পর্ব ২: শেষ প্রতিশোধ
গল্পের সংক্ষিপ্ত পটভূমি:
মারুফের মৃত্যু নিয়ে গোটা দেশে জোর আলোচনা চলছে। সামাজিক মাধ্যমে “#কসাইডাক্তার” হ্যাশট্যাগ ভাইরাল।
সাংবাদিক শুভ এখন প্রাণের ভয়ে।
ড. শওকত করিম ও তার সিন্ডিকেট কঠোরভাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।
পর্ব ২ এর শুরু:
শুভের ওপর চাপ বাড়ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং কিছু অন্ধকার চক্র তাকে থামানোর জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করছে।
একদিন রাতে, শুভর বাসায় হঠাৎ একটা অজানা ফোন আসে—
“তুমি যদি না থামো, আমরা তোমার পরিবারকে টার্গেট করবো।”
কিন্তু শুভ হাল ছাড়ে না। তার পাশে দাঁড়ায় কিছু সচেতন নাগরিক ও কিছু অপরাধমুক্ত ডাক্তার।
কসাই ডাক্তারদের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট:
ড. শওকত করিম এক গোপন মিটিং করেন।
সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা পরিকল্পনা করে—
কিভাবে তারা মিডিয়া, হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ আর পুলিশের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে নিজেদের অপরাধ ঢাকবে।
একদিকে তারা শুভকে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র চালায়, অন্যদিকে হাসপাতালের পুরোনো দোষ ঢাকতে আরেকটি রোগীকে ইচ্ছাকৃত ভুল চিকিৎসায় মারার পরিকল্পনা।
আইনি লড়াই:
শুভ ও তার দল আদালতে মামলা করে।
তারা চায় হাসপাতাল ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই মামলায় ভুক্তভোগীরা সাক্ষ্য দেয়, মিডিয়া জোরালো প্রতিবেদন করে।
জনগণের তুমুল প্রতিবাদ:
দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
“#কসাইডাক্তার” আন্দোলন গড়ে ওঠে।
সরকার বাধ্য হয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে।
শেষ লড়াই ও প্রতিশোধ:
শুভের নেতৃত্বে পুলিশ এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ড. শওকত করিমসহ সিন্ডিকেটের মূল সদস্যরা গ্রেফতার হয়।
হাসপাতালে ওঠে বিশাল বদল।
সমাপ্তি:
ফারজানা ও মারুফের স্মৃতিতে একটি দাতব্য ক্লিনিক গড়ে ওঠে।
শুভ সাংবাদিকতায় নতুন অধ্যায় শুরু করে।
দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল হয়।