Posts

চিন্তা

এ যুগের রামমোহন ও লেখকের কর্তাসত্ত্বা

July 26, 2025

উম্মে রায়হানা

Original Author উম্মে রায়হানা

235
View

একটা কবিতা দিয়ে শুরু করি। কবিতার নাম ফ্রয়েডকে খোলা চিঠি। লিখেছেন মল্লিকা সেনগুপ্ত। মল্লিকা সেনগুপ্ত ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী নারীবাদী কবি ও লেখক, পড়াতেন সমাজবিজ্ঞান, ভারতের কলকাতা নগরীতে। তাঁর কবিতাটা এরকম-  

"ফ্রয়েডকে খোলা চিঠি"

মল্লিকা সেনগুপ্ত

পুরুষের দেহে এক বাড়তি প্রত্যঙ্গ

দিয়েছে শাশ্বত শক্তি, পৃথিবীর মালিকানা তাকে

ফ্রয়েডবাবুর মতে ওটি নেই বলে নারী হীনমন্য থাকে

পায়ের তলায় থেকে ঈর্ষা করে পৌরুষের প্রতি

প্রকৃতি সদয় নয়

পুরুষ সদয় নয়

সন্তান সদয় নয়

মেয়েদের প্রতি শুধু ফ্রয়েড সদয় !

এই দয়া কে চেয়েছে ! চিত্রাঙ্গদা ! জোন অব্ আর্ক !

সিমোন দ্য বোভোয়া না শ্যামল দ্রৌপদী !

"পেনিস-এনভি" বলে একটি শব্দ

পৃথিবীতে এনেছেন ফ্রয়েড সাহেব

ওই যে বাড়তি শুধু পুরুষের থাকে

ওই নাকি মেয়েদের কমতি বানায়

তাই তারা শিশুকালে টলমল করে

বালিকা বয়সে তাই শিবলিঙ্গ আকন্দে সাজায়

খেলাঘর ভরে ওঠে পুতুলে ও বাসনকোসনে

কারণ সে নাকি তার মায়ের প্রতিভূ |

অন্যদিকে রোহিতের জন্য থাকে শৌর্যপ্রস্তুতি

জংলাসবুজ উর্দি মার্কিন সেনারা তার ঘরে

ছোটায় মেশিনগান, ট্রা রা রা রা শব্দে সুগঠিত

হয়ে ওঠে পুরুষের আক্রমণ

শাণিত নখরে যদি গাল চিরে দেয়

দিদিমারা খুশি হয় বাড়তি বীরত্বে |

ওই যে বাড়তিটুকু শরীরের, ওই ছাড়পত্র

ওই তাকে পৃথিবীর মালিক বানাবে

রোহিত মালিক হবে কোন পৃথিবীর ?

যেখানে রোহিতা তার সহকারী ! অধম লিঙ্গ !

ছুটন্ত ঘোড়ার পিঠে খোলা তলোয়ার

বিশ্ববিজয়ে যাবে সম্রাট রোহিত

আর তাকে যুদ্ধ সাজ পরাবে তার মা বোন বউ

এই শুধু চেয়েছেন আপনি ফ্রয়েড !

উল্টোদিক থেকে যদি ঘোটকীর পিঠে কোনও নারী যোদ্ধা আসে

সে কী অস্ত্র ফেলে দেবে ভীষ্মের মতন -

"নারীর বিরুদ্ধে আমি অস্ত্র ধরবো না"

অর্থাৎ  নারীকে আমি দেব না অস্ত্রের অধিকার - 

এই লিঙ্গরাজনীতি আদি পুরুষের

ফ্রয়েড আপনি নিজে বাড়তির দলে বলে ধরেই নিলেন

মেয়েরা কমতি, তাই পুরুষের প্রতি তারা ঈর্ষাকাতর !

আমার শৈশবে কোনও লিঙ্গঈর্ষা কখনও ছিল না

আত্মপরিচয়ে আমি সম্পূর্ণ ছিলাম

আজও আমি দ্বিধাহীন সম্পূর্ণ মানুষী

তৃতীয়বিশ্বের এক স্পর্শকাতর কালো মেয়ে

আজ থেকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে

কে অধম কে উত্তম বাড়তি কে কমতি কোনটা-

এই কূট তর্কের মীমাংসা করবার ভার

আপনাকে কে দিয়েছে ফ্রয়েড সাহেব !

