সঙ্গীত হচ্ছে মনুষ্য সৃষ্ট শিল্পের একটি রূপ।সঙ্গীত আমাদের বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করে,আমাদেরকে সাময়িক আনন্দ দেয়।আমার কাছে সঙ্গীত হচ্ছে অতি উচ্চ মানের কবিতা,যে কবিতায় ছন্দ থাকবে,প্রত্যেক লাইনে অসাধারণ মিলবিন্যাস থাকবে এবং সুর করে গাওয়া যাবে।কবিতার মতোই গানের মাধ্যমে মনের ভাবের সম্পূর্ণটা প্রকাশ পাবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,সঙ্গীত সৃষ্টি হলো কখন? আর গান ও সঙ্গীত কি আদৌ একই বিষয়?
এক এক করে আসা যাক।
প্রাচীনকালে মানুষ সঙ্গীত সম্পর্কে জানতো না।তাহলে তারা জানলো কিভাবে?সঙ্গীত আসলো কিভাবে?মূলত প্রকৃতির মাঝেই সুর বিদ্যমান আর সুর হচ্ছে সঙ্গীতের মূল অংশ।মেঘের গর্জন,পাখির ডাক,নদী পানির বয়ে যাওয়া,পোকাদের সম্মিলিত গুঞ্জন,প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রভৃতির মাঝেই সুরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় খুব সহজেই।মানুষ এগুলো দেখে নিজেদের মধ্যে সংকেত আদান প্রদানের জন্য শিস কাটতো।পাখিদের দেখাদেখি শিস কাটতে কাটতে তারা একসময় এখানেই সুরের ছোঁয়া পেলো। আর তখন থেকেই মানব সমাজে সুরের চর্চা শুরু হলো।এইসব শিস,মুখ দিয়ে বের করা অদ্ভুত শব্দ এসবকে তাহলে আমরা ইতিহাসের সবথেকে প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র বলতেই পারি।তবে সঙ্গীত সৃষ্টির জন্য দরকার সুবিন্যস্ত তাল।এই তাল সৃষ্টি করতে প্রথম বাদ্যযন্ত্র সৃষ্টি করা হলো ঢোল বা ঢাক।যা যোদ্ধাদের সুবিন্যস্ত রাখতেই মূলত ব্যাবহার করা হতো।তবে কোনো কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক মনে করেন মানুষের সৃষ্টি প্রথম বাদ্যযন্ত্র ছিলো পাখির হাড়ের তৈরি একধরনের বাঁশি।পাঁচটি ছিদ্রযুক্ত ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতির এই বাদ্যযন্ত্রটি ব্যবহার করা হতো ইউরোপে,আনুমানিক ৬৭০০০ বছর আগে। তবে মূলত সুর সৃষ্টির জন্য প্রথম বাদ্যযন্ত্রের খোঁজ মেলে প্রায় ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে,চিনে।এর প্রচলন ছিলো প্রায় ৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত।এটিও পাখির হাড়ের তৈরি একধরনের বাঁশি।তাহলে বলাই যায় সঙ্গীত চর্চা মূলত শুরু হয় ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে।তাই এই সময়কে বলা হয় সঙ্গীতের প্রাক-সাহিত্যিক যুগ।ওই সময় মূলত ঈশ্বরের প্রার্থনার জন্য সঙ্গীত ব্যাবহার করা হতো।হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রাচীন ওমমের পবিত্র মন্তব্যগুলোকে সঙ্গীতের অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ওগুলো একধরনের অদ্ভুত সঙ্গীত বলে মনে হয়।তারপর এগুলো শুধু প্রার্থনার জন্য থাকলো না। তৎকালীন পন্ডিতরা এগুলোকে কবিতার ছন্দে চর্চা করতেন এবং বিভিন্ন সুর সংযোজন করতেন। আর ইতিহাসের সবচেয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রাচীন সঙ্গীত বলতে মূলত রণসঙ্গীতকে ধরা হয় যা যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে চর্চা করা হতো।
এই হচ্ছে মূলত সঙ্গীতের আগমনের ইতিহাস।
এখন দ্বিতীয় প্রশ্নে আসা যাক।
গান এবং সঙ্গীত কি এক বিষয়?
