অনুষ্ঠানের সব কার্যকম শেষ হতে প্রায়ই ১:৪৪ বেজে গেছে, সবাই ক্লান্ত।তিহান মাইক হাতে নিয়ে আবেত পার্টি শুরু নাচ হবে এখন
নাচ........
ব্যাকরাউন্ড গান TERE VAASTE~~
Chaand Taaron se kaho
Adhi Thehre zara
Chaand Taaron se kaho
Ki Adhi Thehre Zara
Pehle Ishq Lada loon
Uske Baad Launga
Pehle Ishq Lada lon
Uske Baad Launga
Tere vaaste Falak se
main chaand Launge
Sola satrah sitaare
Sang Baandh Launge......
জিমরিম লাল নীল লাইটিং। একদল যুবগ গানের তালে নেচে মঞ্চ মাতিয়েছে। সবার পড়নে কালো টিশার্ট, প্যান্ট, কালো হুড্ডি অন্ধকারে মুখ দেখা যাচ্চে না।
সবাই বেশ ইনজয় করছে ওদের নাচ।
তোহা দেখ কি হ্যান্ডসাম আমি প্রেমে পড়ে গেছি।শশী তুই একেবারে মনের কথাটা বললি।উপস্থিত সব ছেলে মেয়েরাই এক দৃষ্টিতে চেয়ে।
আরিশী তিহানের দিকে তাকিয়ে...
-তিহানের বাচ্চা কোথা থেকে আনলি এদের।
-কেনরে তোরকি চয়েজ হয়ছে আরিশী, বড় আম্মুকে বলমু।আরিশী ডোন্ট কেয়ার ভাব নিল, কিছু বলল না।
একটা গান শেষ না হতেই আরেকটা গান বেজে উঠল, তারা নেচে যাচ্ছে...
job mujhse piya Roothe
Payel ke ghoongur Toote
Oh Naachke manaau piya re
Khan khan choodi khanke
Rahu Heer Teri Banke
Tu Raanjha Mere jiya Re
গানের তালে তালে নেচে যাচ্ছে এক দল যুবক সবাই আগ্রহে বসে আছে তাদের দেখার জন্য। নাচ শেষ হলেই তাদের দেখতে পারবে।
__________________________
আচমকা একটা কি জেনে আরিশীর মুখে এসে বাড়ি খেল,বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে গেলো, ব্যাথা পাইছে বেচারি, দেখতে লাগল কি পড়ল মুখে, নিচ থেকে কুড়িয়ে এনে দেখল হুড্ডি।
পর পর দুইটা গানে ডন্স করে তাদের খুবই গরম লাগছে তাই হুড্ডি খুলে ছুড়ে মারল।
শশী আর তোহাও একটা হুড্ডি পেলো দুজনে একটা নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে একজন বলছে আমি নিব, আরেক জন বলছে আমি নিব।
ফুল একটা হুড্ডি পেলো, পেয়ে আয়িফাকে দিয়ে দিছে ওর এসবে ইন্টারেস্ট নেই।
_____________________________________
★★
তিহান তিহান জুস নিয়ে আয় , কোল্ড জুস নিয়ে আয়।সবাই একে অপরকে দেখছে এ আমরা কাকে দেখছি। সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে।
এটা কি আমাদের গম্ভীর, স্মার্ট, আরশ মঞ্জীল আমি কি ঠিক দেখছিরে। হ্যারে তুষি এটা আরশ ভাইয়াই।
তুষি অভিমানী কন্ঠে..
