এটা একটা পাগলামি।


 

আব্বাস:

আমরা যত খুঁজি, ততই বুঝি, ওর দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।

একটা হাওয়া, একটা ছায়ার মতো শহরের মধ্যে বিচরণ করছে।


 

সাদ:

আসলে, ওকে ধরা মানে এই খেলায় জয়।

আমাদের হাতে সময় নেই, আব্বাস।

সাদ আর আব্বাস একরাত পিজ্জার দোকানের পিছনে ছোট্ট কক্ষে বসে ছিল।

লক্ষ্য করল—নিখোঁজ হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির কোনো ক্লু নেই।


 

“যত খুঁজি, ততই হতাশা,” সাদ বলল।

“ক্লু বলতে কিছুই নেই—নিখোঁজের কোনো জায়গায়, কোনো সময়ের সাক্ষী নেই।”


 

আব্বাস মাথা নেড়ে বলল, “কিডন্যাপার এত নিখুঁত, যে সে যেন আরেকজন ছায়া—সবকিছু গোপন করে রাখে।”


 

“এই গেমটা আমাদের ওপর একটা বড়ো খেলায় পরিণত হয়েছে,” সাদ বলল, “আর আমরা এখনও শুরুর দিকে।”


 

পরের দিন সকাল বেলার নরম আলো শহরের অন্ধকার কোণাগুলো একটু হালকা করেছিল।

কিন্তু সাদ আর আব্বাসের মনে অন্ধকার কিছু কমেনি।


 

দুজনেই আবার পিজ্জার দোকানের ছোট ঘরে বসে ছিল।

সাদ বলল, “গত রাতে চার বাড়ি ঘুরেও আমরা কোনো ক্লু পাইনি।

ডার্কম্যান এমন নিখুঁত যে, সে যেন এক ছায়ার মতো শহরের মধ্যে বেঁচে আছে।”


 

আব্বাস মাথা নাড়িয়ে বলল, “আমাদের সময় কম, সাদ।

শহরের লোকেরা ভয়াবহ আতঙ্কে, আর পুলিশ ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছে।


 

৷৷৷৷        দৃশ্যপট বদল৷৷  

ঘন কুয়াশা ভেদ করে দেখা যায়—একটি পরিত্যক্ত কারখানা।

ভেতরে পুরনো একটা ঘরে টেবিলের ওপর চারটি ছবি ছড়িয়ে আছে—ফারুক, নিশাদ, রুমী, মেহেদী।


 

একটি অজানা লোক (মুখ দেখা যায় না) ছবিগুলোর ওপর লাল মার্কার দিয়ে একটি করে চিহ্ন আঁকে।

তার নিঃশ্বাস ভারী, যেন প্রতিটি দাগেই সে উপভোগ করছে নিজের কাজ।


 

টেবিলের পাশে একটি ছোট ক্যাসেট প্লেয়ার বাজছে—কোনো অদ্ভুত ধ্বনি, বোঝা যাচ্ছে না ভাষা।


 

হঠাৎ সে একটি নতুন ছবি তোলে।

আলো ফ্লিকার করে।


 

ছবিতে একজন পুরুষ — মুখ কিছুটা ঝাপসা, কিন্তু দেখলে মনে হয়... সাদ?


 

কিন্তু আমরা নিশ্চিত না।

দর্শকের মনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়:

এই লোকটি কি সাদ?

নাকি কারো ছদ্মবেশে সাদকে টোপ বানানো হচ্ছে?


 

লোকটি ছবির নিচে লিখে দেয়:

"পরবর্তী"


 

ক্যামেরা ধীরে ধীরে পিছিয়ে যায়।

দেয়ালে ঝুলছে আরও অনেক ছবি—যাদের আমরা এখনো দেখিনি।


 

রাত গভীর।

দোকানের ঝাপ নামিয়ে দিয়েছে সাদ।


 

এক কোণে বসে, নিঃশব্দে সিগারেট ধরিয়েছে।

ধোঁয়া ঘরের অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে,

আর সে তাকিয়ে আছে তার বোর্ডের দিকে—

সেই লাল সুতোয় বাঁধা চারটি নাম, চারটি ছবি,

আর আজ নতুন করে সে খুঁজে বের করেছে—

তাদের পেশা।


 

ফারুক: স্থানীয় এক স্কুলে গণিতের শিক্ষক।

নিশাদ: একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

রুমী: স্বাধীন সাংবাদিক, সম্প্রতি এক অদ্ভুত আর্টিকেল লিখেছিল।

মেহেদী: সরকারি অফিসের হিসাব বিভাগের কর্মচারী।


 

সাদ ফিসফিস করে বলে উঠল,

“চারজন, চার পেশা।

কেউ কাউকে চেনে না।

কাজের ধরনও আলাদা।

তাহলে মিল কোথায়?”


