১.সাকুরার আজ চাকরির প্রথম দিন।অফিসে বসে বসে সে চিন্তা করছে চাকরি তো হয়ে গেল, এবার আমার বাসার সকল কে আমার অফিসে এনে সার্পাইজ দিব।চিন্তা করতে করতে তার এক সহকর্মী( যার নাম ছিল লিয়া )তাকে বলল।
লিয়া: কেমন লাগছে সাকুরা।
সাকুরা:(মিষ্টি হেসে) অনেক ভালো।
লিয়া: সব কাজ গুছিয়ে নিতে পেরেছো তো।
সাকুরা: হ্যাঁ হ্যাঁ।
লিয়া: ভালো। চাকরি তো হয়ে গেল তাহলে কবে বিয়ে করবে?
সাকুরা:(মুচকি হেসে) আয়ানকে তো এখনো বলিনি যে আমার চাকরি হয়েছে।
লিয়া: কবে বলবে?
সাকুরা: শিঘ্রই।
আয়ান হলো সাকুরার প্রেমিক। তাদের রিলেশন এর বয়স প্রায় ৬ বছর। আয়ান সাকুরাকে বলেছিল, চাকরি হওয়ার পর বিয়ে করবে।
২. ছুটির দিন। কোন কাজ নেই দেখে সাকুরা চিন্তা করল সে একটু হাটতে বের হবে। রাত ১০ টা। রাস্তায় এখনো অনেক মানুষ রয়েছে। সাকুরা তার পছন্দের জুতাটা পরে বের হলো। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে সে আয়ানের কথা চিন্তা করতে লাগল। তাহলে খুব শিঘ্রই আমাদের বিয়ে হচ্ছে।এ কথা চিন্তা করেই মুখে লাজুক হাসি দেখা গেল সাকুরার। হাঁটতে হাঁটতে সাকুরা এসে পৌছালো এক রেস্টুরেন্ট এর সামনে। বাহিরে দাড়িয়ে সে রেস্টুরেন্ট টার সৌন্দর্য দেখে এতো ভাল লাগল যে, সে ভিতরে ঢুকতে বাধ্য হলো। ভিতরে প্রবেশ করে সে দেখল এক পাশে ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষকে দেখতে এসেছে। তারা মেয়েটিকে আংটি পড়িয়ে দিয়েছে। ছেলেটি বসা ছিল অন্য দিকে ঘুরে। কৌতুহল বশত: সে একটু সামনে দিতে দাঁড়ালো।
এটা কিভাবে সম্ভব? তার হবুবর আয়ান নাকি অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছে। এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে সাকুরা মাথা ঘুরে গেল। সে সেখানে পড়ে যেতেই একজন ওয়েটার তাকে ধরে বসে। আয়ানের চোখ তার দিকে পরে। সাথে সাথে সাকুরা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।
বাহিরে বের হয়ে কাঁদতে শুরু করল সাকুরা এক মুহুর্তে তার পৃথিবী যেন অন্ধকার হয়ে গেল।
(আজ এত টুকুই এই গল্পের পরের পর্ব খুব দ্রুতই আসবে ইনশাআল্লাহ।)