তুই না বুঝি আমার বিয়েতে আসবি না ,তো এখন আসলি কেন।
-এচুপ কর তুষির বাচ্চা গরম করছে,কোল্ড জুস দে তিহান।
- ভাইয়া এখানে কোল্ড জুস পাওয়া যায় না।
এত দিন পড় মনে পড়ল দাদান এর কথা। আমার তো তোমাদের কথা মনেই পড়ে আব্বুই তো দেইনি আসতে আজকে না বলে চলে আসছি। আম্মু কই।
আম্মু আসোনা ইকটু জড়িয়ে ধরো তো।এ বলে নিজেই আম্মুকে জড়িয়ে ধরলো। এতো খনের আনন্দ উল্লাসে ভরপর অনুষ্ঠানটাই কান্নার ঢল পড়ল, চারবছর পর আরশ গ্রিস থেকে বাড়িতে এসেছে সবার চোখে সুখের কান্না। হয়েছে হয়েছে এবার কান্না থামাও সবাই, এটা বিয়ে বাড়ি।
এটেনশন প্লিজ, এরা আমার ফেন্ড তুর্য,রিয়াদ,মিহি,মাহি। তিহান তকে যে কাজ গুলো দিয়েছিলাম, করছিস। হুম ভাইয়া। বাই গাইস,আমি ঘুমাতে গেলাম।
সবাই আরশকে দেখে এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না এটা আরশ। চার বছর আগের আরশ আর আজকের আরশের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যাবধান। যে আরশ কিনা কারো সাথে কথা বলত না, কারন কথা বললে নাকি স্মার্টনেস কমে যাবে, আজকে ও বিয়ে বাড়ি নেচে মাতালো।
চুপ চাপ দাড়িয়ে আছে আরিশী বড় শড় শর্কট না খেলেও টাসকি ঠিকই খেয়েছে। মনের অজান্তে চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। কারনটা ওরও জানা নেই। এক দৌড়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিল...। একটা মেহিদি হাতেই ছিল, বেলকনির দরজার মেঝেতে বসে পড়ল, আরিশীর অজান্তে চোখ বেয়ে পানি পড়ছে,
-আম্মু ও আবার এসেছে আমাকে ভাংঙ্গতে,একবার ভেঙ্গে আয় মিটেনি ওর।
অদৃশ্য এক ছায়া যেটা আরিশীর সামনে দৃশ্যমান
-মারে কাদিস না, তোর কান্না আমার সহ্য হয় না, এমন তো হতে পারে এবার ও তোকে নতুন করে গরবে।
এটুকু বলে আবারু আদৃশ্য ছায়া বাতাসে মিশে গেল। আরিশী ইকটু বড় করে চিৎকার দিয়ে, আবারও চলে গেল আরেকটু থাকতে পারতে আম্মু, কেন চলে গেলে।
__________________________________
এ পৃথিবীটা যত সুন্দর তার চেয়ে বেশি কঠিন এ পৃথিবীর অদ্ভুত সব নিয়ম। তুমি যাই করনা কেন তার একটা নিয়ম থাকবেই আর যদি নিয়ম না থাকে তবে তুমি যেভাবে করছ তাই একদিন অন্যদের নিয়ম হবে।
সেই নিয়ম অনুযায়ী জীবনে চলতে হবে।
ঘড়ির কাটা জানান দিল সকাল নয়টা। কেউ উঠনি কাল ধেরি করে ঘুমিয়েছে সবাই। তিহান উঠে সবাইকে ডেকে তুলল আরিশীকে কতো ডাকল উঠার নামই নাই।
______
সব মেয়রা আকাশী শাড়ি পড়েছে, ছেলেরা নীল পাঞ্জাবি পড়ছে,আরশও তার বন্দুরা কালো শার্ট আর জিন্স পড়ছে।
- তুলি আরিশী কই।
-আমি জানি না ভাবি।
-আমি ওকে ডেকেছি ও কোনো সাড়া শব্দ দেইনি।
ক্যামারামেন - চলোনা ভাই তোমরা, আরো সকালে পানি তুলতে যাওয়া উচিত ছিল, এখন সুন্দর ভিও পাবো না।
পানি তুলার উদ্দেশ্য রওনা দিল আড়িয়াল খাঁ নদীতে। সব মেয়দের কোমরে একটা করে মাটির হাড়ি, হাড়ি গুলোতে খুব সুন্দর করে রং তুলির কাজ করা।
সব মেয়দের কমরে কলসি দেখে মাহি...
Mahi- Mihi What do they Bite.
Mihi- l don't know. you rather ask Arosh.
. আরস এত হ্মন এদের কথাই শুনছিল তাই আর জিজ্ঞেস করতে হয়নি।
- our village culture.
Riad: very Funy.
Torjo : set up.
Aros. Be quite bro or sis.
এটুকু বলে আরশ ওদের Translation app নামিয়ে দিল।
পানি তুলার পর্ব শেষ। সবাই খুব মজা করল। শশী, তোহা আরশের কাছে গিয়ে..
-ভাইয়া কেমন আছ।
-আমি ভালো তোরা কেমন আছিস।
শশী তোহা এক সাথে..
-ভালো।
★★
আরিশী এ আরিশী এবার তো উঠ পানি তুলতে ও গেলি না।পাশাপাশি রুম হওয়ায় তিহানের চেচা মিচি শুনতে পেয়ে আরশ রুম থেকে বের হয়ে এসে...
