নিঃশব্দ রাতে, চাঁদেরও আলো
মনে হয় আজ কেমন নিরালো।
চারপাশে মানুষ, তবুও শূন্যতা,
ভেতরে জেগে ওঠে একা এক অস্তিত্বতা।
আমি কি সত্যিই একা? নাকি এ এক খেলা,
চেতনায় চুপিচুপি ঢুকে পড়ে মেলা।
যেখানে আমিই দর্শক, আমিই অভিনয়,
আমারই মনে বাজে অনন্ত এক সুর – বিস্ময়।
সেই সুরে লুকায় কোনো অদেখা সত্তা,
যিনি বলেন না কিছু, তবুও দেন পথচলা রত্তা।
তাঁর হাত ধরে নিরবে হেঁটে যাই,
অন্ধকারেও আলো খুঁজি, চোখে জল চাপাই।
সৃষ্টিকর্তা—তুমি কি আছো? নাকি আমি ভাবি কেবল?
কিন্তু বিপদের দিনে কে রাখে আমায় অবিচল?
যখন সবাই ফিরিয়ে নেয় চোখ,
তখন কে বাঁচায়, কে বলে, “এখনো সব শেষ নয়”?
তুমি আছো, জানি, অন্তরের গভীরে,
শব্দহীন ভাষায়, অস্তিত্বের সীমানায় ধীরে।
আমার একাকীত্ব, আমারই সেতু হয়ে দাঁড়ায়,
তোমার দিকে ফেরে মন—চুপিচুপি হাত বাড়ায়।