 

সিগারেটের ছাই পড়ে যায় মেঝেতে।

সে চুপচাপ উঠে গিয়ে বোর্ডের সামনে দাঁড়ায়।

প্রতিটি ছবির নিচে লিখে ফেলে পেশা।

তবুও, কিছু মেলে না।


 

আব্বাস এসে দাঁড়ায় পেছনে।

বলল, “কোনো মিল পেয়েছো?”


 

সাদ মাথা নাড়ল, “না। কোনো স্পষ্ট সংযোগ নেই।

তবে একটা অদৃশ্য লাইন আছে,

আমি বুঝতে পারছি... কিন্তু ধরতে পারছি না।”


 

আব্বাস কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল।

তারপর বলল, “হয়তো পেশা নয়...

তাদের অতীত?”


 

সাদের চোখে আলো জ্বলে উঠল।



 

---সাদ এবার ঠিক করে, আর অনুমানের ভেতর থাকলে চলবে না।

যাদের হারানো হয়েছে, তাদের প্রিয়জনদের সাথে কথা বললেই সত্য বের হবে।


 

সে প্রথমে যায় ফারুকের বাড়ি।

তার স্ত্রী বলে,

“ফারুক তো কারো সঙ্গে মেশার মানুষই না ছিল... বন্ধু বলতে আমিই ছিলাম।”

তার চোখে জল।

“কিন্তু ওই রাতের আগেও কিছু অস্বাভাবিক হয়নি।”


 

সাদ এরপর যায় নিশাদের পরিবারের কাছে।

তার ছোট ভাই বলে,

“ভাইয়া অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকত। মাঝে মাঝে মানসিক চাপ থাকত, কিন্তু কারও সঙ্গে ঝামেলা ছিল না।”


 

রুমীর মা বলেন,

“ও খুব সাহসী মেয়ে ছিল। কারো কাছে মাথা নত করত না। কিন্তু শেষ কিছুদিন কেমন যেন ভয় পেয়ে গিয়েছিল।”


 

মেহেদীর বাবাও বলেন,

“আমার ছেলে তো সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরত। যে দিন নিখোঁজ হলো, সেদিনও কিছু অদ্ভুত ছিল না।”


 

চারটা পরিবার। চার রকম মানুষ।

কিন্তু একটা মিল—তারা কেউই কাউকে চিনত না।


 

সাদ বোঝে, তার সমস্ত ধারণা ভেঙে যাচ্ছে।

এই খুনের পেছনে কোনো উদ্দেশ্য নেই, নেই কোনো রাগ, প্রতিশোধ, অতীত।


 

শুধু আছে—খেলা।

একজন মানুষের খেলা, যিনি মানুষ মারেন, কারণ সেটাই তাকে আনন্দ দেয়।



 

রাত গভীর হয়ে গিয়েছিল।

সাদ আর আব্বাস কথার ভেতরেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল।


 

সাদ হঠাৎ ঘুম ভাঙল সকালে, ফোনের কাঁপুনি আর গলার শব্দে—

“সাদ ভাই! শহরের দক্ষিণের গলিতে… আপনি একবার আসেন… এটা… এটা… দেহ না, এ যেন নরকের চিত্র।”


 

সাদ দ্রুত জামা গায়ে চাপিয়ে ছুটে যায়।

আব্বাস পেছনে।



 

---


 

দৃশ্যপট বদল — শহরের দক্ষিণ গলি


 

লোকজন থমকে দাঁড়িয়ে, কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে রেখেছে।

পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে।


 

একজন মানুষের দেহ পড়ে আছে—

মাথা শরীর থেকে আলাদা।

চোখ খোলা, তবে চিরতরে নিথর।


 

চোখের ওপরে লাল কালি দিয়ে কিছু লেখা —

“আমি সব দেখি, কিন্তু কেউ আমাকে দেখে না।”


 

তার পাশেই পড়ে আছে একটা ছোট কাগজের নোট —

ভাঁজ করা।

পুলিশ ছুঁতে দেয় না।


 

কিন্তু সাদ নিজের চেনাশোনার জোরে সেটা একঝলকে দেখে ফেলে।

তাতে লেখা:

“এটা প্রথম নয়, শেষও নয়। এবার তুমি খেলবে, সাদ?”


 

আব্বাস ধীরে ফিসফিস করে,

“সে জানে তোর নাম। সে তোকে খেলায় টানছে।”


 

সাদের ঠোঁট শক্ত হয়ে যায়।

এই প্রথম, তার চোখে ভয় নয়, আগুন।


 

সাদ ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে থাকে।

পুলিশের চাকা ও চিৎকার দূর থেকে শুনতে পাওয়া যায়।

কিন্তু তার মন অন্য কোথায়।


 

সে হাতজোরে নোটটা বারবার পড়ে:

“এটা প্রথম নয়, শেষও নয়। এবার তুমি খেলবে, সাদ?”


