জুলাইয়ের বেলুন ফুটা হয়ে গেছে আগেই। একটা না, অসংখ্য ফুটা সেখানে। ক্রমাগত বাতাস বের হচ্ছে । কখনও কর্মসংস্থানের মূলা, বিচারের মূলা, কখনও গতিহীন সংস্কার , দিশাহীন সনদ, মুখে মুখে আওয়ামী-ভারত বিরোধিতা এইসব দিয়ে ফুটা বন্ধের চেষ্টাও চলতেছে থেমে থেমে। এতে কাজের কাজ কিছু হইতেছে না।
বাংলাদেশের মতো জন্ম থেকেই জনবিরোধী রাষ্ট্রের পাওয়ার হাউজ গুলা জানে—বিশাল এই বেকার জনগোষ্ঠীর দেশটাকে পেটে ভাতে বাঁচতে বাধ্য করতে গেলে জুজু দেখাইতে হবে।
এই জুজু আইন আদালতের জুজু না, এর চেয়েও বেশি কিছু। যেমন জঙ্গি বাহিনী, গুম, খুন, হারুনের ভাতের হোটেল…গত বছর জুলাই আগস্টে অনেক রক্তের বিনিময়ে আমজনতা এই ভয় জয় করেছিল। এই জয়ে পাওয়ার হাউজের মুখোশের বড় একটা টুকরা খসে গেছে।
তো এই শোষণ যন্ত্র নির্বিঘ্নে চালানোর জন্যে টুকরাটা পুনরুদ্ধার করা জরুরি। এই জন্য ৫ আগস্টের পর থেকেই একের পর এক জুজু আমদানি করতেছে তারা। মাজার ভাঙা, শাতিম কোপানো, চাঁদাবাজি, প্রকাশ্যে নৃশংসতা এইসবই ওই জুজুর অংশ।
নির্বাচনকামী নেতারা যতই বলুক নির্বাচন হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে ব্যাপারটা মোটেই সেরকম না। নির্বাচন হয়ে গেলে র্যাব, পুলিশ, ডিজিএফআই এরাও পুরোদমে ভয় উৎপাদন কারখানায় যোগ দিবে। সুতরাং অবস্থা আরও খারাপই হওয়ার কথা—নির্বাচন যখনই হোক না কেন। আর একবার মানুষ নৃশংসতায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, ভয়কে স্বাভাবিক ধরে নিলেই আবার ১৫ বছর, হয়তো তার চেয়েও বেশি সময়, তার চেয়েও লম্বা নিখোঁজ তালিকা, তার চেয়েও বড় লাশের মিছিল…..