গল্প
বৈষ্ণবীর কির্তন
অমল সরকার
,, বলো কে বা শুনেছে এমনো মধুর কথা,,,
চোখ বুজে হাতে কাঁশার জুড়ি বাজিয়ে উর্ধ্বে মুখ করে বৈষ্ণবী রাধকা রানী কির্ত্তন গেয়ে চলেছে।
বিশ বছর বয়েসে স্বামী নরেন পরলোকে চলে যাওয়া পর দরিদ্র ঘরের বৌ, ও দিকে বাবার বাড়িতে কিছুই নাই বললে চলে। পেটের দায়ে কির্ত্তন গেয়ে মানুষ যা দেয় নিজের পেট টা চালিয়ে নেয়।
গান শেষ করে রাধিকা রানী
--- দিদি এক গ্লাস জল দিবেন? এতোক্ষণ মনো যোগ দিয়ে শুনছিলো খগেন বাড়ির বৌ সহেলী পাশে দাঁড়ানো তার পচিশ বছর বয়েসি সুবল। এবার ঝিম কেটে যায় বৌর।
--- হ্যা্ঁ দিচ্ছি তুমি বারান্দায় বসো। কয়েক দিন পর পরই এবাড়ি এসে বৈষ্ণবী কির্ত্তন গায় চাল আলু কাঁচকলা বৌটি দেয়। সুবল বৈষ্ণবীর মুখের দিকে অপলকে তাকিয়ে কির্ত্তনীয়ার মুখের দিকে অপলকে তাকিয়ে আছে। বৌ জল নিয়ে এসে দেয়।বৈষ্ণবী জল পান করে। সুবল বলে
--- তুমি আবার এসো।
--- কতো গ্রামে যাই তাই ঘোন ঘোন আসা হয় না। তবে তুমি যখন বলছো আসবো।
রাধিকা দেখে সুবলের চোখের ভাষা কেমন যেন মায়াময় প্রেমসুধায় পরিপূর্ন। যা অন্য দশ টা পুরুষের মধ্যে নাই। সঠিক প্রেম।
67
View
Comments
-
Omol Sarkar 4 months ago
রাধিকা বৈষ্ণবী গানের ফাঁকে মন কিনে ফেললো