ইংল্যান্ড এর রানী এলিজাবেথ এর কথা আমারা সকলেই জানি। নাম না শুনলেও তার সৎ বোন মেরি অর্থাৎ ব্লাডি মেরি এর কথা সবার জানার কথা
রানী এলিজাবেথ এর জন্ম ১৫৩৩ সালে।তার পিতা ৮ম হেন্রি তাকে মেনে নিতে পারেন নি তার মতে ইংল্যান্ড ছেলেদের দারা পরিচালিত হতে পারবে ।
রাজা হেনরি অনেক কষ্টে এলিজাবেথ এর মাতা অ্যান বেলিম কে রানি করেছিলেন তাই তার আশা ছিল পুত্র সন্তানের। কিন্তু কে জানত ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে।।
১৫৪৭ সালে রাজা হেনরি মারা গেলে সিংহাশন এ বসেন ষষ্ঠ এডওয়ার্ড কিন্ত অষ্টম হেন্রি এর উইল্ অনুসারে উত্তর অধিকারির নাম ছিল এলিজাবেথ এর। কিন্ত ১৬ বছর হওয়ার আগেই ষষ্ঠ এডওয়ার্ড মারা যাই। তার পর ক্ষমতাই বসে এলিজাবেথ এর সৎ বোন মেরি বসেন সিংহাশনে
রানি মেরি এর শাসন কালে রাজ্যের অবস্থা অনেক করুণ হয়। ১৫৫৮ সালে রানি মেরি এর মৃত্যুর পর সমগ্র ইংল্যান্ড আনন্দে আর খুশির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠল। এই খুশি এলিজাবেথ এর সিংহাশনে বসের খুশি নয় বরং রানি মেরির মৃত্যু এর খবর তাদের খুশি করেছিল।
যে বছর রানি মেরি মারা গেল সেই বছর নভেম্বর মাসে এলিজাবেথ সিংহাসন এ বসে। লালচে সোনালি কোঁকড়ানো চুল,স্নান মুখ, তীক্ষ্ণ নীল চোখ দুধ সাদা লম্বা হাত সব মিলিয়ে তাকে সত্যিই রাজনন্দিনি লাগত,জানিয়ে অবশ্য তার অহংকার ও ছিল বেশ। ২৫ বছর বয়সে রানি হন এলিজাবেথ।
উইলিয়াম সেসিল ছিলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী এবং দিরঘ ৪০ বছর বিশস্ততার সঙ্গে রানির সেবা করে গেছে মৃত্যু অব্দি।এক ঐতিহাসিক লিখেছিলেন -"তিনি ছিলেন এমন একজন মহিলার অনুগত এবং উপযুক্ত এক কর্মচারী এমনই একজন মহিলার যার দান হাত কখন জানতে পারতনা তার বাম হাত কি করতে জাচ্ছে। ক্ষমতাই বসের পর প্রথম কয়েকটা বছর কেটে যায় প্রচণ্ড ব্যয়-সংকোচ করে ব্যপক হারে কর বসিয়ে তিনি দেশ কে ঋণ মুক্ত করলেন।
রানি এলিজাবেথ কখন বিয়ে করেননি । তাই তিনি তার মৃত্যু এর আগে উত্তরাধিকারী কে হবে তা ঠিক করে জান ১৬০৫ সালে তার মৃত্যু হয় তার পর স্থলাভিষিক্ত হন তার চাচাতো ভাই, স্কটল্যান্ডের জেমস ষষ্ঠ । তিনি ছিলেন টিউডর পরিবারের শেষ এবং দীর্ঘতম রাজত্বকারী রাজা । তাঁর ঘটনাবহুল রাজত্বকাল এবং ইতিহাস ও সংস্কৃতির উপর এর প্রভাব এলিজাবেথ যুগের নামকরণ করে ।