নীলান্জনার ফিরে আসা
অমল সরকার
ষষ্ঠদশ পর্ব
মা দেবীকা হিমাদ্রি কে হালকা কিছু কাবা দিলো। খেয়ে মুখ মুছতে মুছতে দেবীকা বলছে
-- এখন কেমন লাগছে বাবা।
--- ভালো লাগছে। জ্বর কমে গেছে।
--- আমার চিন্তা হচ্ছে তোর বাবা এখনো ফিরছেনা। এখানকার টাকা দিয়ে দিলে আমরা বাড়ি চলে যেতে পারতাম। পাশে দাঁড়ানো মিনু বললো
-- মা তুমিতো বলছো, টাকা তো মুখে বললেই যোগার হয়ে যায় না।
হিমাদ্রি অসহায়ের মতো মা বোনের মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। হিমাদ্রির চোখ মুখের দৃশ্য দেখে মা বোনের মাঝে করুনা জেগে ওঠে। দেবীকা বলে
--- বাবা হিমু তুই এসব নিয়ে ভাবিস না। তোর বাবা একটা ব্যাবস্থা করবেই।
কথা শেষ হতেই আসে বাবা নগেন্দ্রনাথ।
চোখে মুখে কষ্টের ছাঁপ ফুটে ওঠে। দেবীকা
জানতে চায়
--- কি? কোন ব্যবস্থা করতে পারলে?
কোন কথা নগেন্দ্রনাথের মুখ থেকে বেড় হলো। কেউ আর কোন কথা বললো না। রুমে যেন এক কষ্টের বিন বেজে উঠলো।
নগেন্দ্রনাথ নিজেই বললেন
--- কতো জনের কাছে গেলাম। কাজ হলো না। শেষ মেষ বাড়ির পাশের ওই যে এক বিঘা জমি আছে? ওই টা বিক্রি করলাম তাও টাকা। কাল দেবে। মুখের কথা মুখে থকতেই ক্লিনিকের নার্স এসে একটা জমা শ্লীপ নগেন্দ্রনাথের হাতে দিয়ে বললেন
-- আপনাদের বিল পরিশোধ।