নাইমার মনের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। নিজের গাড়িতে ভালবাসার মানুষটি আঘাত করে এখন সে কি মনে করছে তা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে নাইমার। নিজেকে স্বার্থপর মনে হয়। যে নাইমার হাসপাতালের কথা শুনে সব ভুলে উল্কার মতো ছুটে আসতে চেয়েছিল সেই শাওনকেই নিজে,,
আর ভাবতে পারেনা নাইমা।
--- আপা, খেয়ে নে। অনেক রাত হয়েছে।
--- আমার খেতে ইচ্ছে করছে না সুমাইয়া। তুই খেয়ে শুয়ে পড়।
--- শোন,? রাত এখন বারোটা বাজে। এভাবে ভেবে ভেবে নিজের জীবন টা কে শেষ করার মানে বুদ্ধিমানের কাজ নয়। --আমি তো কোন কুল কিনারা করতে পারছিনা সাইমা।
-- সকাল হোক আমি তুই মিলে শাওনের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় যে যেখানে আছে খোঁজ নিয়ে একটা সলিউশনে পৌছানো যাবে তুই এখন খাবার খেয়ে শুয়ে পড়। আর হ্যাঁঁ, ঘুমের বড়ি খাবিনা। সাইমার কথা শুনে নাইমা খাবার খায়। শরৎচন্দ্রের দেবদাস বইটি সেল্ফ থেকে বেড় করে পড়ার চেষ্টা করে। নাইমা শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে নাইমার বই পড়তে দেখে বলে
--- শোয়ার আগে বই পড়লে ঘুম এসে যাবে। খেয়াল করে নাইমা এই বই পড়ছিস কেন। আইনস্টাইনের একটা বই এনে দেয় সাইমা। এখন তুই তোন প্রেমের বই ছুঁয়ে দেখবিনা।