জুন ফাইনাল আসতে এখনো পনের দিন বাকি। এখনি জিনিসপত্রের দামের উপর পাইকারি দোকানীরা অতিরিক্ত চাঁপ বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় নানা যুক্তি তর্ক শুরু করে দিয়েছে। সিগারেটের গাড়ী বলাই ষ্টোরের সামনে দাঁড়ায় গাড়ীর সেলসম্যান জানতে চায়
__ দাদা,কয় কার্টুন?
--- দুই কার্টুন দে।
--- কাল মাল দিতে পারবো কি না সন্দেহ। সামনে জুন ফাইনাল। বাজেটে কি হয় না, হয়। সিগারেট সাপ্লাই কম।
দোকানদা মহাজন ওকে ঈশারায় কাছে ডেকে কানে কানে,, বললো, প্যাকেটে এক টাকা করে বেশি দেবো তোর যা মাল হয় সব আমাকে দিয়ে যাবি। সে হ্যা্ঁ সুচক মাথা নেড়ে চলে গল। পরদিন ডিলার পাঁচ লক্ষ টাকার সিগারেট এক জন দিয়ে চলে গেল।
সে প্রতি প্যাকেটে দুই টাকা করে বেশিতে বিক্রি করতে লাগলো।
খুচরা দোকানদাররা দেখলেন, আগের দামে বেচেই সীমিত লাভ হতো এখন তো আর লাভ থাকবেনা। তারা প্রতি শলাকা সিগারেটে দুই টাকা বেশি নিতে শুরু করে দেয়। দেখা যায় একটি সিগারেটের দাম বারো টাকা কাস্টমার বিশ টাকা দিলে তাকে সাত টাকা ফিরত নিয়ে খুশি থাকতে হচ্ছে। দশ টার প্যাকেট সিগারেটের দাম ছিলো একশ পচাশি টাকা, এখন দুইশ ষাট টাকা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।