ছোট্ট গ্রাম কাশ্মীরপুর। গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা পুরনো বাড়ি, যেটা নিয়ে নানা রকম ভৌতিক গল্প ছড়িয়ে আছে। লোকজন বলে, ওই বাড়িতে কেউ রাতে থাকতে পারে না। কেউ থাকলেই অদ্ভুত আওয়াজ শোনে, কারও ঠাণ্ডা হাত তার গায়ে স্পর্শ করে, আর কখনও কখনও কালো একটা ছায়া তাকে অনুসরণ করে...
**রিয়াদ** ছিল সাহসী এক তরুণ। সে এসব গল্পে বিশ্বাস করত না। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে সে রাত কাটাতে গেল ওই বাড়িতে। বন্ধুরা বলল, "যদি সারারাত থাকতে পারিস, তাহলে আমরা তোমাকে পাঁচ হাজার টাকা দেব।"
রিয়াদ হেসে বলল, "আসো! ভূত-পেত্নী সব গল্প!"
সন্ধ্যা নামতেই সে বাড়িতে ঢুকল। ভাঙা দরজা, জালে ঢাকা জানালা, মেঝেতে পুরনো পাতায় ভর্তি। সে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘরের মাঝখানে বসে রইল। প্রথম কয়েক ঘণ্টা কিছুই হলো না। রিয়াদ ভাবল, "দেখলি তো? সব গল্প!"
কিন্তু ঠিক তখনই...
**টাপ... টাপ... টাপ...**
পেছন থেকে কারও পায়ের শব্দ! রিয়াদ পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে—কেউ নেই! তারপর হঠাৎই মোমবাতি নিভে গেল। অন্ধকারে কে যেন তার কানের পাশে ফিসফিস করে বলল, **"এখানে আমার লাশ... লুকিয়ে রাখা হয়েছে..."**
রিয়াদের গা কাঁটা দিয়ে উঠল! সে দৌড়ে দরজার দিকে গেল, কিন্তু দরজা যেন কেউ ভেতর থেকে আটকে দিয়েছে! তখনই সে দেখল, দেয়াল দিয়ে রক্ত ঝরছে... আর একটা সাদা কাপড় পরা মেয়ে তাকে সরাসরি তাকিয়ে আছে!
**"ওই বাড়ি থেকে রিয়াদের চিৎকার শোনা গেল... কিন্তু সকালে তাকে কেউ খুঁজে পেল না।**
বন্ধুরা পুলিশ নিয়ে এসে বাড়ি খুঁজে দেখল—বাড়ির নিচের মেঝেতে একটা পুরনো কাঠের তক্তা খুলতেই মিলল এক কঙ্কাল... যার হাতে ছিল রিয়াদের মোবাইল!
**কেউ জানে না, রিয়াদ কী দেখেছিল... বা সে কোথায় গেল।**
গ্রামবাসীরা বলে, **"ওই বাড়িতে এখনও কেউ গেলে রিয়াদের আওয়াজ শোনা যায়... 'এখান থেকে যাও! এখান থেকে যাও!'"**
---
**শেষ কথা:** রাত হলে কখনও অজানা জায়গায় যেও না... কারণ তুমি জান না, কে বা **কী** তোমার জন্য অপেক্ষা করছে! 👻
(গল্পটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলো না!)