Posts

গল্প

কুচকুচে কালো বাচ্চা

July 12, 2025

SECRAT STRANGER

61
View

আমার খালামনি নানুর বাড়িতে খুব কম আসে। উনি একদিন আসলে তার পরের দিন চলে যান।একদিন খালামনিকে আসতে বলে মামা। নানু বাসায় একলা থাকবে।কারন মামাদের একটা দাওয়াত পড়েছে।নানুকে নিয়ে যেতে চাইলে উনি বারন করেন। আমার নানুদের যৌথ পরিবার।তো অনেক বলার পর খালামনি রাজি হয়।খালামনি হোস্টেলে থাকে। ছোট বেলা থেকেই তিনি পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকেন।আমার খালামনি সকালে চলে আসে নানুর বাড়ি।সকালে সবার সাথে কথা বলে তার ভালো লাগে।কিন্তু ঐ দিনই খালামনির সাথে একটি ভৌতিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটে রাতের বেলা।আমার মামাদের আসতে অনেক লেট হবে কারন তারা জ্যামে আটকা পড়েছে।তো খালামনি রাতের খাবার খেয়ে মোবাইল ফোন টিপতে থাকেন। নানুকে ঘুমিয়ে পরতে বলে।নানু অনেক তারাতাড়ি ঘুমিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর খালামনি পানি পরার আওয়াজ পান। খালামনি ভাবলেন হয়তো কলে পানি ছিলো না।পানির কল হয়তো নানু চালু করে ঘুমিয়ে পরেছে।টয়লেটে গিয়ে পানির কল বন্ধ করেন তিনি।পরে আবার মোবাইল টিপতে থাকেন। হঠাৎ আবার তিনি পানির আওয়াজ শুনতে পান।এবার টয়লেটে নয় পানি অন্য যায়গায় পরছে।হয়তো মটর চালু ছিলো সেটা ভর্তি হয়েছে।তিনি মটর বন্ধ করতে যান।কিন্তু মটর বন্ধ ছিলো। তখনই নানু খেয়াল করে খালামনি পাশে নেই তিনি খালামনি কে খুজতে থাকেন।এমন সময় মামারা বাড়িতে এসে পৌছান।নানু মামাদের বলতে থাকেন যে খালামনিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন মামারা পুরো বাড়ি খুজেও খালামনিকে পায়নি।পরে বাহিরে খেজাখুজি শুরু হয়।অনেক খোজার পর খালামনি কে নদীর তীরে পাওয়া যায়। উনি যেনো অচেতন অবস্থায় ছিলেন।উনি বলতে থাকেন, আমাকে নিয়ে চলো।আর হাসতে থাকেন।খালামনি কে পরে বেধে রাখা হয় ঘরে। খালামনি ওই ঘরে বসে কান্না করছেন না হয় জোরে জোরে হাসছেন।পরে একজন হুজুর এনে তাকে দোয়া দুরুদ পরায়।খালামনি বলতে থাকে পানি পরছে, পানি পরছে। বন্ধ করো। হুজুর দোয়া পরে ফু দিলে খালামনি অজ্ঞান হয়ে পরে যান।হুজুর বলতে থাকেন খারাপ জ্বিনের আসর আছে।আমি কিছু করতে পারবো না।হুজুর কে অনেক বলার পর তিনি জ্বিন তারাতে রাজি হন।হুজুর বলে যান তিনি রাতে আসবেন। কিন্তু হুজুর আর রাতে আসে না।এইদিকে খালামনি অনেক চিৎকার করতে থাকে।খালামনি কে বেধে রাখা যাচ্ছে না।খালামনি শুধু বলতে থাকে পানি বন্ধ করো, পানি বন্ধ করো। আর কাঁদতে থাকেন। একসময় খালামনির মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। আমার নানু কান্না করতে থাকেন। সকালে হুজুরের খোজ করলে তাকে কোথাও পাওয়া যায় না। দুপুর বেলা সবাই শুনতে পায় হুজুর পানিতে ডুবে মারা যান।