০৬/০১/২০১৫, তখন আমি প্রথম বর্ষের ছাত্র। বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা শুরু করি। বেশ ভাল একটি সময় কাটত। যাহোক সবেমাত্র ইসরাঈলের গাজার বিরুদ্ধে "অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ" অভিযানটি দেখা ও পড়ার পর অনেক ব্যথিত হই। তাদের ৪৮ এর আগের ও পরের ইতিহাস পড়ে সমস্ত শরীর যেন ঠান্ডা হয়ে যায়। মনে হল, সত্যিতো এ উপত্যকাটি দুনিয়ার সবথেকে বড় উন্মুক্ত কারাগার। তারপর নীচের কবিতাটি লিখে ফেলি। পড়তে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
দেশটির নেই বিশাল ভূখন্ড
নেই বর্তমান যুগের উন্নত প্রযুক্তি,
শুধু নিজেদের মাটিতে শান্তিতে ঘুমাতে চায়
এটিই ওদের আকুতি-মিনতি।
ইতিহাস দেখাতে পারেনি
তাঁরা দিয়েছে অন্য জাতিকে কষ্ট,
তবে কেন আমরা তাদেরকে বলছি
এ যুগের সন্ত্রাসী ও পথভ্রষ্ট।
নিজেদের ভূমিতে শান্তিতে ছিল ওরা
জীবনটা ছিল সাদামাটা,
৪৮-র হঠাৎ অবৈধ ইসরাঈল এল
নিয়ে গেল ওদের স্বাধীনতা।
একের পর এক হামলা করতে থাকল
আর কত সহ্য করা যায় এ কষ্ট,
এগিয়ে এলেন ইয়াসির আরাফাত
হাতে তুলে নিলেন অস্ত্র।
কয়েকবার হয়ে গেল আরব-ইসরাঈল যুদ্ধ
আমরা বাঙালিরা সব সময় তাদের পক্ষে ছিলাম,
তাইতো ৭৩-এ যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ঔষধ ও অস্ত্র/যান
হে পিতা এটিই তোমার অন্যতম সাহসিকতার প্রমাণ।
পশ্চিমাদের মদদে আজ ইসরাঈল আরো বেশি শক্তিশালী
আছে তাফের উন্নত প্রযুক্তি ও অস্ত্র,
আর কত নিরীহ মানুষের রক্ত চায় তাঁরা
আর কত পান করলে হবে তৃপ্ত।
গড়ে দুই বছর অন্তর অন্তর এক একটি অপারেশন
কেড়ে নিছে জীবন ও মানবতা,
কি বলে সংজ্ঞায়িত করব এটিকে
একেই কি বলে স্বাধীনতা?
আর কতদিন চলবে এগুলি
কিছুই কি করতে পারিনা আমরা,
তাঁরা চায়না বিশাল ভূখন্ড/অর্থ/সম্পদ
চায় একটু ভাল থাকতে, চায় স্বাধীনতা।