ক্লিনিকে শুয়ে এতোক্ষণ ঘুমোচ্ছিলো হিমাদ্রি। ঘুম ভেঙে গেল। নড়ে চড়ে আর মোড়া দিতেই মা ঠিক পেয়ে বেডের মাথার কাছে গিয়ে চাদর সরিয়ে দেয়।
-- বলে বাবা হিমু এখন কেমন লাগছে?
-- শরীর দূর্বল।
তখনই বাইরে থেকে রুমে আসে মিনু। হিমাদ্রি উটপ বসেছে। মিনু দাদার কাছে গিয়ে বলে
--- দাদা? তোর গালে দাগ কিসের?
--- মানে?
--- মানে জানিস না?
--- না তো। আমি তো ঘুমিয়েই ছিলি তোরা। এসব আমার কাছে জিজ্ঞেস করছিস কেন।
--- তাহলে শোন, আমি বাড়ি খাবার আনতে গেলাম। বাবা গেছে তোর ক্লিনিকের বিল পরিশোধের টাকা যোগার করতে। মা চোখে তন্দ্রা আসায় সোফায় বসে ঘুমিয়ে পড়ে।
আমি খাবার এনে তোর দিকে তাকাতেই দেখি তোর দুই চোয়ালে অনেক গুলো চুমু খাওয়ার দাগ।
--- হ্যাহ? কি বলছিস? বলে হিমাদ্রি গালে হাত দেয়। মিনু মোবাইল হিমাদ্রির মুখের সামনে ধরে দেখায়।
মিনু বলে
--- এই দেখ মেয়ে মানুষের ঠোটের লিপস্টিকের পরিস্কার গোলাপি ঠোঁটের ছাঁপ ফুটে আছে। হিমাদ্রি হাত দিয়ে চোয়ালের মুছে দেখে হ্যাঁ সত্যি তো। মিনু বলে
--- এবার বিশ্বাস হলো তো? আচ্ছা বড় দাদা বলতো কোন মেয়ে তোকে ভালবাসে? যা তুইও বলতে পারছিস না। ওই মেয়েও আমাদের পরিচয় দিতে পারছেনা। হিমাদ্রি অন্য জগতে প্রবেশ করে। মনে পড়ে কলেজে মাঝে মধ্যে চুমু খেতো।