এ অবস্থায় খালামনির জন্য সবাই চিন্তা করতে থাকেন।খালামনি নিজের শরীরে নিজেই খামছিয়ে রক্ত বের করছেন।পড়ে আমার চাচা এক হুজুরের ঠিকানা দেয়।এই হুজুর একটি ছোট গ্রামে থাকেন।তার বাড়ি কবরস্থানের সাথে।ওই হুজুরের কাছে মামা সাহায্য চায়।কিন্তু হুজুর বারন করে দেন।তাকে রাজি করাতে মামার নয় দিন সময় লাগে।হুজুর রাজি হলে তাকে নানুর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।খালামনিকে দেখে সে অনেক ভয় পায়।খালামনি হুজুরকে বলতে থাকে তুই পানি বন্ধ কর।তখন হুজুর বলে খালামনির কান চেপে ধরে রাখতে। কান চেপে ধরার পর হুজুর সুরা পরতে থাকলে খালামনির মুখ দিয়ে রক্ত পরতে থাকে।রক্ত যেন কুচকুচে কালো।হুজুর বলতে থাকেন আপনাদের বাড়িতে একটা গাছ আছে। শিমুল গাছ।ঐ গাছটা রাতের দেরটা বাজে গিয়ে কাটবেন।গাছ কাটার আগে ভালো করে গোসল করবেন।এবং গাছ কাটার সময় পিছনে তাকাবেন না।আর খালামনিকে চোখ ও কান বেধে রাখতে বলা হয়।রাতের বেলা দুই মামা গাছ কাটতে যান।ছোট মামার মনে হতে থাকে তার পেছনে কে যেন আছে।কিন্তু তিনি পিছনে তাকান না।শুরু হয় গাছ কাটা।গাছ কাটার সময় তাকে অনেক ভয় দেখানো হয়।অন্য দিকে হুজুর খালামনির সামনে দোয়া দুরুদ পরতে থাকেন। গাছ কাটা শেষ হলে,ঐ জিনিস টা তাদের বদদোয়া দেয়।তারা বাড়িতে ফিরে আসে।খালামনি একেবারে ঘুমিয়ে থাকে।হুজুর বলেন খালামনি এবার ঠিক হয়ে যাবে এবং একটা তাবিজ দিয়ে যান। এই তাবিজ শক্ত করে বেধে দিতে বলেন। আর কোনদিন যেনো না খুলে সাবধান করে দিয়ে যান।হুজুর আরো বলে সকালে যেন গাছটা পুড়িয়ে ফেলা হয়। হুজুর বলেন সমস্যা নেই জ্বিন চলে গেছে। খালামনি তিন দিন অজ্ঞান ছিলো।তার পর আস্তে আস্তে তিনি সুস্থ হন।খালামনি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় উনার সাথে কি হয়েছিল। খালামনি বলে, “আমি পানি পরার আওয়াজ পাই। মটর বন্ধ করতে গিয়ে দেখি মটর বন্ধ। কোথায় পানি পরছে তা দেখতে যাই দেখি একটা ছোট কুচকুচে কালো বাচ্চা।বাচ্চাটা কি যেনো খাচ্ছিলো। আমি বাচ্চাটাকে বলতে থাকি তুমি কি করছো এতো রাতে।বাচ্চা টা আমার দিকে তাকালো আর পানি খুজতে শুরু করলো।পরে খেয়াল করে দেখি বাচ্চা টা একটা মাথার খুলি কামড়ে খাচ্ছে। আমি এটা দেখে চিৎকার করে উঠি। বাচ্চাটা আমাকে কামড়াতে থাকে।আমার মাথার অনেক অংশ খেয়ে ফেলে। পরে আমাকে পানিতে চুবিয়ে রাখে।পরে আমি জানি না আমার কি হয়েছে।” এখন খালামনি অনেক ভালো আছে। খালামনির বিয়ে হয়ে গেছে এবং তিনি বিদেশে থাকেন।তবে তিনি এখনো তাবিজ খুলেননি।

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Kazi Eshita 4 months ago

    গল্পের আগা গোড়া কিছু বুঝেছি, কিছু বুঝিনি