 

তার চোখে ভয় নেই, কিন্তু চিন্তার ঝড়।

“এই খুনি কে? কেন আমাকে টার্গেট করছে?” সে নিজেকে প্রশ্ন করে।


 

আব্বাস এসে পাশে দাঁড়ায়, বলে,

“সাদ, ওর খেলা শুরু হয়েছে। তোর পেছনে একটা ছায়া আছে, যা শুধু তোরই চোখে ধরা দেয়।”


 

সাদ ধীরে ধীরে বোঝে, এটা শুধু খুনের গল্প নয়।

এটা একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।


 

সে সিদ্ধান্ত নেয়—

“আমার উচিত এগিয়ে যাওয়া, নতুবা আমি হারিয়ে যাব।”



 

---


 

পর্বের শেষ দৃশ্য:


 

সাদ নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে কুয়াশার শহরে পা দেয়।

চোখে দৃঢ়তা, মুখে অদম্য সংকল্প।


 

পেছনে একটা ছায়া সরাসরি তাকিয়ে থাকে।

কিন্তু সাদ সেটা দেখতে পায় না।



 

সাদ রাতদিন তদন্ত চালিয়ে ক্লু খুঁজে বেড়ায়।

শহরের কল্পনাপ্রসূত গলির বাইরে, এক ধুলোময় পথ ধরে পৌঁছে যায় সে এক পরিত্যক্ত কারখানায়।


 

কারখানার প্রাচীরগুলো ফাটা, জানালা ভাঙ্গা।

ভেতরে প্রবেশ করতেই একটা নি:শব্দ কাঁপুনি অনুভব করে সাদ।


 

তার হাতে একটা পুরানো ফটোকপি, যেখানে একটি অস্পষ্ট চিহ্ন দেখা যায়।

সে বিশ্বাস করে, এখানেই ডার্কম্যানের কোনো গোপন রয়েছে।


 

ভেতরে ঢুকে ধীরে ধীরে কারখানার অন্ধকার গহ্বরে প্রবেশ করে সাদ।

সে শুনতে পায় তার নিজের নিঃশ্বাসের শব্দ।


 

হঠাৎ পেছন থেকে বাজে এক ভয়ানক শব্দ—কেউ আছে।


 

সাদ ঠাণ্ডা মনে পেছনে ফিরে দাঁড়ায়।

তবে সেখানে কেবল ছায়া—একটি লম্বা, অদ্ভুত ছায়ামূর্তি।


 

সে বুঝতে পারে, ডার্কম্যানের খেলা এখন আরো জটিল ও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।



 

---


 

পর্ব শেষ দৃশ্য:


 

সাদের চোখে ভয় নয়, বরং নতুন সংকল্প।

“এবার সত্যি সত্যিই লড়াই শুরু,” সে ফিসফিস করে।


 

কারখানার ভেতর ঢুকতেই সাদ একটা অদ্ভুত ঠান্ডা অনুভব করে।

চারপাশে নীরবতা এতটাই গা ছমছমে, যেন শব্দগুলোও মরতে ভয় পায়।


 

হাতের ফোনটা বের করে লাইট জ্বালায়।

আলোর রেখা সামনের দেওয়ালে পড়ে—

ছোপ ছোপ রক্ত!


 

সাদ ধীরে ধীরে এগোয়।

পায়ের নিচে ভিজে কিছু কিছকিছ করে ওঠে।

সাদ নিচে তাকায়—রক্ত। এখনো তরল। তাজা।


 

আরও এগিয়ে গিয়ে হঠাৎ দেখতে পায়—

একটা বড় টেবিল,

আর তার ওপরে ছড়ানো ছিন্নভিন্ন দেহের অংশ!

হাত, পা, মুখ… সব অদ্ভুতভাবে সাজানো।


 

সাদের চোখে চিনে ফেলে ফারুক, নিশাদ, রুমী, মেহেদীর দেহাংশ।

গলা শুকিয়ে আসে। সে পেছিয়ে যেতে চায়… ঠিক তখনই…


 

ক্ল্যাং!

