উপন্যাস
নীলাঞ্জনার ফিরে আসা
অমল সরকার
(প্রথম পর্ব)
হিমাদ্রীর কি যে হয়েছে কেউ ধরতে পারেনা। যে মানুষ টি কে কেউ কোন দিন চিন্তা করতে দেখে নি, সে এখন সব সময় গভীর চিন্তামগ্ন থাকে। যার মুখে লেগে থাকতো পৃথিবীর অপার হাসি, তার মুখটা এখন থাকে রাশভারী।
মা বিষয়টি মানতে পারছিলনা। সকালে নাস্তা দেওয়ার সময় জিগ্যেস করে
--- হিমু।
--- মা।
--- আচ্ছা তুই আমায় একটা কথা বলতো?
--- কি কথা মা?
--- কিছু দিন ধরে দেখছি তুই খুব চিন্তা করিস, আমায় কুলে বলবি তোর কি হয়েছে?
নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করে মুখে এক চিলতে জোড় করে হাসি ফুটিয়ে বলে
--- কই? না তো। আমার কিচ্ছু হয়নি মা।
--- নারে, তুই লুকানোর চেষ্টা করছিস। নে নাস্তা খেয়ে নে। হিমাদ্রি রুটি ছিড়ে মুখে দিয়ে বলে
-- মা, তুমি তো আমার মা। আমাকে নিয়ে খুব ভাবো, তাই এমনটি মনে হয়।
--- তোর আগের চেহারা আর বর্তমানের চেহারায় অনেক তফাৎ। দেখ বাবা মনে কষ্ট চেঁপে রেখে কিছু করতে চাইবিনা, এতে কষ্টের বোঝা বাড়ে কমেনা। মা মানষি ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। হিমাদ্রীর মা,র চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। হিমাদ্রীরা দুই ভাই এক বোন। বাবা লোকনাথ রায় রিটায়ার্ড স্কুল মাষ্টার। মা গৃহিণী। বোন শেফালীর বিয়ে হয়েছে মাস ছয়েক হলো। নিজের মাস্টার্স ফাইনালের রেজাল্ট সামনের মাসে। ছোট ভাই ইন্টার ফাষ্টইয়ারে। ইদানিং বাবাকে খুব অসহায় মনে হয়। মা ও কেমন যেন দিন দিন মনের দিক থেকে দূর্বল হয়ে পড়ছে। মা বাবার স্বপ্ন হিমাদ্রী পাশ করার পর একটা চাকরি পেলে প্রাণ ফিরবে সংসারে। ছোট ভাই শ্যামলকে নিয়ে মা বাবা যতো টুকু না ভাবে তার চেয়ে বেশি ভাবে তাকে নিয়ে।হিমাদ্রী এসব নিয়ে বেশি টেনশন ফিল করে না।
75
View
Comments
-
Omol Sarkar 5 months ago
উপন্যাসটি আটপৌরে সাংসারিক জীবনের ঘটমান ঘটনায় ভেতরে ঘটা নিটল প্রেমের আখ্যান