রাজবাড়ীর একটি ক্লিনিকে নাইমা ভর্তি। দুপুর হয়ে গেল এখনো চেতনা ফেরে নি। ক্লিনিকে মা বাবা আত্মীয় সজন ভরা। নাইমাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। সবাই উপকণ্ঠিত। কি দিয়ে কি হয়ে গেল!
সংবাদ পেয়ে মামা জহিরুল ইসলাম এসেছেন। তিনি ছোট বোন নাইমার মাকে বললেন,
-----আয়সা আজকাল ছেলে মেয়ে বড় হলে তাদের প্রতি একটু বেশি খেয়াল রাকতে হয়।
---- তুই যে কি বলিস ভাইয়া, ছেলে কি বেঁধে রাখার জিনিস? যে মনে হলো আর বেঁধে রাখলাম।
---- না, তা রাখা যায় না। তবে খেয়াল তো রা্খা যায়? তা যাক। আয়সা আমাকে বলতো নাইমার কি হয়েছিলো যে, ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো। সাইমা বললো
--- মামা, এটা তোমার ভুল ধারনা। বড় আপা কয়েক দিন হলো রাতে ঘুম আসেনা বলে একটি পিল খেয়ে শোয়। আজ যে বেশি খেলো কেন? এটাই তো জানিনা। মামা ঠক করে বলে ওঠে
--- এই তো! এখানই তো আসল রহস্য। ওর মতো ইয়াং বয়েসের মেয়েরা ঘুমের কেন, ঘুমের বড়ি খাবে?
আসমা বললো,
--- তা তো জানি না ভাইয়া। এই ধরনের কিছু শুনিনি। তুই কি জানিস সুমাইয়া? সুমাইয়া জানে কিন্তু ভাবে এই৷ মূহুর্তে যদি বলি মামা মাথা গরম করে ক্লিনিক গরম করে ফেলবে। সুমাইয়া মাথা ঝাকিয়ে বলে
গত রাতে নাইমা ছোট বোনের বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শাওনের ছবি দেখে মাথা গরম হয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফিরে ঘুমের বড়ি খেয়ে ফেলে