যেসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের এলজিবিটিকিউ বিষয়ক বই পড়তে দিতে চান না, তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে দেওয়া এই রায়টি দেশটির রক্ষণশীল অভিভাবকদের জন্য একটি বড় আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছে, এলজিবিটিকিউ থিমযুক্ত বইয়ের ক্ষেত্রে যদি অভিভাবকদের ধর্মীয় কারণে আপত্তি থাকে, তাহলে স্কুলগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের এ ধরনের বই পড়তে বাধ্য করতে পারবে না। ৬ জন বিচারপতি এই রায়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে তিনজন উদারপন্থী বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের মন্টগোমেরি কাউন্টি পাবলিক স্কুলে এলজিবিটিকিউ বিষয়ক বই পড়া সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। এই নীতির বিরুদ্ধে ৬ জন অভিভাবক মামলা করেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা অভিভাবকদের সমর্থনে বলেছেন, ২০২২ সালে মন্টগোমারি কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য গৃহীত একটি পাঠ্যক্রম তাদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করেছে। অভিভাবকরা না চাইলে শিক্ষার্থীদের জোর করে এলজিবিটিকিউ বই পড়তে বাধ্য করা যাবে না।
এদিকে রক্ষণশীল অভিভাবকেরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস পালনের অধিকারকে রক্ষা করে। ফলে তাদের সন্তানদের জন্য আপত্তিকর মনে হয় এমন বই পাঠ থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার অধিকারও রয়েছে।
উল্লেখ্য, এলজিবিটিকিউ থিমযুক্ত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে রবিন স্টিভেনসনের লেখা এবং জুলি ম্যাকলাফলিনের আঁকা ‘প্রাইড পাপি!’, ড্যানিয়েল হ্যাকের লেখা এবং স্টিভি লুইসের আঁকা ‘প্রিন্স অ্যান্ড নাইট’ এবং ট্রিনিটি নিল, ডিশান্না নিলের লেখা ও আর্ট টুইঙ্কের আঁকা ‘মাই রেইনবো’।
এই বইগুলোর লেখক এবং ইলাস্ট্রেটররা পেন আমেরিকার মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, শিশুদের বইয়ের ক্ষেত্রে এলজিবিটিকিউ থিমযুক্ত বইগুলোকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা বৈষম্যমূলক এবং ক্ষতিকারক। এই সিদ্ধান্ত এলজিবিটিকিউ শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করবে।
সূত্র: কিরকাস