রাত তখন ১টা। রায়হান পড়াশোনা করছিল। হঠাৎ ঘরের কোণে রাখা পুরনো ঘড়ির কাঁটা নিজে থেকেই ঘুরে ১২টা বাজিয়ে থেমে গেল। রায়হান অবাক হয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল—ঘড়িটা তো অনেকদিন ধরেই বন্ধ!
হঠাৎ সে ঘড়ির কাঁচে ধোঁয়াটেভাবে একটি মুখ দেখতে পেল—কোনো এক নারীর মুখ, চোখদুটো বড় আর ফাঁকা।
রায়হান উঠে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই বাতি নিভে গেল। চারপাশ অন্ধকার, শুধু ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দ শোনা যাচ্ছে।
একটা ঠাণ্ডা বাতাস তার ঘাড়ে লাগল, আর এক নিমিষেই সে ঘরের দরজার কাছে পড়ে গেল। পরদিন সকালে তার বন্ধুরা এসে দেখে—রায়হান অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, আর সেই ভাঙ্গা ঘড়ির কাঁটা আবার বন্ধ হয়ে গেছে।