স্ত*-নের বোঁ*-টায় জিভ ছোয়াতেই গা শিরশির করে উঠলো পারমিতার। অতনু যে পরিমাণ সুখ দিতে পারে তা রাজনের সাথে বিশ বছরের দাম্পত্য জীবনেও পায়নি সে। সুখী হবার অধিকার তার ও তো আছে। আচ্ছা পুরুষেরা যদি বাইরে সুখ কিনে নিতে পারে তবে নারীরা ভালোবেসে কেউ অ*র্ঘ্য নিবেদন করলে সেটা নিলেই পাপ এ কেমন হি*পো*ক্রেসি। এসব ভাবনা আজকাল প্রায়ই আসে পারমিতার। মাঝেমধ্যে মনে হয় অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেতেই কি সে এমন ব্যাখ্যা দাঁড় করায়।
পরক্ষণেই আবার মনে হয়, তা হবে কেন? কত মানুষ তো সংসার সন্তান এসবের মায়ায় জীবন পার করে দিচ্ছে মনের শান্তি ভুলে সকলের জন্য সব সুখ ত্যাগ করতে করতে...সে নাহয় একটু নিজের কথা ভাবলো তাতে খুব বেশি কি ক্ষতি হয়ে গেছে কারো!!!
অতনুর সাথে পরিচয়টা বেশ অদ্ভুত। সে যখন নিউমার্কেট থেকে মীনাক্ষীর বিয়েতে প্রেজেন্ট দেয়ার জন্য শাড়ি কিনছিলো ঠিক তার আগেই খুব সম্ভবত অতনু গোটা দশেক শাড়ি দেখে কনফিউশানে ভুগছিলো। হঠাৎ দোকানে এসে চটপট শাড়ি দেখে বাছাই করে যখন সে দামাদামি করে কিনে ফেলে বিজয়ীর বেশে বাড়ি ফিরতে নিলো, ঠিক তখনি এক্সকিউজ মি বলে অতনু অনুরোধ করলো যে তাকেও একটু হেল্প করার জন্য। পারমিতা বিস্ময় উপেক্ষা করে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে অতনুর রিকোয়েস্ট রাখার। অতঃপর চলে আসতে নিতেই কিছুদূর পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে, এককাপ কফি খাওয়া যাক তাহলে আপনারে অনারে বলে তার জবাবের অপেক্ষা না করেই কফিশপে অর্ডার দিয়ে দিলেন।
পারমিতা যারপরনাই লজ্জিত বোধ করলেও বেশ মজাও পাচ্ছিলো। এই মধ্য চল্লিশে এসে জীবনটা যখন পানসে মনে হয়, তখন এমন দুয়েকটা সারপ্রাইজিং ইনসিডেন্ট মন্দ নয়। কফি খেতে খেতে খুব সহজেই অনেক কথা হলো তাদের। যেন বহুদিন পর দুজন মানুষ প্রাণ খুলে কথা বললো। অতনুর এমন বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বেশ লাগলো পারমিতার। চিন্তাভাবনায় যথেষ্ট আধুনিক। রাজনের মত গোয়ার নয়। আচ্ছা তুলনাটা কি সেদিন থেকেই সে করতে শুরু করে দিয়েছিলো? এই প্রশ্নটা আজকাল প্রায়ই তার মাথায় ঘুরপাক খায়।
শাড়িটা অতবেছে কার জন্য কিনেছিলো অতনু!!! সেটা জানার জন্য ভেতরটা হাসফাস করছিলো। তাদের মধ্যে নম্বর এক্সচেঞ্জ হয়েছিলো কিন্তু অতনু যে কোনদিন কল দিবে তা পারমিতার মনেই হয়নি। সে ভেবেছিলো, হঠাৎ দেখা মানুষের সাথে যত দ্রুত বন্ধুত্ব হয় ঠিক ততই জলদি ফুরিয়ে যায়। আর তার মতো একজন মাঝবয়েসী নারীর জন্য তো কেউ পাগলামি করতে বসে নেই।
বয়সটাতো অতনুর ও কম নয়। পঞ্চাশোর্ধ বয়সে এসেও শুধুমাত্র নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন আর ব্যায়াম করেই নিজেকে ফিট রেখেছে। পারমিতাকে দেখেই কেন জানি খুব কনফিডেন্ট আর আধুনিক মননের অধিকারী মনে হয়েছিলো। তার বুদ্ধিদীপ্ত হাসি আর চাউনি কিছুতেই ভুলতে পারছিলো না অতনু। কত সহজেই তার সাথে মিশলো যেন কতদিনের পরিচিত।
ফোন দিবে কি দিবেনা ইতস্তত করতে করতে কলটা দিয়েই ফেললো অতনু। অতঃপর পারমিতার সাথে আলাপ আর ফের দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক। ছুটিছাটায় দেখা করা বেশ কঠিন কারণ রাজন বাড়িতেই থেকে একটু পরপর এটা সেটা খাবার বায়না করেন, আর তাও হতে হবে পারমিতার হাতের রান্না।কাজের ঠিকে ঝি আসে দুবেলা বাদবাকি কাজ সব করে যায়। কিন্তু রান্না খাবে কাজের লোকের হাতে, সেটা তার শ্বশুরবাড়ির কেউই মানতে পারেনা। রাজন ও তার ব্যতিক্রম নয়...কি প্রাচীনপন্থী বিচার এদের!!!
দেখা করার দিন সকাল থেকেই পারমিতার অস্থির অস্থির লাগছিলো। কি পড়ে যাবে? অতনু আবার কেন দেখা করতে চায়? সে কি পর*কী*য়া শুরু করবে? এসব ভেবেই সারা। উদ্যানের কাছে গিয়েই আরো বেশি বুক ঢিপঢিপ করছিলো। যেন সে কোন টিনএজ বালিকা, স্কুল ফাকি দিয়ে এসেছে...ধরা পড়লেই আর রক্ষে নেই। আসলে অনুভূতিগুলো বোধহয় একই থাকে শুধু উপযুক্ত মানুষটির সান্নিধ্যে তা অনুভব হয়।