উত্তম ছিল এক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। বাবা একজন শ্রমজীবী মানুষ, উত্তমের ছেলেবেলায় মা মারা যায়। সংসারে সমস্যা থাকলেও উত্তম ছিল খুব ভালো মনের, শান্ত স্বভাবের এবং স্বপ্ন দেখা এক তরুণ। সে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চাইত।
একদিন স্কুলে তার দেখা হয় লক্ষ্মীর সঙ্গে। লক্ষী ছিল একটি ধনী পরিবারের মেয়ে। সুন্দর, শিক্ষিতা, আর ভালো মনের মানুষ। ধীরে ধীরে উত্তম আর লক্ষ্মীর ভালোলাগা গড়ে ওঠে। সেই ভালোলাগা একসময় রূপ নেয় ভালোবাসায়।
উত্তম লক্ষীকে খুব ভালোবাসত। লক্ষীও তাকে মন থেকে চেয়েছিল। তারা একসঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল—একদিন বিয়ে করবে, সুখে থাকবে।
কিন্তু বাস্তবতা ছিল কঠিন। লক্ষীর পরিবার যখন উত্তমের সম্পর্কে ভুল ভাবনা ভাবতে শুরু করে, তখন রেগে ওঠে। তারা বলে, "আমরা কোনো ওইরকম ছেলেকে জামাই হিসেবে মেনে নেব না।" লক্ষ্মীকে অনেক বকাঝকা করে, উত্তমের সঙ্গে দেখা করতে নিষেধ করে।
উত্তমের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। লক্ষীও বন্ধ করে দেয়, কিছুই করতে পারে না, কাঁদে, আর বলে, “উত্তম, তুমি অপেক্ষা করো, আমি একদিন ফিরব।”
উত্তম সেই দিন থেকে একা হয়ে যায়। লক্ষ্মীর কথা ভেবে তার দিন কাটে। স্কুলে যায়, কিন্তু মনে লক্ষ্মীর স্মৃতি ভাসে সবসময়।
তবুও উত্তম হাল ছাড়ে না। সে ভাবে, “আমি আরো বড় হবো, প্রতিষ্ঠিত হবো। প্রমাণ করব ভালোবাসা টাকার চেয়ে বড়।” সে ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।
উত্তমের জীবনে এখনো কষ্ট আছে, কিন্তু তার ভালোবাসা সত্য। সে জানে, লক্ষী ফিরুক বা না ফিরুক, ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তবে তা কোনোদিন মিথ্যে হয় না।
---
এই গল্প আমাদের শেখায়:
ভালোবাসা টাকার কাছে হেরে যায় অনেক সময়, কিন্তু যদি মন থেকে ভালোবাসা যায়, তাহলে সেটি একদিন না একদিন আলো ছড়ায়।