বৃষ্টির একরাতে, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। রনিদের গ্রামে বেশি মানুষ থাকেনা। সেই দিন রাতে রনি শহরে গিয়েছিল। ঘরে তার দাদু একলা। তার দাদু ঘুমাচ্ছে। হটাৎ কে যেন ঠকঠক করে উঠল দরজায়। অনেক জরে জরে। দাদু হন্তদন্ত হয়ে গেলেন। "আমাকে আশ্রয় দিন, নইলে আর বাঁচব না" "কেন, কি হয়েছে গো?, তোমাকে চিনলাম না, কোথা থেকে এসেছে" "তা পরে বলব বলবনে আগে ঢুকতে দিন" “আচ্ছা, আসো”দাদু ঘরে নিয়ে গেলেন। তাকে পানি খাওয়ালেন। দাদু জিজ্ঞাসা করলেন।" তুমি কে. বাপু? কনতে আইসো, কারা তোমাকে মারব? "ও কথা না হয় অন্য দিন” " পরে আবার করে বলবে?” "আমি অনেক ক্লান্ত! একটু বিশ্রাম নিতে দিবেন!” দাদু তাকে বিছানায় নিয়ে গেলেন।সে একটু বিশ্রাম নিলো। দাদু কৌতুহলি হয়ে আবার তার কাছে গেলেন। এবার সে ঘটনা মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল। তার কাছে একটা ঘড়ি আছে। ঘড়িটা অনেক মূল্যবান। ঘড়িটা, রহস্য দিয়ে ঘেরা। দাদু ঘড়িটার রহস্য জানতে চাইল। সে বলল তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে ক্রমে সে ঘড়িটা পেয়েছে। দাদু অবাক হলেন, কেননা দাদু যখন ছোট তখনই তো ঘড়ি বলতে কিছু ছিলনা। তাহলে তার পূর্বপুরুষরা কিভাবে ঘড়িটা পেল?। লোকটা বলে উঠল, সেটাই তো রহস্য। ঘড়িটাকে নিয়ে আমার বাবা একদিন একটা নি জাদুঘরে গিয়ে ছিল। দাম জানতে পারল ৫০০০০০ হাজার টাকা। দাদু ঘড়িটা দেখতে চাইলেন। দাদুর মনে পড়ে গেল একটা বইয়ের কথা। যেটা দাদুর দাদু লিখেছিলেন। সে বইয়ের পাতায় স্পষ্ট লেখা আছে, ঘড়ির কথা। লোকটা দাদুকে জিজ্ঞাসা "কি লেখা ছিল সেই বইয়ে?" "লেখা ছিল, ঘড়িটা ভূতুরে ঘরি। যার কাছে থাকবে সে সব বিপদ থেকে মুক্ত। অন্যদিকে যে তার ক্ষতি করতে আসবে অসে তার ক্ষতিই সেই ভূত করবে। লোকটা বলে উঠল, -., " আমার পূর্বপুরুষরা তো কখনও এটি বলে নি" এমনও হতে পারে,, এইটা সেই ঘড়ি না"। কিন্তু সন্দেহ যেন পিছু ছাড়ে না। ভাবতে ভাবতে ঘড়িটাকে থেকে একটা আওয়াজ বেরিয়ে আসল হা হা হা। সাথে সাথে লাইট ওফ হয়ে গেল। পুরো ভূতুরে কান্ড! একটা আওয়াজ আসতে আসতে আরও বাড়ছে। তারা দুইজনই ভয় পেয়ে গেল। তাহলে কি ঘড়িটাতে ভুতের বাস ছিল?। আওয়াজ ভেসে আসলো "এই বুড়োকেই তো খুচ্ছিলাম" লোকটা আমতা আমতা সূরে বলল: কেন? “ হা-হা-হা; আজ অনেক বছরের ধৈর্যের অবসান, হা-হা-হা"।দাদু ভয়ে অজ্ঞান, এই দিকে আরিফ এসেছে। সে ঢুকতেই ভূত গায়েব। দাদুকে এই অবস্থার দেখে সে বলল, আপনি কে ?আমার দাদূর অবস্থা কে করল?আমতা আমতা গলায় বলে উঠল"ভুত"
সাথে সাথে আবারও "হা-হা-হা “আমাকে মেরে ছিল এই বুড়ো, আজ প্রতিশোধের দিন”সাথে সাথে সব নিস্তব্ধ।।।