উত্তর হচ্ছে 'না'।গান সঙ্গীতের একটা অংশ মাত্র।
সঙ্গীত হচ্ছে মূলত তিন প্রকার
১.গীতি সঙ্গীত (বিভিন্ন ধরনের গান)
২.নৃত্য সঙ্গীত (বিভিন্ন ধরনের নাচ)
৩.যন্ত্র সঙ্গীত (বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সুর)
এই তিন ধরনের সঙ্গীতের মধ্যে গান 'গীতি সঙ্গীতের' মধ্যে পরে।
তাহলে গানকে সঙ্গীতের একটা টুকরো অংশ বলতেই পারি যা ছাড়া সঙ্গীত নিজেও অসম্পূর্ণ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,সঙ্গীত সৃষ্টি হলো কখন? আর গান ও সঙ্গীত কি আদৌ একই বিষয়?
এক এক করে আসা যাক।
প্রাচীনকালে মানুষ সঙ্গীত সম্পর্কে জানতো না।তাহলে তারা জানলো কিভাবে?সঙ্গীত আসলো কিভাবে?মূলত প্রকৃতির মাঝেই সুর বিদ্যমান আর সুর হচ্ছে সঙ্গীতের মূল অংশ।মেঘের গর্জন,পাখির ডাক,নদী পানির বয়ে যাওয়া,পোকাদের সম্মিলিত গুঞ্জন,প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রভৃতির মাঝেই সুরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় খুব সহজেই।মানুষ এগুলো দেখে নিজেদের মধ্যে সংকেত আদান প্রদানের জন্য শিস কাটতো।পাখিদের দেখাদেখি শিস কাটতে কাটতে তারা একসময় এখানেই সুরের ছোঁয়া পেলো। আর তখন থেকেই মানব সমাজে সুরের চর্চা শুরু হলো।এইসব শিস,মুখ দিয়ে বের করা অদ্ভুত শব্দ এসবকে তাহলে আমরা ইতিহাসের সবথেকে প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র বলতেই পারি।তবে সঙ্গীত সৃষ্টির জন্য দরকার সুবিন্যস্ত তাল।এই তাল সৃষ্টি করতে প্রথম বাদ্যযন্ত্র সৃষ্টি করা হলো ঢোল বা ঢাক।যা যোদ্ধাদের সুবিন্যস্ত রাখতেই মূলত ব্যাবহার করা হতো।তবে কোনো কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক মনে করেন মানুষের সৃষ্টি প্রথম বাদ্যযন্ত্র ছিলো পাখির হাড়ের তৈরি একধরনের বাঁশি।পাঁচটি ছিদ্রযুক্ত ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতির এই বাদ্যযন্ত্রটি ব্যবহার করা হতো ইউরোপে,আনুমানিক ৬৭০০০ বছর আগে। তবে মূলত সুর সৃষ্টির জন্য প্রথম বাদ্যযন্ত্রের খোঁজ মেলে প্রায় ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে,চিনে।এর প্রচলন ছিলো প্রায় ৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত।এটিও পাখির হাড়ের তৈরি একধরনের বাঁশি।তাহলে বলাই যায় সঙ্গীত চর্চা মূলত শুরু হয় ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে।তাই এই সময়কে বলা হয় সঙ্গীতের প্রাক-সাহিত্যিক যুগ।ওই সময় মূলত ঈশ্বরের প্রার্থনার জন্য সঙ্গীত ব্যাবহার করা হতো।হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রাচীন ওমমের পবিত্র মন্তব্যগুলোকে সঙ্গীতের অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও ওগুলো একধরনের অদ্ভুত সঙ্গীত বলে মনে হয়।তারপর এগুলো শুধু প্রার্থনার জন্য থাকলো না। তৎকালীন পন্ডিতরা এগুলোকে কবিতার ছন্দে চর্চা করতেন এবং বিভিন্ন সুর সংযোজন করতেন। আর ইতিহাসের সবচেয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রাচীন সঙ্গীত বলতে মূলত রণসঙ্গীতকে ধরা হয় যা যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে চর্চা করা হতো।
এই হচ্ছে মূলত সঙ্গীতের আগমনের ইতিহাস।
এখন দ্বিতীয় প্রশ্নে আসা যাক।
গান এবং সঙ্গীত কি এক বিষয়?
উত্তর হচ্ছে 'না'।গান সঙ্গীতের একটা অংশ মাত্র।
সঙ্গীত হচ্ছে মূলত তিন প্রকার
১.গীতি সঙ্গীত (বিভিন্ন ধরনের গান)
২.নৃত্য সঙ্গীত (বিভিন্ন ধরনের নাচ)
৩.যন্ত্র সঙ্গীত (বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সুর)
এই তিন ধরনের সঙ্গীতের মধ্যে গান 'গীতি সঙ্গীতের' মধ্যে পরে।
তাহলে গানকে সঙ্গীতের একটা টুকরো অংশ বলতেই পারি যা ছাড়া সঙ্গীত নিজেও অসম্পূর্ণ।