সকাল আট টা বাজে। নাইমা আর সাইমা প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতালে যাবে বলে। নাইমা, সাইমাকে তাগাদা দেয়
-- কি রে, তোর হলো। ব্যাশিনে মুখ ধুচ্ছিল সাইমা। সেখান থেকেই মুখে পানি মারে আর বলে
--- এই হলো। বাইড়ে বেরুলো পাগলের মতো বেরোবো নাকি। নাইমা ব্যাগে কিছু টাকা ভরে বলে
--- যাচ্ছি রুগি দেখতে, আবার সাজুগুজু। যদি কোন হিরো বা প্রেমিক কে দেখতে যেতাম তাহলে না হয় বিউটি কুইন সেজে যেতাম।
-- যতোই হোক তবু মানুষের মধ্যে যাচ্ছি। উটকো ঝামেলা তো তুই করলি।
-- আমি করলাম মনে?
তুই করলিনা? নিজে দুই দিন ক্লিনিকে ভর্তি থেকে বাড়ি ফেরার সময় এক রোগীকে ধাক্কা দিয়ে আরো মরা মেরে খুনের দ্বায় নিলি। সাইমা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে থাকে। নাইমা বললো
--- আরে গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগতো না। লোকটা কি যেন ভাবছিলো আর হাটছিলো। আমি না হয় দেখিনি, ও তো খেয়াল করে চলবে। আসলে মানুষ এখন বিভিন্ন টেনশনে থাকে। তাই এমন ঘটনা ঘটে। দোষ পড়ে ভদ্রলোকের। সাইমা বললো আমার কি মনে হয় ছেলে টা ইয়াং চেহারাও সুন্দর। কোন মেয়ে ওকে ছ্যাকা দিছে। নাইমা রাগ করে বলে
---- তোর যগো উদ্ভট কথা।
---- উদ্ভট না, ছেলেটা চেহসরায় শাওনের ফেস আসে।
দুই জন কথা বলতে বলতে গাড়িতে ওঠে।