-, কিরে চিল্লা চিল্লি করছিস কেন।
-দেখনা ভাইয়া কাল যে রুমে এসে শুয়েছে আর কোনো সারা শব্দ নেই, নিশ্চয়ই ঔষধও খাইনি পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে।
-দরজা ভেঙ্গে ফেললেই হয় সর আমি ভেঙ্গে দিচ্ছি এ বলে দরজায় জোরে জোরে লাথি মারছে,।
তিহান এই তিহান শব্দটা কানে বাজতেই বোঝল রুদ্র মন্ঞীল ডাকছে।
-ভাইয়া বড় আব্বু ডাকছে আমি গেলাম ভাইয়া।
ভাইয়া তুমি আরিশীরে দেখ গিয়ে।
~~
ফুল আয় আপুর সাথে কথা আছে। এবলে নিজের রুমে নিয়ে এলো পরি ফুলকে।
-কিরে বড় মামি কি মাকে এখনো অপমান করে।
- সেতো করবেই আপু,ফাহমিদুল ভাইয়া আমাকে আনতে গেছে পড়ে ওতো বড় মামনি কতো গুলো কথা শুনাইয়া দিল ভাইয়াকে,ভাইয়া মানা করছে তোমারে বলতে,। আপু ভাইয়া বলছে এসএসসি দিলে আরিশী আপুদের কলেজে ভর্তি করিয়ে দিব।
-আচ্ছা ভর্তি হোস। এ নেয় জামাটা, আজকে পড়িস, তোর জন্যই কিনছিলাম।
তোহা আর শশী এক কালার গাউন কিনে আনল শপিংমল থেকে গিয়ে।
তুষারদের বাড়ি থেকে তুষির জন্য তুষারের সাথে মেচ করে লেহেঙ্গা পাঠানো হয়েছে ,।
মাহি মিহি দুজনে দুটো সাদা ওয়াস্টন ড্রেস নিয়ে নিল।
তুর্যও রিয়াদের সাথে শরিফুল এর ভালো একটা বন্ডিং হল। দাদন তো মহা খুশি তার প্রিয় বন্ধু মুতাব্বর এলেন। ছোট বেলার বন্ধুকে পেলে কে খুশি হয় না।
~~
আরশ রেগে গিয়ে, এবার শরীরে সবটুকু শক্তি দিয়ে জোরে এক ধাক্কা দিল, দরজা ভেঙ্গে গেল....
-আপি তোমাই মেহেদি দিয়ে দিল কে।
তুলির কথায় আরিশী হাতের দিকে তাকিয়ে "জানি না আর আমি তো নিচে চিলাম উপরে আনল কে" মনে মনে ভাবল।
-আপি তিহান ভাইয়া কইলো তোমারে যেন খাবারটা দিয়ে যায়।
-তুলি তিহানকে বল আমার রুমে আসতে।
-আচ্ছা আপি।
আরশ দরজা ভেঙ্গে রুমে ডুকে দেখলো আরিশী মেঝতে উপর হয়ে শুয়ে আছে। আরশ আরিশীকে ডাকার পর কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আরিশীকে পাজা কুলে তুলে বিছানায় শুয়েই দিল।শুয়িয়ে দেওয়ার সময় দেখল আরিশীর হাতের মুঠোয় কি যেন একটা, পড়ে মুঠো খুলে দেখলো মেহদি, আর আরিশীর হাত খালি তাই মেহেদি দিয়ে দিলো হাতে।
তিহান আরিশীর রুমে এসে..
-কিরে ডাকলি কেনো, আমার অনেক কাজ। তাড়াতাড়ি বল।
-আমার রুমে কি আরশ ভাই এসেছিল।
আরিশী যদি জানে ওর রুমে ভাইয়া আসছে তাহলে রাগ করবে, তাই সত্যিটা লুকানোই ভালো...