একটা শব্দ, যেন লোহার কিছু পড়ে গেল।


 

সাদ তৎক্ষণাৎ লাইট তাক করে শব্দের দিকে দৌড়ে যায়।

সামনে দাঁড়িয়ে আছে—

একজন লম্বা লোক, কালো হুডি, মুখে মাস্ক।

তার চোখ জ্বলজ্বল করছে।

চোখে কোনো রাগ নেই, কোনো চিন্তাও না—

শুধু খেলছে।


 

সাদ ধীরে ধীরে বলে, “তুই-ই ডার্কম্যান…”


 

লোকটা কিছু বলে না।

আচমকা কাছে এসে এক ঘুষিতে সাদকে মাটিতে ফেলে দেয়।

সাদের মাথা ঘুরে যায়, মুখে রক্ত উঠে আসে।


 

সে বুঝতে পারে…

তার মরণ এখানেই।


 

আরেকটা ঘুষি, আরও জোরে।

চোখে অন্ধকার নেমে আসে।

সব কিছু নিস্তব্ধ।



 

---


 

দৃশ্যপট বদল — শহরে


 

আব্বাস বারবার সাদকে ফোন করছে।

"দোস্ত, ফোনটা তো ধর!"

তবে ফোন কেবল বেজে যায়।


 

অন্য পাশে দেখা যায় সাদের ফোন —

কারখানার মেঝেতে পড়ে আছে।

স্ক্রিনে ভেসে আছে:

“আব্বাস কলিং…”


 

কিন্তু ফোন তুলার কেউ নেই,

শুধু এক ভয়ানক নীরবতা,

আর দূরে কোথাও কিছু হাসির শব্দ…




 

এরপর সকাল হলে সে দেখে সে একটা রাস্তার মাজে শুয়ে আছে। সে উঠেই প্রথমে তার বারিতে যায় সেখানে আব্বাস ছিল। আব্বাস জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? কোতায় ছিলি?

সাদ সব বলে দেয়।আব্বাস বলে তকে মারেনি এটাই 

অনেক। আর এগুলোর মধ্যে জড়াস না।

সাদ রেগে বলে তর ইচ্ছে হলে আমার সাথে থাক নাহলে চলে যা,  আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।

তারপর আব্বাস একটু চুপ থাকার পর বলে আমিও তর সাথে থাকব।সাদ এ কথা শুনে এটা শুনে মুচকি দেয়।



 

তারপর তারা বেরিয়ে পরে সেই কারখানার উদ্দেশ্যে।

গিয়ে তারা ডার্কম্যানকে পায়না কিন্তু সেই লাশগুলো সেখানেই ছিল।

তারা দেখতে পায় একটা দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা, 


 

"তুই যা দেখিস তা সবাই দেখতে পায়না সাদ।"


 

সাদের পায়ের নিচে পরে থাকে একটা পুরনো নকশার পাথর। সে সেটা তুলে নেয়। তখন তার মোবাইলে টেক্সট আসে তাতে লেখা," তুই এখন খেলায় আছিস, এখন খুজবি আমি কেন খেলছি।"





 

অন্ধকার রাত। কিন্তু সাদের ঘুম নেই সে বসে সেই পাথরটিকে দেখছে। সে একটা জিনিস লক্ষ্য করে পাথরের মাজে ছোট করে একটা চিহ্ন,।তার মনে হয় এটা সে আগেও দেখেছে। আব্বাস বিছানায় ঘুমাচ্ছিল উঠে জিজ্ঞেস করে এটা কিসের চিহ্ন? 

সাদ বলে জানি না।

তারপর সাদ ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করে একটা ব্লগের মধ্যে তার চোখ আটকায়। একটা পুরনো সিমেন্ট ফ্যাক্টরির মধ্যে পাথরের ক্ষুদাই করা চিহ্নর মতই একই চিহ্ন। সাথে সাথে সে চলে যায় সেখানে। 

পাথরটা ঘরে রেখে যায় চর আব্বাস সেখানেই ঘুমাচ্ছিল।  


 

রাত ১টা।

জলধারা ব্রিজের পাশে একটা পুরনো, ভাঙা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে দাঁড়িয়ে সাদ।


 

চাঁদের আলোয় তার মুখ দেখা যায় না,

কিন্তু চোখ—স্পষ্ট, তীক্ষ্ণ।


 

ভেতরে ঢোকে।

চিপচিপে অন্ধকার, কাঠ আর মরিচার গন্ধ।


 

হঠাৎ একটা আওয়াজ—

ঠক… ঠক… ঠক।

সাদ টর্চ জ্বালিয়ে এগোয়।


 

হঠাৎ একটা বড় কক্ষে ঢুকে সে থমকে দাঁড়ায়।



 

---


 

ঘরের এক কোণায় একটা পুরনো আয়না।

আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে গিয়ে হঠাৎ সে চমকে যায়।


 

আয়নার ভেতর দাঁড়িয়ে আছে…

সে নিজে নয়, আরেকজন।

একজন লোক, কালো হুডি, মুখে মাস্ক, ঠাণ্ডা চোখ—ডার্কম্যান।


 

সাদ সাথে সাথে পিছনে তাকায়—কেউ নেই।


 

আবার আয়নায় তাকায়—ডার্কম্যান তাকিয়ে আছে সরাসরি তার চোখে।

হঠাৎ আয়নার ভেতর লোকটা হাত তুলে দেখায় —

একটা আঙুল দিয়ে ঠোঁটে ‘চুপ’ চিহ্ন।


 

আর সাথে সাথে আয়নার কাচ ফেটে যায়।



 

---


 

একটাই শব্দ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে —

“সাদ...”