কবিতার একটা বড় শক্তি হচ্ছে একটা দশ বারো লাইনের কবিতায় সেই কথা বলা যায় যা গদ্যে বলতে হয়তো একটা হাজার বারো’শ শব্দের প্রবন্ধ প্রয়োজন হয়। যেমন এই কবিতাটা। নারীর এজেন্সি আর আইডেন্টিটি নিয়ে কি চমৎকার বিশ্লেষণ, কি ধারালো বক্তব্য! ফ্রয়েডের থিওরিকে প্রশ্ন করার কাজটা নারীবাদীরা উল্টো থিওরি দিয়ে করছেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু কবিতায় কেউ কি করেছেন? আমার জানা নেই। 

এই লেখাটা ফ্রয়েডের তত্ত্ব নিয়ে নয়, মল্লিকা সেনগুপ্তকে নিয়েও নয়। এমনকি সমাজ ও সভ্যতায় নিজের শরীর ও যৌনতা নিয়ে নারীর এজেন্সি বা কর্তাসত্ত্বা সম্পর্কেও নয়। বরং এমন একদল লোককে নিয়ে যাদের নিয়ে কথা হয় না, যাদের চিহ্নিত করা হয় না এবং যাদের কার্যকলাপের বিরোধিতাও কেউ করে না। কিন্তু আমি করবো। করবো কারণ আমি ভুক্তভোগী হয়েছি এবং পরবর্তীতে যেন কেউ ভুক্তভোগী না হয় সেটা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। 

ঘটনাটা এরকম – আমার বোন উম্মে ফারহানা এবং এক প্রিয় অনুজ আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির পৃথক ভাবে আমাকে অনুরোধ করলেন একটা পোর্টালে গল্প দিতে। তাঁদের দুইজনকেই আমি বিনয়ের সঙ্গে জানালাম, আমি গল্প লিখতে পারি না। দুই চারটা গল্প লিখেছি বটে কিন্তু সে সব এমন কিছু আহামরি লেখা হয়নি। কেউ বললেই চায়ের মগ হাতে ঘণ্টা দুয়েক ল্যাপটপের সামনে বসলে গল্প লেখা হয়ে যাবে তেমন দক্ষ আমি নই। 

আমি বললাম, কবিতা দিলে হয় না? কবিতার তো অভাব নেই আমার মনে আর ফোনে। তাঁরা বললেন, না, গল্পই লাগবে, এমনকি পুরানো গল্প হলেও চলবে। এই কথার পর আর তো না বলা চলে না। ল্যাপটপ ঘেঁটে বের করলাম একটা পুরানো গল্প। সেই গল্পও আর এক প্রিয় বড় ভাই অমিতাভ দেউরির অনুরোধে লিখেছিলাম। তিনি কমনওয়েলথ শর্ট স্টোরিজ কম্পিটিশনে গল্প পাঠাতে বলেছিলেন বলে লেখা হয়েছিলো। যেহেতু কমনওয়েলথের ওই প্রতিযোগিতায় গল্পটি নির্বাচিত হয়নি, কাজেই এখানে দেওয়া যেতেই পারে।  

তাঁদেরই কেউ একজন আমাকে ইমেইল ঠিকানা দিলেন, আমি গল্প পাঠিয়ে দিলাম। জানলাম পোর্টালের নাম শিরিষের ডালপালা। তারা দশকপূর্তি সংখ্যা করছে বড় করে, তাই অনেক লেখা প্রকাশিত হবে। 

যথাসময়ে সংখ্যা প্রকাশিত হলো। সংখ্যা দেখে আমি তো অবাক! দেখলাম দশকপূর্তি সংখ্যার নানা পর্ব রয়েছে। আমার লেখা গল্পটি প্রকাশিত হয়েছে ভাষানন্দিনী নামের একটি পর্বে যে পর্বে সকল লেখকই নারী। কবিতা দিলে কেন হবে না, গল্পই কেন লাগবে সেই রহস্য আমার কাছে এতক্ষণে পরিষ্কার হলো। যেহেতু নারী লেখকদের লেখা নিয়ে পর্ব সাজানো হয়েছে, ফলে সাহিত্যের সকল সেগমেন্ট রাখতে হয়েছে। হয়তো গল্প কম পড়ে গিয়েছিলো, সেই জন্যই পুরনো গল্প দিয়ে হলেও কোটা পূরণ করবার দরকার পড়েছে। 

সেটা কোনও বড় সমস্যা নয়। সাহিত্যের একটি পোর্টালের দশকপূর্তি সংখ্যায় এমন একটি পর্ব থাকতেই পারে। এই পর্বের ন্যয্যতা বা যৌক্তিকতা নিয়ে দীর্ঘ একটি সম্পাদকীয়ও জুড়ে দেওয়া হয়েছে শুরুতে। সেখান থেকে ছোট একটু অংশ হুবহু তুলে দিলাম এখানে- 