-কেনরে, ভাইয়া তোর রুমে আসতে যাবে কেনো।
-তাইলে এ মেহেদি কে দিল।
-আমি কি জানি।
-মেহদিটা দেখ,এভাবে তো আরশ ভাইয়াই মেহেদি দেই, তোর মনে নাই ফাহমিদুল ভাইয়ার বিয়ের সময় দিয়ে দিছিল।
তিহান পুরোকথা না শুনেই অজুহাত দেখিয়ে চলে গেল।
আরিশী মেহদির দিকে তাকাতেই চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ছে ।
একটা পিংক কালারের গ্রাউন বের করল আজকে পরার জন্য।
★★
ফাহমিদুল - কিরে আউশ আগের স্বভাব গেলনা, শর্ট প্যান্ট পড়তেই হলো।
আরশ- আউশ কেন বলছ, কত মানুষ আছে ঠিক করে নামটা তো বল এটলিস্ট।
শশী- আরশ কেমন লাগছে আমাই।
আরশ- কিউটি লাগছে তোকে।
তোহা- আমাই কেমন লাগছে।
আরশ- ওয়াও লুকিং লাইক বিউটিফুল।
ফুলের কথা ওর মনে নেই, রুপাকেও চিনেনা ফুয়াদের সাথে এয়ারপোর্টে পরিচয় হয়েছে। তুলি ফুল আর রুপার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। পরি আর ফাহমিদুল কাপাল সেট পড়েছে।
শরিফুল তুর্য,রিয়াদ একরকম ড্রেস পড়ে এসছে।
আরশ - তুর্য রিয়াদ,মিহি মাহি এ দিকে আয়।
ওরা আরশের কাছে আসতে আরশ ……
-এটা আমর দাদন আহসান মঞ্জীল, আর উনি দাদনের ফেন্ড মুতাব্বর দাদন।এটা আব্বু, , মেঝ আব্বু, ছোট আব্বু। এটা বড় ফুফি, এটা ছোট ফুফি।আম্মু, ছোট আম্মু, মেঝ আম্মু। ফাহমিদুল ভাইয়া আর পরী ভাবি। এটা ভাবির বোন ফুল।তুষি আর ফাহিমা মেঝ চাচ্চুর মেয়।তুলি, তিহান ছোট চাচ্চুর মেয়ে। শশী,শরিফুল তোহা বড় ফুফির ছেলে মেয়ে।তোহা শোয়াদ ছোট ফুফির মেয়ে। রুপা আরিশী ফেন্ড আর ফুয়াদ তিহানের ফেন্ড।
কথা গুলো বলে সিড়ির দিকে চেয়ে দেখলো একটা পিংক পরী নামছে, লম্বা ৫ ফুট ২ হবে সরু সাদা গাঁ। চুল গুলো ছাড়া। আরিশী নেমে..
-সরি সরি লেট হয়ে গেছে চলো স্টেজে যাই, জাযাকাল্লাহ খাইরান আমার জন্য অপেক্ষা করার জন্য।
-আমরা তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম না, আরশ ভাইয়া ওর ফেন্ডদের সাথে বাসার সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল।
আরিশী তিহানকে মুখ ব্যাংচে দিল।
-আরশ ভাই চোখ সরাও সবাই তোমার দিকে চেয়ে আছে।
-কেনো আমার দিকে কেনো। তুমিও পিংক আরিশীও পিংক, ব্যাপারটা কেমন না।
- তুই মুখটা চুপ রাখ।
তুষি বিস্কিট কালারের লেহেঙ্গা পড়ছে সাথে বউ সাজ্জ, ফাহমিদুল, আরশ, তিহান ওরা তুষিকে নিয়ে স্টেজে উঠল।ফ্যামিলি ফটো তুলল।
-মিহি আরিশীরে ডাক দে একসাথে ছবি তুলি।
-তুই দে,সব সময় আমাকে কেনো বলিস।
-আরিশী এদিক আস ছবি তুলি।
-ইয়া শিউর। কয়েটা গ্রুপ ফটো তুলল,আরিশী তুমি দাড়াও তোমার ফটো তুলে দেই। আচ্ছা।
আরিশীর একা ফটো তুলে দিল মিহি।
★★
জামাই এসছে জামাই এসেছে এ বলে দৌড়াদৌড়ি লাগিয়ে দিল সবাই। গেইট দরার সব সরান্জাম রেডি শুদু জামাই নামানো বাকি। দাদন আর তার বন্ধু জামাইকে আংটি পড়িয়ে গাড়ি থেকে নামাল। গেইটে দাড়িয়ে মিষ্টি মুখ করে, বউয়ের পাশে এনে বসিয়ে দিলো জামাইকে। গেইটে গেট ভারা নিয়ে কোনো ঝামেলা করেনি, বড়রা মানা করে দিছে।
স্টেজে এসে আংটি খুলে তুষির কাছে দিয়ে দিল তুষার, তুষিও কিছু বলেনি, ছেলেদের স্বর্ন পড়া হারাম এটা সবাই জানে। তখন ভদ্রতা দেখতা গিয়ে আর মানা করা হয়নি।