 

একটা ভাঙা দেওয়ালের পাশ দিয়ে ডার্কম্যান বেরিয়ে আসে, ধীরে ধীরে হেঁটে আসে সাদের সামনে।


 

দুজনের মাঝখানে ১৫ ফুট দূরত্ব।


 

সাদ পকেট থেকে  ছুরি বের করে বলে:

“তুই শেষ। এবার কেউ তোর খেলায় থাকবে না।”


 

ডার্কম্যান হাসে, কণ্ঠ বিকৃত, কিন্তু তীক্ষ্ণ:

“তুই ভাবছিস আমি খেলছি? না দোস্ত…

তুই খেলছিস, আমি শুধু নিয়ম বানাই।”


 

এরপর ডার্কম্যান চোখের পলকে ধোঁয়ার ভেতর মিলিয়ে যায়।


 

সাদ দৌড়ে যায়, কিন্তু কিছুই খুঁজে পায় না।

শুধু একটা ছোট চিরকুট পড়ে আছে মেঝেতে—

ভেজা রক্তে লেখা:


 

> "Level Three: তোমার মধ্যেই আমি লুকানো আছি।"


 

ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে আসে সাদ।

চারদিকে ঘন কুয়াশা।

তার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই লাইন:


 

> "তোমার মধ্যেই আমি লুকানো আছি।"




 

তার মাথায় বাজে প্রশ্ন—

ডার্কম্যান কি তার কাউকে চিনে?

কিংবা সাদ নিজেই কি কোনওভাবে এর সঙ্গে জড়িত?



 

---


 

🎬 দৃশ্যপট বদল — আব্বাস


 

রাত ২টা।

আব্বাস ঘরে বসে পাথরটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে।

হঠাৎ সে লক্ষ্য করে — পাথরের নিচে খোদাই করা এক ছোট লেখা—


 

"ঐশ্বরিক কক্ষ – 07X"


 

সে দ্রুত ইন্টারনেট ঘেঁটে পায়, এটা ছিল এক পুরাতন মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রের এক সিক্রেট কক্ষ,

যেখানে মানসিক রোগীদের বিশেষ ভাবে রাখা হতো।

এখন তা পরিত্যক্ত।


 

ঠিক তখনই সাদের ফোনে একটি মেসেজ আসে —

অজানা নম্বর থেকে।

তাতে একটি ছবি—

এক অচেনা লোকের মাথা কাটা দেহ, আর পাশে তার পরিবারের কান্না।

ছবির নিচে লেখা:


 

> "Level Three Completed."


 

সকালে আব্বাস আর সাদ রওনা হয় পুরনো "ঐশ্বরিক কক্ষ" মানসিক হাসপাতালের দিকে।

সাদ আজ আর আগের মতো ভয় পাচ্ছে না।

তার চোখে জেদ, কিন্তু মুখে স্তব্ধতা।


 

গাড়ির ভিতর আব্বাস বলে,

“তুই কি ভাবিস… ডার্কম্যান আগে এখানেই ছিল?”


 

সাদ চুপচাপ জানালার বাইরে তাকায়।

“সে হয়তো এখানেই শুরু করেছিল… অথবা আমরাই ভুলে গেছি সে কে।”



 

---


 

🎬 দৃশ্যপট — মানসিক হাসপাতাল


 

এক বিশাল, জীর্ণ বিল্ডিং।

দেয়ালে ফাটা পেইন্ট, ভেতরে ছারপোকার গন্ধ।


 

তারা ভেতরে ঢোকে।

দেয়ালে পুরনো রোগীর ছবি, ফাইল ছেঁড়া, ছাদের ছাঁদ নড়বড়ে।


 

হঠাৎ সাদ একটা ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ায় —

কক্ষ 07X।


 

দরজা হালকা খোলা।


 

দুজন ভেতরে ঢুকে দেখে ঘরটা খুব অদ্ভুতভাবে সাজানো—

দেয়ালের এক পাশে একটা পুরনো চেয়ার ও আয়না।

দেয়ালের চারপাশে লাল কালি বা রক্ত দিয়ে আঁকা অনেক বাক্য—


 

> "সে মিথ্যে বলে।"

"আমাকে থামানোর কেউ নেই।"

"আমার ছায়া আমার একমাত্র বন্ধু।"




 

ঘরের এক কোণে পড়ে আছে একটা পুরনো ফায়।


 

ফাইলে নাম লেখা—

"রুগী: কে. ডি. মান (KD Man)"

নিচে ছোট করে লেখা:


 

> "মনস্তাত্ত্বিক বিকার: উচ্চ মাত্রার শিথিল নৈতিকতা, ব্যথা উপভোগের প্রবণতা,

বিভ্রান্তি ও বাস্তবতা মিশ্রিত কল্পনার আশ্রয়।"




 

সাদ ফাইল বন্ধ করে চুপ হয়ে যায়।

ফাইলের শেষ পাতায় একটা বাক্য চোখে পড়ে:


 

> "সে এখানেই আছে। সব সময় ছিল। হয়তো তুমিও..."


