হিমু মনে মনে ভিষণ চিন্তা করে প্রায় দু লাখ টাকা! কে দিতে পারে এতো গুলো টাকা। কথাটা নিয়ে সবার মধ্যে একটা ধোঁয়াশা চলছিল। মিনু দাদা হিমাদ্রি কে জিজ্ঞেস করে
-- দাদা, বলতো তোর সাথে কি কোন মেয়ের সম্পর্ক আছে? যে গোপনে এতো বড়ো মহান কাজটা করলো?হিমাদ্রি কোন কথা বলতে চাইলোনা কারন, সেও জানেনা ঘটনা টা কিভাবে ঘটলো। বাবা নগেন্দ্রনাথ স্ত্রী দেবীকাকে প্রশ্ন করে
--- আচ্ছা, হিমুর মা, তুমিই বলো এতো বড় একটা বিপদ থেকে আমাদেরকে বাঁচালো অথচ আমরা তাকে জানতে চিনতে পারলাম না। ব্যপারটা কেমন সন্দেহ না? দেবীকা মাদূর্গার ভক্ত। সে বিপদে আপদে সব মা দূর্গাকে স্মরণ করে থাকেন। তিনি অনুমান করে বললেন
--- আমার মনে হয় সয়ং মা দূর্গা এসে আমাদের রক্ষা করলেন। তাছাড়া এতো বড় বিপদে কে পাশে দাঁড়ানোর আছে বলো?
--- তোমার কথাও সত্যি হতে পারে। মিনু কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ওর চেতনা অন্যখানে। মিনু ঘটনাটাতে কেমন যে একটা যোগ বা টান অথবা সূত্র দেখতে পাচ্ছে। মা বাবা? তোমরা যাই বলো কোন নারী আমাদের এই ঘটনার সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িত বা আমাদের কে করুনা করছেন, যা আমরা হয়তো এখন বুঝতে পারছিনা। এই কথার পরকেউ কোন কথাই বললোনা।