তোমার মুখ ছুঁয়ে থাকে আমার চিরদিন
তুমি যেন এসেছিলে
না এসেও রয়ে গেলে
ঝিলের জলে যেমন নামে সন্ধ্যার আলো
তেমনি নিঃশব্দে, তেমনি অগোচরে
তোমার চোখ আমার দিনগুলোতে ধূলি ছড়িয়ে দিল।
শালবনের পাতার ফাঁকে আজও হঠাৎ
তোমার নরম মুখটি ভেসে ওঠে
যেন বহুকাল আগেকার এক লাবণ্য ধরা দিচ্ছে
যা ছুঁয়ে দেখা যায় না
তবুও যার ছায়া বুকের ভেতর বয়ে চলে।
আমি হেঁটে যাই ধানক্ষেত, খড়ের গাদা পেরিয়ে
পেছনে কোথাও যেন পড়ে থাকে তোমার পায়ের শব্দ
তুমি নেই
তবুও বাতাসে তোমার গন্ধ
মাটির ভেতর, ঘাসের কোলে
তোমার নামে জেগে ওঠে পৃথিবীর একাকিত্ব।
রাত্রি নামে, গাছেরা ঘুমিয়ে পড়ে
আর আমি স্বপ্ন দেখি
তোমার অনুপস্থিত মুখ যেন এক পাখির মতো
আমার নিঃশব্দ বুকের উপর বসে থাকে।