 

সাদের মাথায় কিছু আসছিলো না।মানসিক হাসপাতালের পুরনো স্টোর রুম।

ধুলো জমে থাকা একটা লোহার আলমারি।


 

আব্বাস বলে, “এইটা দেখ দোস্ত, তালা কাটা।”

সাদ ধীরে ধীরে দরজা খোলে।


 

ভেতরে পুরনো রিপোর্ট, ফাইল আর একটা ছোট চামড়ার বাঁধাই ডায়েরি।


 

সাদ ধুলো মুছে নাম দেখে—

“নিজের জন্য লেখা – কেডি মান”


 

সে ডায়েরি খুলে পড়ে।

হাতের লেখা অগোছালো, মাঝে মাঝে কাঁপানো, কোথাও কোথাও রক্তের ছাপ।



 

---


 

📖 ডায়েরির পৃষ্ঠা 


 

> “আমি একা নই। আমার ছায়া আমার সঙ্গে কথা বলে।

মা বলে, আমি ভালো ছেলে।

কিন্তু ছায়া বলে, 'তুই দেখ, কিভাবে সবাই মিথ্যে।'”




 

> “আজ এক ডাক্তার আমাকে জোর করে ইনজেকশন দিলো।

আমি চিৎকার করলাম।

তারা হাসলো।

তখন আমি শিখলাম—চুপ থেকেও প্রতিশোধ নেওয়া যায়।”




 

> “আমি একদিন আয়নার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

হঠাৎ দেখলাম, আমি না—আমার ছায়া আমাকে দেখে হাসছে।

সেই দিন আমি তাকে নাম দিলাম—

ডার্কম্যান।

সে কথা বলে না, সে কেবল চায় — ন্যায়বিচার, কিন্তু ওর পথে।”





 

---


 

সাদ ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠা পড়ছে—


 

> “যদি কেউ এটা পড়ে, জেনে নিও আমি মরে যাইনি।

আমি ছায়ায় বেঁচে আছি।

আর যখন ছায়া জেগে উঠে, তখন মানুষ ঘুমিয়ে যেতে বাধ্য।

সে শ্বাস নিতে চায়… অন্যের ভিতর।”





 

---


 

সাদ ডায়েরি বন্ধ করে নিঃশ্বাস ছাড়ে।

তার হাতে কাঁপুনি।

আব্বাস তাকিয়ে বলে,

“এই লোকটা... আগে মানুষ ছিল। আর এখন...?”


 

সাদ ফিসফিস করে বলে,

“এখন সে ছায়া হয়ে গেছে।

আর ছায়া কাটা যায় না, পুড়ানো যায় না,

শুধু সামনে আলো ফেলতে হয়।”




 

---


 

হঠাৎ এক বিকৃত কণ্ঠে হাসি ঘরের ভেতর প্রতিধ্বনিত হয়।


 

"Welcome back, Sād. Mirror doesn’t lie."


 

দেয়ালের আয়নায় তাদের পেছনে দেখা যায় এক ছায়া,

যার মুখে হুডি, মুখ ঢাকা, চোখ জ্বলছে।



 

সাদ ডায়েরিটা একা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে।

আলো নিভিয়ে দেয়।

শুধু জানালার ফাঁক দিয়ে একটা আলো এসে পড়েছে তার মুখে।


 

আব্বাস বাইরে অপেক্ষা করছে, কিন্তু সাদ দরজা খুলছে না।



 

---


 

🎬 দৃশ্য — সাদের ঘর


 

ডায়েরিটা খোলা।

সাদ আবার একটা লাইন বারবার পড়ছে—


 

> “ছায়া কাটা যায় না, পুড়ানো যায় না...

শুধু সামনে আলো ফেলতে হয়।”




 

সে আয়নার সামনে দাঁড়ায়।

নিজের চোখের দিকে তাকায়।

কিছু সময় পর সে আর নিজের চোখ চিনতে পারে না—

চোখে যেন আরেকটা মুখ।


 

"তুই ভাবিস, তুই আলাদা?"

