পর্ব ৭: শেষ অধ্যায়—কে আসলে কোটিপতি?
রাকিব এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন টপ ছাত্র। সে একটা ছোট টিউশন সেন্টার খুলেছে বস্তিতে, যেখানে গরিব শিশুরা ফ্রি পড়াশোনা করে। তার স্বপ্ন শুধু নিজের জীবন বদলানো নয়—পাড়া, সমাজ, দেশ বদলানো।
অন্যদিকে, মেহেদী দেশে ফিরে এসে তার বাবার ব্যবসা না করে খুলেছে একটা এনজিও—“ভালোবাসা ফাউন্ডেশন”। সেই সংস্থা গরিব শিশুদের জন্য স্কুল, মেডিকেল ক্যাম্প আর জীবনের নানান প্রয়োজন মেটানোর জন্য কাজ করে।
তারা দুজন মিলে এখন আর একে অপরের বন্ধু না, বরং একে অপরের হাত ধরে সমাজ বদলে দিচ্ছে।
একদিন তাদের দুজনকেই ডাকা হয় একটি বড় অনুষ্ঠানে—যেখানে দেশের সেরা সমাজসেবীদের সম্মাননা দেওয়া হবে। তারা দুজন একই মঞ্চে, সামনে সাংবাদিক আর প্রচুর দর্শক।
সঞ্চালক হঠাৎ প্রশ্ন করলেন,
— “আপনারা একজন কোটিপতির সন্তান, আরেকজন বস্তির ছেলে। এখন কে আসলে কোটিপতি?”
মঞ্চে নীরবতা।
রাকিব হাসল।
— “আমার বন্ধুর মতো বড় মন, ভালোবাসা আর সাহস আমার নেই। ও-ই সত্যিকারের কোটিপতি।”
মেহেদী চোখ মুছল।
— “না, রাকিব হলো সেই মানুষ, যে নিজের কষ্ট ভুলে অন্যদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে। ও-ই আমার চোখে কোটিপতি।”
সবার চোখে জল।
দুই ছেলেকে দাঁড়িয়ে সবাই করতালি দিয়ে সম্মান জানায়।
আর হয়তো প্রথমবার শহর বুঝে নেয়—টাকা দিয়ে নয়, মন দিয়ে একজন মানুষ কোটিপতি হয়।