রেমাল এর আগমন, প্রকান্ড তান্ডব, বিবাগী কোন যুবতীর বেশ ধরে এসেছে বুঝি!
মেঘমেদুর ভোররাত হতে সকাল গড়িয়ে কারেন্ট বিহীন
দুপুর, রুনুরুনু নুপুর বাজিয়ে ঝরাচ্ছে
সে তার বাদল-বর্ষা ধারা।
দুপুর, রুনুরুনু নুপুর বাজিয়ে ঝরাচ্ছে
সে তার বাদল-বর্ষা ধারা।
আলো আধারী কোন মায়াবী খেলায়
খেলছেন তিঁনি এ জগত বিশ্বে,
কোটি কোটি গ্যালাক্সির সমারোহে,
অন্তহীন ব্রহ্মাণ্ডলোকে
সে তো এক অসীম মহিমায়-
জড়িয়েছে এ পৃথিবী, অবাক স্তব্ধতায়
নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে হলো এসময়!
কতদিন যেন আছি অপেক্ষায়, এমন দিনের
বুকের পোড়া সব ক্ষতগুলো দগদগে এখনো
তারা চেয়ে আছে নিয়ে শুকনো দায়,
এমন ক্ষণে রেমাল নিয়ে এসেছে তার তীব্রতা
বর্ষণ, ধুয়ে দিয়ে যাক সেসব জমা দুঃখ!
যা পোষা আছে কয়েক দশক, মুছে দিয়ে
জমানো কষ্ট তার তীব্র আকর্ষণে
হাতছানি দেয় শরৎ সকাল,
আমার প্রিয় ঋতু বলে তো তাই-
নিজেকে খুঁজে পেতে চাই সে অন্যদুপুর,
নিস্তব্ধতায় মুখর হলেও কোন অন্যমুখে চাই পেতে
নিজের মুখ, কারন সে যে ভীষণ সুখের অসুখ!
(২৭.০৫.২০২৪)
বিকাল: ৪.২৫ ঘটিকা,
সেগুনবাগিচা, ঢাকা।