একটা কণ্ঠস্বর ভেসে আসে মাথার ভিতর থেকে।

"তোরও তো রাগ হয়। তুইও তো ঘৃণা করিস। তুইও তো শেষ করতে চাস!"


 

সাদ হঠাৎ গলা জোরে চিৎকার করে—

“আমি খুনি না! আমি খুনি না!”


 

সে হুঁশ ফিরে পায়—ঘরে একা।



 

---


 

🎬 অন্যদিকে — আব্বাস


 

আব্বাস হাসপাতালের পুরনো ডাক্তার নার্সদের কাছে আবার যায়।

এক বৃদ্ধ নার্স তাকে বলে:


 

> “আমরা ওকে পাগল ভাবতাম।

কিন্তু একটা ঘটনা ঘটার পর সে হারিয়ে গেল।

এক রোগীকে নাকি শ্বাসরোধ করে মেরেছিল…

কেউ বিশ্বাস করেনি।

আমরা শুধু জানতাম, একদিন সে ফিরবে।”




 

আব্বাস জিজ্ঞাসা করে,

"তার নাম ছিল কী?"

নার্স চুপ করে থাকে।

তারপর বলে—

"কালের তালিকায় লেখা নেই, কিন্তু ও বলত তার নাম একদিন সবাই জানবে।

ও বলত—'আমি ডার্কম্যান, ছায়া আমার ধর্ম।'"



 

রাত ১২টা।

শহরের এক প্রান্তের এক পুরনো লাইব্রেরি।

লালচে আলোয় ঝাপসা দেয়াল আর কাঠের তাক।


 

সাদ আর আব্বাস সেখানে এসেছে এক পুরনো সরকারি ফাইল খুঁজতে।

এই লাইব্রেরিতেই রাখা আছে মানসিক হাসপাতালের পুরনো রেকর্ড।


 

সাদ নিচু গলায় বলে,

“যে রুগী ছিল ‘K.D. Man’ নামে… তার ফাইল কিছু না কিছু থাকবেই।”



 

---


 

🎬 লাইব্রেরির ভিতরে


 

আব্বাস খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ এক কাঠের তাকের পেছনে একটা ধুলোমাখা বাক্স পায়।

সাদ বাক্সটা খুলে দেখে —

পুরনো কেস ফাইল, ছবি, রেকর্ডিং ক্যাসেট।


 

তার মধ্যে একটা ফাইলে বড় করে লেখা:


 

> SUBJECT: K.D. MAN (Unregistered name)

Mental evaluation classified.

"Patient claims he speaks to his own shadow."

"Patient believes he is not one person."




 

সাদ ফাইল বন্ধ করে।

তার চোখ থেমে যায় একটা পুরনো পেজে—

এক শিশুর আঁকা একটা ছবি:

একটা মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, আর তার পেছনে ছায়াটা রক্ত লাল।



 

---


 

🎬 হঠাৎ পরিবর্তন…


 

সাদ আর আব্বাস বেরিয়ে আসে লাইব্রেরি থেকে।


 

বাইরে হালকা কুয়াশা।

গাড়িতে উঠতে যাবে, ঠিক তখনই ফোনে একটা ভিডিও মেসেজ আসে।


 

অজানা নাম্বার।


 

সাদ প্লে করে।


 

ভিডিওতে দেখা যায়—

একজন মানুষকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

সে ছটফট করছে।

ক্যামেরার সামনে একজন ধোঁয়ার মধ্যে থেকে বলে:


 

> “তুই কি অতীত খুঁজছিস, সাদ?

ওকে খুঁজিস না… ও তো এখনকার কেউ না।

ও তো শুধু একটা ছায়া—

আর ছায়া কখনো ভুল করে না।”




 

ভিডিও থেমে যায়।





 

রাত ৩টা।

সাদের ঘরে নিস্তব্ধতা।

সে গভীর ঘুমে।


 

বাইরে হালকা বৃষ্টি, জানালার কাঁচে টিপ টিপ শব্দ।

ঘরের মধ্যে শুধু ঘড়ির টিক টিক আওয়াজ।


 

হঠাৎ জানালাটা আস্তে করে খুলে যায়...

