রক্তে লেখা গদ্য আমি, ছাইয়ে ভেজা শ্লোক,
স্বপ্ন ছিঁড়ে বানাই তীরে কাঁচের মতো শোক।
ভয় পেলে পালাও, আমি দহনের কবিতা,
পঙ্ক্তি আমার—মৃত্যুর ঢাক, পাপের উৎসবিতা।
কলম আমার আগুনখোর, কালি আমার ক্ষয়,
ছিন্নমস্তা আত্মারা ফিসফিসিয়ে কয়—
"এ কাব্য নয়, এ শবদেহে লিপিবদ্ধ লাশ,
যেখানে শয়তানও শ্বাস নেয় শ্বাসরুদ্ধ আশ্বাস।"
ভস্মে গড়া পাঁজরে বাজে বিষাক্ত ছন্দ,
গণদাহর গণশোকের জ্বলে ওঠা শব্দ।
ঘুম পেও না—ঘুমের ভেতর আসব যে আমি,
পাঠ করাবো পাপের শ্লোক, চোখে দেখাব নারকীয় কাহিনী।
কে তুমি? কেন ভাবো, কবিতা মানে ফুল?
আমি ছুঁই, আমি জ্বলি কারণ জন্মানোটায় ভুল।
এ বাক্য আমার নয়,শয়তানেরও নয়,নয় মানুষের,
এই ধ্বংসের বানী নিয়ে এসেছে নরক নগরীর দূত।
শব্দ নয়—অভিশাপ, ছন্দ নয়—ধ্বংস,
যে কবিতা পড়ে শয়তানো করে মিনতি,
সেই কবিতার লেখক আমি নারকীয় কবি।