“ভুল চরিত্রে তুমি”
রাফির জীবন ছিল সাদামাটা — বই, গিটার, আর কিছু না বলা স্বপ্ন। হঠাৎ করেই তার জীবনে আসে তামান্না। কলেজের প্রথম ক্লাসে প্রথম দেখা। মিষ্টি হাসি, চোখে আলো, কথায় আগুন। রাফি ধীরে ধীরে তামান্নার প্রেমে পড়ে যায়।
তামান্নাও যেন কম যায় না। প্রতিদিন মেসেঞ্জারে রাত জেগে কথা, সকাল হলে শুভেচ্ছা বার্তা, “তোমাকে ছাড়া আমার কিছুই ভালো লাগে না রাফি।”
রাফির হৃদয়ে জায়গা করে নেয় সে — গভীরভাবে, বিশ্বাসের সঙ্গে।
দুজন মিলে একদিন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। রাফি বলেছিল,
“তুমি কি সত্যি আমায় ভালোবাসো?”
তামান্না চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিল,
“তোমার চোখে যদি আমি মিথ্যে দেখি, তখন বিশ্বাস করো — আমি মিথ্যা বলছি।”
রাফি বিশ্বাস করে। নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে মেয়েটার জন্য স্বপ্ন গড়তে থাকে।
কিন্তু হঠাৎ একদিন ফোন আসে তামান্নার কাছ থেকে —
“রাফি, আমি বিয়ে করছি।”
রাফি প্রথমে হাসে — ভাবে এটা মজা।
কিন্তু বুঝতে বেশি সময় লাগে না — এটা সত্যি।
তামান্নার বিয়ে ঠিক হয়েছে ঢাকার এক ধনী ব্যবসায়ীর ছেলের সাথে।
রাফি ভেঙে পড়ে। সে ভেবেছিল, তামান্না তার জীবন, তার ভবিষ্যত।
দিন কাটে দুঃখে, রাত কাটে অশ্রুতে।
তিন মাস পর, এক বন্ধুর মাধ্যমে রাফি জানতে পারে —
তামান্না কখনই তাকে ভালোবাসেনি।
সে শুধু সময় কাটাতে চেয়েছিল, "একটা অভিনয়ের চরিত্র" হিসেবে নিয়েছিল রাফিকে।
বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ ছিল — “দেখি তো, ছেলেটাকে কতদূর নিয়ে যেতে পারিস!”
রাফি তখন ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
নিজেকে আয়নায় দেখে বলে,
“আমি শুধু ভালোবাসিনি — আমি অভিনয়ে হার মেনেছি।”
গল্পের শেষে, রাফি আর কারো জন্য ভালোবাসা খোঁজে না।
তবে, সে একটা বই লিখে —
"ভুল চরিত্রে তুমি"
উৎসর্গ করে একলাইনে:
"ভালোবাসা যদি অভিনয় হয়, তবে আমি সবচেয়ে বড় দর্শক।"