ধারাবাহিক উপন্যাস
নীলান্জনার ফিরে আসা
অমল সরকার
(একাদশপর্ব)
ট্রেন থেকে নেমে একটি রিকশায় উঠে সোজা গোয়ালন্দ ক্লিনিকের সামনে নামে নীলান্জনা। নতুন একটা ড্রেস মুখে মাস্ক লাগানো। কপালে বড় একটা লাল টিপ আর দুই হাতে দুটি যে কেউ দেখে বলবে কোন হিন্দু বিবাহিত স্ত্রী। ক্লিনিকের রেজিস্ট্রার রুমে গিয়ে খোঁক নিয়ে সাত নম্বর কক্ষের দরোজায় উঁকি দিয়ে দেখে হিমাদ্রির মা বসে আছে। বাবা টাকা যোগার করতে গেছে। ছোট বোন মিতু বাড়িতে রান্না করে খাবার আনতে গেছে। মা, সারা রাত ঘুময়নি, তাই সোফায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। আস্তে আস্তে নীলান্জনা হিমাদ্রিট কাছে যায়। কপালে হাত দিয়ে দেখে খুব জ্বর। হাতের স্পর্শে চোখ মেলে হিমাদ্রি। আবার অচেতন হয়ে যায়। নীলান্জনা কোন কথা বলার সাহস পায়না। মনের কষ্টে মাথা নিচু করে হিমাদ্রির গালে চুমু খায়। হঠাৎ নিদ্রা ভঙ্গ হয় মার। তিনি কিছু জিগ্গেস করার আগেই নীলান্জনা রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে নীলান্জনা জানতে চায়
--- দাদা হিমাদ্রি রায় নামে সাত নম্বরে যে রোগী রয়েছে তার নামে কোন এমাউন বাকি আছ?
--- হ্যাঁ, আছে তো।
--- কতো টাকা?
--- অনেক টাকা, বৌদি। এটা আপনার শুনে কি লাভ বলুন?
--- লাভ, আছে। আপনি দেখুন আপনি দেখুন তো কতো টাকা?
--- আচ্ছা দাঁড়ান, আমি খাতা দেখে বলছি। লোক টি খাতা বেড় করে হিসেবে চোখ বুলিয়ে বললো
--- মোট, এক লাখ ছিয়াসি হাজার পয়ষট্টি টাকা।
--- আচ্ছা, আপনি টাকাটা জমা করে একটা শ্লিপ দিন।
--- আপনি দিবেন?
দুইটি এক হাজার টাকার নোটের লোকটির হাতে দেয়। সে জমা করে একটি শ্লিপ দিল সই করতে। নীলান্জনা সই করে দিলো। লোকটি জানতে চাইলো ---বৌদি দাদাকে আরো কিছুদিন এখানে রাখুন। ভালো হবে।
---
52
View