Posts

গল্প

বীর বিচিত্র সেন ও রাক্ষসের প্রতিশোধ

July 22, 2025

Jihad hosain

130
View

এক সময় এক রাজা ছিলো,, তিনি প্রজাদের অত্যাচার করেন নি ,, সব সময় প্রজাদের নিয়ে ভাবতেন! তেনাম নাম ছিলেন বিচিত্র 
রাজ সভা চলা কালিন  হঠাৎ গুপ্ত চর খবর নিয়ে এলো,, 
গুপ্ত চর (রাঘব) ঃ মহারাজ অনেক বরো বিপদ 
বিচিত্র  ঃ  কি হয়েছে  রাঘব(গুপ্ত চর)
গুপ্ত চর ঃ হন্তদন্ত হয়ে  বললেন, মহারাজ  রাজ্যে এক রাক্ষস এসে তান্ডব শুরু করেছে,, 

তখনি প্রজারা   রাজ সভায় প্রবেশ করলেন এবং বললেন ,, মহারাজ আমাদের বাচান মহারাজ!  

বিচিত্র ঃ শান্ত হন সবাই শান্ত হন 

 প্রজা ঃ মহারাজ  আমাদের  বাচ্চাদের খেয়ে নিচ্ছে রাক্ষস টা

বিচিত্র  ঃ  আমি দেখছি 
 
সেনাপতি ঃ মহারাজ আমি সৈন্য নিয়ে জাবো?? 
 
বিচিত্র ঃ না সেনাপতি, তুমি   প্রজাদের পাশে থাকো, আমি জাবো রাক্ষস কে বদ করতে 

সেনাপতি ঃ কিন্তু মহারাজ

বিচিত্র ঃ আর কোন কিন্তু নয়  

মহারাজ বিচিত্র  একটা তলোয়ার,একটা ধনুক আর কিছু তির নিয়ে  রওনা দিলেন,,  রাক্ষস মহারাজ কে খেতে আসলেই,, মহারাজ এক ঋশির দেওয়া জাদুই তির নিক্ষেপ করেন রাক্ষসের দিকে,,
রাক্ষস পালাতে লাগলো,, 

বিচিত্র ( মহারাজ)  পিছু পিছু ঘোরা নিয়ে  ছুটলেন,, রাক্ষস কে বদ করার উদ্দেশ্যে,,   তিনি রাক্ষস কে বদ করতে সক্ষম হন ,, কিন্তু  দূর্ভাগ্য বশত  একটি তির , তপস্যা কৃত কিছু রশিদের দিকে জেতে লাগল,, 
ঋশিগন রাগান্বিত হয়ে গেলেন এবং বললেন,, 
ঋশিগন ঃ   তুমি শুধু যুদ্ধেই পারদর্শী প্রজাদের রক্ষা করতে নয়

বিচিত্র ঃ কি হয়েছে ঋশিবর?? 
আমি কি কোন ভুল করেছি?

ঋশিগন ঃ আমাদের চারপাশে রক্ষা বলাই না থাকলে আজ একজন মারা জেত!
আমরা তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি

বিচিত্র ঃ  ক্ষমা করবেন ঋশি বর

ঋশি গন ঃ আমাদের  অভিশাপ ফিরিয়ে নেওয়া জাবে না ,, তবে অভিশাপ বদলানো জাবে,,,  
রাজন তোমার পরের জন্মে এই রাক্ষস  আবার জন্ম গ্রহন করবে  এবং এই রাক্ষস কে তোমাকেই বদ করতে হবে,,, এবং তুমি  সাধারন মানুষ হয়েই জন্ম গ্রহন করবে!

বিচিত্র ঃ কিন্তু আমি ওকে বদ করবো কেমনে 
 
ঋশিগন ঃসঠিক সময় তোমার সব কিছু মনে পরে যাবে,, যখন তোমার বয়স একুশঁ বছর হবে,, তখন ও নিজেই তোমাকে খুজে নিবে!

         বেশ কিছু বছর পর

মহারাজ( বিচিত্র) প্রেমনাথ নামে গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে পুনর্জন্ম গ্রহন করে ,,  প্রেম নাথ (বিচিত্র ) বুঝমান হওয়ার পর থেকে সবার উপকার করে,,,  একদিন প্রেমনাথ রাস্তা দিয়ে হাঠছিলো , দেখতে পেলো একজন জমি চাষ করতেছে, তখন সে বলল!

