রকেট এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে নীলান্জনা।
দ্রুত গতির ট্রেন। গাড়ি টান দিচ্ছে। নীলান্জনা জানালার পাশ দিয়ে মাথা বেড় করে সে শহরের উঁচু টাওয়ারের ক্লিনিকেট দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ক্রমে ট্রেন সরে না ওই বিল্ডিং সরে যাচ্ছ বোঝেনা নীলান্জনা।
গাড়ির গতি বেড়ে গেল।
ও ভাবে হিমু হয়তো আমার উপরে অভিমান করে আজ নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাছে।
--- টিকিট?
--- এই নেন। নীলান্জনা ব্যাগ থেকে টিকিএ বেড় করে লোকটির হাতে দেয়। সে কলম দিয়ে খোঁচা মেরে সই করে নীলান্জনার হাতে দিলো। খুব অসহায় দোষী ভাবছে নিজেকে নীলান্জনা। কি দিয়ে কি যে হয়ে গেল হিমাদ্রীর সাথে বুঝে উঠার আগে দুইটি মন আলাদা হয়ে গেল। ওসব মনে করতে চায় না। নীলান্জনার মরুভূমির মনে যদি এই মূহুর্তে সেই আগের মতো হিমু এসে বলতো
--- জানো নীলা আজ রাতে ঘুমের ঘোরে তোমাকে স্বপ্ন দেখেছি। নীলাও বানিয়ে বলতো
--- তাই! আমি ও তাই দেখলাম। তুমি আমি নদীর কুল দিয়ে হাত ধরে হাটছি।
--- আর?
--- তোমাকে একটা গান গাইতে বললাম। তুমি বললে আমি তুমি গাও।
--- তখন আমি গলা ছেড়ে যেই, টান দিলাম ওওওও বন্ধু রে,,,,পাশ থেকে রুনা ধাক্কা মেরে ঘুম ভেঙে দিলো।