“শিরিষের ডালপালার দশকপূর্তি বিশেষ সংখ্যা কয়েকটি পর্বে ভাগ ক’রে প্রকাশিত হচ্ছে; দ্বিতীয় পর্বটিতে থাকছে ৩৩ জন কবির ১৬৫টি কবিতা, ১৮ জন কথাসাহিত্যিকের ১৮টি গল্প, একজন করে কবি ও কথাসাহিত্যিকের সাক্ষাৎকার— হ্যাঁ, এই কবি-লেখকদের প্রত্যেকেই লিঙ্গ বিবেচনায় নারী। আমাদের নারী কবি-সাহিত্যিকদের টেক্সট যে অনেকখানি এগিয়ে, তারই প্রমাণ বা চিহ্ন হিসাবে এত জনের লেখা একসঙ্গে রাখা একটা উদ্দেশ্য (আমরা আরও অনেকের কাছেই পৌঁছাতে পারিনি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা); আরেকটা কারণ শিরিষের দশকপূর্তির উৎসবকে পূর্ণতা দিতে সাহিত্যে নারীর অবদানকে শ্রদ্ধা জানানো।“ 

ওই দীর্ঘ ভূমিকাটি পড়লে যে কারোরই মনে হবে নারী সাহিত্যিকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের একটা নহর বয়ে যাচ্ছে, এত শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখে কারো কারো চোখে পানিও চলে আসতে পারে। কিন্তু পাঠক জেনে আশ্চর্য হবেন যে, ওই পোর্টালের সম্পাদক বা সম্পাদকীয় কমিটির কেউ আমাকে ঘুণাক্ষরেও জানাননি যে আমার লেখাটি ভাষানন্দিনী সংখ্যার জন্য চাওয়া হচ্ছে। 

কেউ জানতে চাইতে পারে নারী লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে আমার কোন আপত্তি আছে কিনা, বা থাকলে কেন আছে? তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, লৈঙ্গিক পরিচয় নিয়ে আমার কোন কুণ্ঠাবোধ নেই। আমার আপত্তি সম্পূর্ণ অন্য জায়গায়। তা হচ্ছে আমাকে কেন আগে জানানো হলো না এটা নারী লেখকদের সংখ্যা? নারী লেখকদের প্রতি এত শ্রদ্ধা এত সম্মান কোথায় গেলো? 

ধরা যাক ময়মনসিংহের কবি লেখকদের নিয়ে কোন একটা সংখ্যা তৈরি করবো আমি। সেখানে রাহাত খান, নাসরিন জাহান, তসলিমা নাসরিন এর মতন বিরাট লেখকদের সঙ্গে এক কাতারে নাম যাবে একজন চুনোপুঁটি লেখকেরও। তাই বলে কি আমি আমার বন্ধু আব্দুল্লাহ নাদভীর একটি লেখা তাকে না জিজ্ঞেস করেই সেখানে ছেপে দিতে পারি? এমন হতেই পারে নাদভীর ময়মনসিংহ নিয়ে কোন সমস্যা আছে, সে ময়মনসিংহের লোক বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে রাজিই নেই। 

পরবর্তীতে আমি ওই পোর্টালের সম্পাদক রুহুল মাহফুজ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই দীর্ঘ আবেগঘন সম্পাদকীয়টির প্রসঙ্গ তোলেন। আমি যখন জানাই যে ওই সম্পাদকীয় পড়বার পরই আমি ওই ঘেটোতে আমাকে ঢোকানোর আগে অনুমতি না চাওয়ার কৈফিয়ত চাইছি, তখন তিনি বলেন আমি চাইলে লেখাটি উইথড্র করতে পারি। 

না, লেখা আমি উইথড্র করিনি। তবে এই লেখা প্রকাশিত হলে ওই গল্পটি হয়তো উইথড্র হয়ে যাবে। এই রকমের ঘটনারও আমি ভুক্তভোগী। এর আগে দেয়াল নামের একটি পোর্টাল অনেক চেয়েচিন্তে আমার কাছ থেকে নন-ফিকশন লেখা নিয়ে প্রকাশ করে। ওই পোর্টালের সম্পাদকের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ার পর দেখি লেখাগুলো আর পোর্টালে নেই। 

এই ধরণের সাহিত্য পোর্টালের এখন স্বর্ণযুগ চলছে। এই সকল অনলাইন পোর্টাল সাহিত্য জগতের এক অভূতপূর্ব যুগের সূচনা করেছে বলেই ধারণা করি। আগের দিনের মতন বুড়ো বুড়ো সাহিত্য সম্পাদকদের কাছে ধর্না দিয়ে তাদের কাঁচির নিচে সমর্পণ করে লেখার অঙ্গহানি করে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বসে থেকে ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা দেখতে হচ্ছে না। সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুবান্ধব মিলেই চালানো যাচ্ছে। বন্ধুদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আরেকজন আমেরিকার নিউইয়র্কে অন্যজন বাংলাদেশের কুমিল্লায় থাকলেও কোন ঝামেলা নেই। 