প্রেম নাথ ( বিচিত্র) ঃ  কাকু ও কাকু , জমি চাষ করছো গরু কই


কাকু ঃ  গরু দুটা অসুস্থ তাই ওদের আনতে পারিনি,, চিকিৎসা করার মতোও টাকা নাই!  

প্রেম নাথ ঃ  তুমি  আমাদের  বাড়ি আসিও, তোমার গরুর চিকিৎসার সব টাকা আমি দিবো!  

             অন্য  একদিন

এক রাতে প্রচন্ড ঝর হয়ে এক বৃদ্ধার চালি ভেঙ্গে গেছে !  
বৃদ্ধা মন খারাপ করে বসে আছে, প্রেমনাথ এসে বলল

৷ প্রেমনাথ ঃ পিশি মা ও পিশি মা কি হয়েছে গো?? তোমার মন এত খারাপ কেন??

বৃদ্ধা ঃগতকাল রাতে ঝড় হয়ে ঘড়ের চালি ভেঙ্গে গেছে,,  ঠিক করার মতো টাকা নেই বাছা!  

প্রেম নাথ ঃ ও এই ব্যপার তুমি কোন চিন্তা করিও না  আমি লোক পাঠিয়ে দিবো এসে ঠিকি করে দিয়ে জাবে কিছু খন পর

বৃদ্ধা ঃ তোর মনটা  রাজার মতো মনে হয় তুই আগের জন্মে রাজা ছিলি
 

যদিন প্রেমনাথের বয়স একুশে পরে সেই,, দিন কিছু ঋশির থেকে আশীর্বাদ নিচ্ছিলো  প্রেম নাথ,  
ঋশিগন বলে জান  তোমার কাধে অনেক দ্বায়িত্ব  

  বিকাল বেলা গ্রামের মড়োল সহ বেশ কিছু লোক গল্প করছিলো
এই বছর ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে  আমাদের বারি এসো আমি ক্ষতি পুরন দিয়ে দিবো,, 
এমন সময় হঠাৎ , 
রাক্ষস টা গ্রামে বিচিত্র বিচিত্র বলে ডাকতে ডাকতে  ঘুরছিলো,,, 
   একজন ঋশি এসে প্রেম নাত কে বলল,, 


ঋশি ঃ বিচিত্র  এসো৷ সময় এসেছে রাক্ষস কে বদ করতে হবে 
 
মজিদ সাহেব ঃ না আমি জেতে দিবো না প্রেমনাথ কে

প্রমনাথ ঃ জদি আমি বদ করতে পারি করব,,চলুন ঋশি বর,! 
   কিন্তু আমি বাদ করবে কিভাবে???  

ঋশি ঃ  সোজা গিয়ে  বামে দশ পা হাঠলে একটা  শেওরা পরা তেতুল গাছ পাবা,, সেটার নিয়ে খুরলে কাপরে মোরানো একটা তিন ধনুক,, 
ওটা নিলেই তোমার সব মনে পরে জাবে

প্রমনাথ ঃ  ঋনি বর তো এই গাছটার কথাই বলছিলো ,, কোথায় কোথায়,, এইতো ,  আহ আ....হ 
আমার সব মনে পরে গেছে

 বিচিত্র ( প্রমনাথ)   রাক্ষস কে তারা করতে  করতে  একসময় ওর   তৃতীয় চোখে তীর নিক্ষেপ করে সাথে সাথেই রাক্ষস টা মারা জায় 
 

 গ্রামের সবাই তাকে অনেক শ্রদ্ধা করে,,

প্রেম নাথ ঃঋরি বর অনেক ধন্যবাদ আমাকে আমার দ্বায়িত্ব মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য 
 

ঋশি ঃ তোমার দ্বায়িত্ব শেষ এখন তুমি  সাধারণ ভাবে জিবন জাপন করো

 সেইদিন রাতে গ্রামে উৎসব হয় এবং সেখানে প্রমনাথকে( বিচিত্রকে) সবাই উপহার দেয়  

তারপর থেকে সব সময় প্রেম নাথ সবার সাথে ভালো ভাবে দিন কাটাতে থাকে 


                    সমাপ্ত

Comments

    Please login to post comment. Login