আধেক তুমি, আধেক নৈঃশব্দ্য
অরণ্যের কোল ঘেঁষে হেঁটে চলে এক পাথুরে হরিণী, তার চোখে বসে থাকে বিস্মৃতির রৌদ্রছায়া—একটি ফেলে আসা জীবনের কাঁপা প্রতিচ্ছবি। যার শরীর জুড়ে শুকিয়ে থাকা জলপত্রে আঁকা তোমার নামহীন মুখ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা ঘাসেরা জানে রোদ একদিন আর ফিরে আসবে না—তবুও তারা দাঁড়িয়ে থাকে, যেন পিছু ফিরে তাকালেই তোমার ধোঁয়াটে পায়ের ছাপ ঝিকমিক করবে আকাশের পাতায়।
জল এখন আর কাঁদে না, তবুও প্রতিটি ঢেউয়ে থাকে অস্ফুট অনুরাগ—শীতঘুমে ঢাকা পদ্মফুলের নরম খোলসে জমে থাকে এক অনুচ্চারিত আকাঙ্ক্ষা; যদি কেউ কখনো নামে, সেই নিরালায়। তুমি চলে গেলে, তবুও হাওয়া এখনও পর্দা সরালে তোমার ঘ্রাণ ঝরে পড়ে আমার কবিতার খাতায়। কিছু শব্দ আজও থেমে আছে মগজের কোষে, যেমন দাঁড়িয়ে থাকে নামহীন কাকতাড়ুয়া ধূসর ধ্যানে।
এভাবেই আমি হয়ে উঠি একটা হিমে ঢাকা কাঠের জানলা, যার ওপারে নক্ষত্রেরা নড়ে—কিন্তু আলো ফোটে না আর কখনো।