জামাইয়ের বাড়ির লোকেদর খাওয়াচ্ছে সকল ছেলেরা ,খাওয়া শেষ হলে, কাজী সাহেব বিয়ের কাজটা শেরে ফেললো। কাবিন দিল মাএ ৫০ হাজার কারন তুষারের কাছে এখন ৫০ ই আছে এর বেশি নেই। যেহেতু আমাদের ইসলামে পষ্ট বলা আছে "কাবিনের টাকা পরিশোধ করে বউকে স্পর্শ করো"
_____
আমার খুব খারাপ লাগছিল তাই রুমে চলে এলাম গ্রাউনটা খুলে টপ পড়ে নিলাম। এখন আর নিচে যাব না আপুর বিদায়ের সময় যাব।
তোহা-শশী দেখ আরশ ভাইয়ার সাথের ছেলেটা কেমন করে তাকাচ্ছে।
-তো কি হয়ছে।
-মানে কি তোর দিকে তাকাচ্ছে।
-তাকাক আমার কি।
তুর্য একবারে শশীর সামনে এসে,
-এযে মিস শশী এক টা জুস নিয়ে আসুন ফ্রীজ থেকে। তোহা- কি ভাবলাম আর কি হলো বির বির করে।
------
মিহি দেখ রিয়াদ ঐমেয়টার দিকে তাকিয়ে আছে। দ্বারা ওকে মজা দেখাচ্ছি এ বলে মিহি রিয়াদের কাছে গিয়ে রিয়াদকে টেনে অনুষ্ঠানের অপর পাশে নিয়ে এলো।
রিয়াদ-কি এরকম করচো কেনো, আর এখানে টেনে আনলে কেনো।
-ওহ তুই জানিস না, তোর মেয়দের দিকে তাকিয়ে থাকতে খুব ভালো লাগে নাহ।
-কি জাতা বলছিস।
-এখনত জাতা ই মনে হবে,।
-_______
আরশের দুচোখ জোড়া খুব মনযোগ সহকারে খুজো যাচ্ছে তার প্রিয়সী কে, কিন্তু কোথাও নেই।
তিহান -ভাইয়া কাউকে খুজছ।
আরশ-নারে।
তিহান- তুমার প্রিয়শীরে দেখলাম রুমেরদি কে গেল।
আরশ- তুলিকে বল ডেকে আনতে, এখনইত তুষি চলে যাবে।
তিহান- আচ্ছা।
**
তিহান তুলিকে আরিশীরে ডেকে আনতে বলছে, তাই তুলির সাথে ফুল আর রুপাও এলো,রুপা এখনই বের হয়ে যাবে।
তুলি- আপি নিচে আসো,তুষি আপু চলে যাচ্ছে।
আরিশী - তুই যা আমি জানালা দিয়েই দেখতে পারবো।
রুপা - আমি যাইরে, কলেজে দেখা হবে।
ফুল - তুলি তুমি যাও আমি আরুশী আপু সাথে থাকি।
তুলি ফুল কে আর জোর করেনি। রুপার সাথে নিচে চলে আসে।
**
বিদায় একটি আবেগঘন মুহূর্ত। সাধারণত, কনে বিদায়ের সময় আনন্দ ও বিষাদের এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করে। কনে তার পরিবার ও আপনজনদের ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, তাই একদিকে যেমন নতুন জীবনের শুরু, তেমনি ফেলে আসা আপনজনদের ছেড়ে যাওয়ার কষ্টও থাকে। এই সময় কান্নাকাটি, হাসি-ঠাট্টা, শুভকামনা সবকিছুই চলতে থাকে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
বিদায়ের মুহূর্তে কনে ও তার পরিবারের অনুভূতিগুলো সাধারণত এমন হয়ে থাকে।
কনে ও তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন, কারণ মেয়েরা তাদের বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়।
নতুন জীবন শুরু করার আনন্দও থাকে, কারণ কনে তার জীবনসঙ্গীর সাথে নতুন একটি পরিবার গঠন করতে যাচ্ছে।
বিদায়ের সময় আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়, যেখানে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে,।
কনেকে তার নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানানো হয়।
, যেখানে কনে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা, যা বাংলা সংস্কৃতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
আরিশী উপর থেকে জানালা দিয়েই দেখছে বিদায়ের এ মর্মান্তিক দৃশ্য। ফুল নিচে চলে এসেছে।তুষিকে গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিল গন্তব্য তুষির শ্বশুর বাড়ি।
চলবে…