কেউ যেন ঢুকেছে।


 

ঘরে ধোঁয়াটে ছায়া।

একটা সাদা মুখোশ।

কালো পোশাক।

ডান হাতে কালো দস্তানা।


 

ডার্কম্যান।


 

সে সাদের বিছানার পাশে দাঁড়ায়।

চোখ মেলে না সাদ, কিন্তু শরীর হঠাৎ একটু কেঁপে ওঠে।


 

ডার্কম্যান পকেট থেকে একটা ছোট চিরকুট বের করে বিছানার পাশে রেখে দেয়।


 

তারপর ধীরে ধীরে দেয়ালের কাছে যায়—

সাদা চক দিয়ে আয়নার পাশে লেখে:


 

> “তুই যাকে খুঁজছিস, সে তোকে খুঁজে পেয়েছে আগেই।”




 

তারপর সে চলে যায়।

জানালা আবার নিঃশব্দে বন্ধ হয়।



 

---


 

🎬 পরের দৃশ্য — সকাল


 

সাদ ঘুম থেকে উঠে চিরকুট দেখে চমকে ওঠে।


 

চিরকুটে লেখা:


 

> “সবাই জানে তুমি সত্যি বলছো না।

আজকের শিকার: রক্তের সম্পর্কের বাইরের কেউ… কিন্তু কাছের।”




 

সাদের বুক কেঁপে ওঠে।


 

সে আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে কালো চক দিয়ে লেখা বাক্য।

সে হালকা কাঁপতে কাঁপতে দেয়াল ছুঁয়ে ফেলে।


 

তার মনে হয়,

ডার্কম্যান এখানে ছিল।

তার খুব কাছেই।




 

সাদ নিজের ঘরে বসে চিরকুটগুলো আবারও দেখে।

সে বুঝতে পারে, ডার্কম্যান শুধু খুন করছে না, একটা বার্তা পাঠাচ্ছে —

একটা কঠিন, গোপন খেলায় তাকে টেনে নিচ্ছে।



 

---


 

🎬 তদন্তের শুরু


 

সাদ সিদ্ধান্ত নেয়—

সে পুলিশে নির্ভর করবে না। নিজের মতো তদন্ত করবে।


 

সে শুরু করে নিখোঁজ চারজনের জীবনের খোঁজ।

তার ফোনে খবর আসে—এক জন তার কাজের জায়গা থেকে হঠাৎ অদৃশ্য!


 

সাদের মনে হয়, “ডার্কম্যানের তালিকা বাড়ছে।”



 

---


 

🎬 আব্বাসের সাথে কথা


 

সাদ আব্বাসকে ফোন দেয়, সতর্ক করে:

“তুই নিজের দিকে খেয়াল রাখ। মনে হচ্ছে ডার্কম্যান আমাদের কাছে আসছে।”


 

আব্বাসও বুঝতে পারে, এবার ঘটনা শুধু নিখোঁজের নয়, মৃত্যু খুব কাছাকাছি।



 

---


 

🎬 সন্ধ্যেবেলা


 

সাদ বাইরের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ভাবছে—

“এই খুনগুলো কী একটা বড় ষড়যন্ত্রের অংশ?

এই ডার্কম্যান কি শুধু একটা নাম, না একটা দুষ্ট শক্তি?”


 

সাদ একা বসে ছিল, রাত গভীর।

হঠাৎ তার ফোনে আবার একটি ভিডিও আসে —

অজানা নম্বর।

একটা ভারি নীরবতা, তারপর ভিডিও চালু হয়।



 

---


 

🎬 ভিডিও শুরু


 

ডার্কম্যান বসে আছে একটা অন্ধকার ঘরে।

তার মুখে সেই কালো মাস্ক, পাশে একটা রক্তমাখা ছুরি।


 

ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সে ধীরে বলে—


 

> “তুই খুঁজছিস কেন, সাদ?”


 

“তুই ভাবছিস আমি বদলা নিতে এসেছি?

আমি তো কষ্ট পাই না। কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদে।

আমি হাসি।”




 

সে একবার হেসে উঠে, ঠান্ডা। ভয়ঙ্কর।


 

> “মানুষ নিয়ম বানায়, আইন বানায়।

কিন্তু তারা নিজেরাও জানে না কারা এসবের যোগ্য।

আমি যাচাই করি—কে বাঁচবে, কে মরবে।

আমি আইন না, আমি তার ওপরে।”




 

ক্যামেরা ঘুরে যায়—পেছনে একটা চেয়ারে কেউ বাঁধা।

তার মুখ বেঁধে রাখা। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল।


 

ডার্কম্যান বলে:


 

> “পরের রক্ত তোর ঘাড়ে, সাদ।

তুই খুঁজিস, অথচ সময়মতো পৌঁছাস না।

তুই নায়ক হতে চাস, অথচ ছায়া দেখিস না।

আমি তো শুধু ছায়া… তোর ছায়া।”




 

ভিডিও বন্ধ।



 

---


 

🎬 সাদের প্রতিক্রিয়া


 

সাদ নিঃশব্দে বসে রইল।

তার চোখে এখন ভয় নয়—একটা নিরব সিদ্ধান্ত।


 

সে উঠে দাঁড়াল।

বলল, “তুই নিয়মের বাইরে?

তাহলে তোকে শেষ করব নিয়ম ভেঙেই।”





 

     

Comments

    Please login to post comment. Login