এক ছিল এক রাজ্য। নাম তার শান্তনগর।
সেই রাজ্যে রাজা ও রানি সুখে শান্তিতে রাজত্ব করতেন।
তাদের একমাত্র কন্যা, রাজকুমারী লাবনী, ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও কোমল হৃদয়ের।
সে রাজ্যের সকল মানুষকে ভালোবাসত এবং চাইত সবাই সুখে থাকুক।
---
একদিন দূরের রাজ্য থেকে এক সাহসী রাজকুমার এল — তার নাম শুভ্র।
একদিন বনের ভেতরে শুভ্র দেখল, এক মেয়ে ফুল তুলছে।
সে জিজ্ঞাসা করল,
“তুমি এখানে একা কী করছো?”
লাবনী বলল,
“আমি আমার প্রজাদের জন্য ফুল নিচ্ছি।”
তাদের প্রথম দেখা সেখানেই। ধীরে ধীরে ভালোবাসা জন্ম নিলো।
কিন্তু সেই রাজ্যে বাস করত এক অন্ধকার জাদুকর।
সে লাবনীর হৃদয়ের জাদু চুরি করতে চাইত।
এক রাতে সে একটি জাদুকরী আয়না বানায়।
সেই আয়না থেকে এক আলো বের হয়ে লাবনীর হৃদয়ের ভেতরে প্রবেশ করে...
...আর এক মুহূর্তেই হৃদয় হারিয়ে যায়!
লাবনী কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আমার হৃদয় হারিয়ে গেছে!”
শুভ্র বলল,
“ভয় পেয়ো না, আমি খুঁজে বের করব।”
তারা পুরানো রাজকীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে এক মানচিত্র খুঁজে পেল,
যেখানে এক রহস্যময় অরণ্যের খোঁজ ছিল।
তারা যাত্রা শুরু করল।
ভয়ংকর অরণ্য, জাদুকরী ফাঁদ আর অদ্ভুত প্রাণী পেরিয়ে গেল।
অবশেষে তারা এক পুরোনো গুহার সামনে এসে দাঁড়াল।
গুহার দরজা খুলল এক মন্ত্রে।
"আলো আনো, অন্ধকার দূর করো,
দরজা খুলে দাও, রহস্য উন্মোচন করো।
হৃদয়ের পথে আলোকবর্তিকা জ্বালো,
সত্য ও ভালোবাসার পথ দেখাও।"
মন্ত্র পড়তেই সাথে সাথে গুহার দরজা খুলে গেল।
ভেতরে ঝলমলে আলোয় তারা দেখতে পেল – একটি পাত্রে লাবনীর হারানো হৃদয়।
শুভ্র সাহস করে হৃদয় উদ্ধার করল।
লাবনী তার হারানো হৃদয় ফিরে পেল।
রাজ্যে ফিরে সবাই আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠল।
রাজা ও রানি ঘোষণা করলেন:
“আজ থেকে রাজ্যে আর কোনো অন্ধকার থাকবে না!”