নয়ন আর মেঘলার প্রথম দেখা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সিঁড়িতে। নয়ন তখন থার্ড ইয়ারের ছাত্র, মেঘলা নতুন ভর্তি হয়েছে বাংলা বিভাগে। একটা বই খুঁজতে খুঁজতে যখন লাইব্রেরির করিডোরে ঘুরছিল মেঘলা, নয়নের চোখে পড়ল তার মুখে একটা চাপা অস্থিরতা। সে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল,
— "আপনি কি কিছু খুঁজছেন?"
সেই এক বাক্য থেকেই শুরু। এরপর প্রতিদিন বিকেলে তারা হাঁটত চারুকলার সামনের রাস্তায়, বসত টিএসসির বেঞ্চে। নয়নের চোখে মেঘলা ছিল এক কবিতার মতো, ধীরে ধীরে পড়া যায়, আবারও পড়া যায়।
২. একসাথে স্বপ্ন দেখার দিন
তারা একসাথে স্বপ্ন দেখত—ছোট্ট একটা বাসা, এক কাপ চা আর একটা জীবনের গল্প। নয়নের স্বপ্ন ছিল বড় সাংবাদিক হওয়ার, মেঘলা চেয়েছিল শিক্ষকতা করতে। ভালোবাসা তাদের কাছে ছিল রোজকার সকাল, আর অভিমান মানে ছিল দুই ঘণ্টা কথা না বলা।
একদিন নয়ন বলল,
— “তুই চাইলে আমি সারা জীবন তোকে ভালোবেসে যাবো, মেঘ।”
মেঘলা হেসে বলেছিল,
— “ভালোবাসা দিয়ে কি বাসাভাড়া দেয়া যায়? চাকরি না করলে আমি কিন্তু অন্য কাউকে দেখে ফেলবো!”
হাসির ছলে বলা কথাগুলোর মধ্যে লুকিয়ে ছিল ভবিষ্যতের ছায়া।
৩. সময় বদলায়, মানুষও বদলায়
বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হওয়ার পর নয়ন ঢুকে গেল পত্রিকায় ট্রেইনি রিপোর্টার হিসেবে। মাস শেষে হাজার দশেক টাকাই সব ছিল তার আয়। ম