শাওন ফোন অন করে নাম্বার দেখেই চমকের সাথে মুখে হাসি ফুটে যায়। দেখে সুমাইয়া রিং দিয়েছে। রিসিভড করে বলে
--- হ্যা্, সুমাইয়া কেমন আছো? অপর প্রান্ত থেকে সুমাইয়া বলে
--- ভালো না শাওন ভালো নাই।
--- কেন? কি হয়েছে সুমাইয়া?
--- আপা। আপা।
--- আপা। মানে? নাইমা। কি হয়েছে ওর।
--- আপা হাসপাতালে।
--- কী!
--- মিটফোর্ডের হাসপাতালে ভর্তি আছে।
--- কেন? কি হয়েছে? কি হয়েছে নাইমার?
--- পরে বলছি।
--- হ্যালো, সুমাইয়া নাইমা কেন আছে এখন।
--- গত রাতে ঘুমের টেবলেট খেয়ে ঘুমিছিলো, এখনো গ্যান ফেরেনি।
--- আমি এখনি আসছি।
বলেই ফোন কেটে দিল শাওন। কাছে থাকা বাবুল কে বললো
---দোস্ত নাইমা হাসপাতালে। সেখানে যাচ্ছি। তুই থাক।
--- আমিও যাবো। দুইজন দ্রুত ক্যাম্পাস থেকে বেড় হয়ে একটি লোকাল বাসে চরে। মনের মধ্যে নানা দুশ্চিন্তা এসে জট পাকায়।হঠাৎ দেখে বাস জ্যামে আটকে গেল। দীর্ঘ গাড়ির সারি। সময় গড়ায় শাওনের টেনশনও বৃদ্ধি পেতে থাকে। শীতেও ঘেমে যাচ্ছিলো শাওন।