কিন্তু ঝামেলাটা হয় অন্য জায়গায়। ঝামেলা তখনই হয় যখন এইসব সাহিত্যপ্রেমী লোকজন নিজেদের এ যুগের রাজা রামমোহন ঠাউরে বসেন। তাদের একটা ধারণা হয় যে নারীকে সাহিত্যিক হিসেবে তৈরি করে দেওয়ার মহান দায়িত্ব তাদের। সেই হিসেবে তারা যখন তখন যাকে তাকে নারী  লেখক ট্যাগ দিয়ে একটা ঘেটোতে ঢুকিয়ে দেন। 

এই এরাই আবার নারীরা নিজেরা মিলে কোন কাজ, তা সিনেমা হোক আর কবিতা, করতে চাইলে বলেন, শিল্প সাহিত্য কি কিটি পার্টি নাকি যে মেয়েরা মিলে করতে হবে? পুরুষদের কেন এক্সক্লুড করা হচ্ছে, পুরুষদের প্রতি কেন এত বিদ্বেষ? মোটের ওপর কথা হচ্ছে, নারীকে কোন রকম এজেন্সি দিতেই তারা রাজি নন, সকল প্রকার নিয়ন্ত্রণ তারা নিজেরা রাখতে চান। আমরা যেমন বাসায় পার্টি বা গেটটুগেদার হলে বাচ্চাদের একসাথে করে একটা ঘরে ঢুকিয়ে দিই আর একটু পর পর চেক করে আসি সব ঠিকঠাক আছে কিনা-  সেই রকম। এই আমরা বড়রাই কিন্তু আবার বাচ্চারা সেই ঘরের দরজা বন্ধ করলে বা বাতি নেভালে মানা করতে থাকি, নিরাপত্তার কথা তুলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে থাকি- অবিকল সেই রকম।   

আমার বোন উম্মে ফারহানা এই ধরণের একটি পোর্টালে তাঁর আত্মজৈবনিক একটি উপন্যাস অনেকদিন ধরে লিখেছিলেন। কথা ছিলো লেখা শেষ হলে বই আকারে ছাপা হবে। বলা বাহুল্য নয়, এর মধ্যে আমার বোন অন্য বই লিখে একটি  সম্মানজনক সাহিত্য পুরষ্কারও জিতে নিয়েছেন। কিন্তু লৌহিত্যের ধারে নামের ওই চমৎকার উপন্যাসটি আর বই আকারে ছাপা হয়নি। 

ওই প্রজেক্টটাই নারীর ভয়েস তুলে ধরার মহান ব্রত নিয়ে শুরু হয়েছিলো। সাহিত্য বা সাম্প্রতিক নামের সেই সব পোর্টালের সম্পাদক ব্রাত্য রাইসু আমার কাছেও লেখা চেয়েছিলেন। আমি তাকে লেখা দিইনি। এমন নয় উনি সম্পাদক হিসেবে খারাপ বা তার সঙ্গে কাজ করতে আমার কোন সমস্যা আছে। কিন্তু ওই যে নারীর ভয়েস তুলে ধরা, নারীকে সাহিত্যিক হিসেবে তৈরি করে দেওয়া, আপহোল্ড করা এই এপ্রোচটা নিয়ে আমার সমস্যা আছে। 

কোন পুরুষ সম্পাদকের নারী সাহিত্যিক তৈরির কারখানায় র মেটিরিয়াল হতে আমি রাজি নই। 

পরিশেষে এইটুকু বলতে চাই, এটা বিদ্যাসাগর-রামমোহনের যুগ নয়। দয়া করে নারীর শিল্প সাহিত্য তুলে ধরার নাম করে প্রকৃতপ্রস্তাবে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা করবেন না। মানছি, নারীবাদের বাজার খুব ভালো। নারীবাদী লেখকদের থেকে কোট করে কথাবার্তা বললে বেশ একটু কুল লাগে, প্রগতিশীল সাহিত্য সংস্কৃতি সমাবেশে কল্কে পাওয়া যায়। সুন্দরী শিক্ষিত মেধাবী নারীদের বান্ধবী, প্রেমিকা এমনকি স্ত্রী হিসেবেও পাওয়া যায়। সেই সকল বিয়ে ভেঙ্গে গেলেও, তুমি না নারীবাদী? – এই কথা বলে দেনমোহরের লাখ লাখ টাকা বাঁচিয়েও ফেলা যায়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই ফাঁদে সকলে পা দেয় না আর কপটতা খুব বেশিদিন লুকিয়ে রাখাও যায় না। ময়ূরের পালক পরলেও কাক কাকই থাকে, ময়ূর হয়ে যায় না। 

     

Comments

    Please login to post comment. Login