ছাত্রজীবনে GF-এর গুরুত্ব
ওমর ফারুক
ছাত্রজীবনে প্রেম, বিশেষ করে “জিএফ” বিষয়টি আমাদের সমাজে এখনও অনেকাংশে বিতর্কিত। কেউ একে সময় নষ্ট মনে করে, কেউ আবার মনে করে, এটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অভিজ্ঞতা। আমি এখানে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি—ছাত্রজীবনে একজন ভালো ও সঠিক “জিএফ” আসলেই কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে। পড়ালেখা, ক্লাস, টিউশন—সবকিছুর মাঝে একধরনের মানসিক ক্লান্তি জমছিল। পরিবার থেকে দূরে থাকা, নিজের ভেতরের যুদ্ধ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা—সব মিলিয়ে একসময় মনে হচ্ছিল, আর পারব না। ঠিক তখনই আমার জীবনে আসে রিমি। সহপাঠী, শান্ত স্বভাবের, কিন্তু অসম্ভব ইতিবাচক চিন্তাভাবনার এক মানুষ।
সে আমার গার্লফ্রেন্ড হলেও কখনোই সম্পর্কটা শুধু “ডেটিং” বা ঘোরাঘুরিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। সে আমাকে সময় ব্যবস্থাপনা শিখিয়েছে, কঠিন সময়ে পাশে থেকেছে, পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছে। এমনকি আমার জীবনের ছোট ছোট সাফল্যগুলোও উদযাপন করত যেন সেটা তার নিজের সাফল্য।
রিমির সবচেয়ে বড় অবদান ছিল—আমার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা। আমি যখন হতাশ হয়ে পড়তাম, ও বলত:
“তুই পড়ালেখার জন্য এত কষ্ট করিস, এটা বৃথা যেতে পারে না। আমি আছি তোর পাশে, শেষ পর্যন্ত।”
সেই সাহস, সেই আশ্বাস আজও আমার মনে গেঁথে আছে।
ছাত্রজীবনে সঠিক মানুষ পাশে থাকলে জীবন অনেক সহজ হয়। সে মানুষটি যদি একজন যত্নশীল ও প্রেরণাদানকারী গার্লফ্রেন্ড হয়, তবে তা আশীর্বাদ ছাড়া কিছু নয়। তবে হ্যাঁ, ভুল সম্পর্কও ডেকে আনতে পারে বিপর্যয়—তাই সম্পর্কের আগে বুঝে নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি।
আজ আমি পেছনে ফিরে তাকালে বুঝি, রিমির উপস্থিতি আমার ছাত্রজীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল।
ছাত্রজীবনে GF থাকাটা খারাপ না, যদি সম্পর্কটা সঠিক হয়, পারস্পরিক সম্মান ও উন্নতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।