পোস্টস

চিন্তা

ব্রাত্য রাইসুর মানুষ না চেনা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কৃপাসিন্ধু পাল জয়

মূল লেখক কৃপাসিন্ধু পাল জয়

ব্রাত্য রাইসু।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আমরা হয়তো অনেকেই এই মানুষটার নাম শুনেছি।অনেকে হয়তো ফেসবুকে উনাকে ফলোও করে থাকেন।সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে থাকে লেখা পোস্ট করতে দেখা যায় সবসময়।প্রায় প্রতিটি ইস্যুতেই তার স্ট্যাটাস থাকে এক দুইটা করে।
দুই হাজার বাইশ সালে যখন জেমস ওয়েব মহাবিশ্বের অনেক পুরনো এক সময়ের ছবি নাসার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল তখন রাইসু এই বিষয়টা যেন কী সেটা বুঝতে পারেননি এইরকম ভাব নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট করেন।শিবরাম চক্রবর্তীর হাস্যরসকে যেমন শিব্রামীয় বলা হয় এইটাকে তেমনি রাইসুর হিউমার মনে করা যায়।
তবে আমার আজকের লেখার কারণ রাইসুর হিউমার নিয়ে না।আরেকটা বিষয় নিয়ে।
যখন কোনো বিখ্যাত মানুষ মারা যান বা কোনো বড় কিছু হয় তখন রাইসু ফেসবুকে লিখেন তিনি সেই মানুষকে চিনেন না।যেমন,দুই হাজার বাইশে বিখ্যাত অজি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন এর মৃত্যুর পর এবং কিছুদিন আগে বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুর পর তিনি তাদের চেনেন না বলে ফেসবুকে লিখেন।
কিছু মানুষ এইটা নিয়ে তর্কে মেতে উঠে।তারা মনে করে ব্রাত্য রাইসু সম্ভবত একজন অ্যাটেনশন সিকার।যিনি মানুষের অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য বিখ্যাতদের না চেনার নাটক করেন।
এইখানে এসে বলা যায়,এই চেনাটা কী?আর না চেনাটাই বা কী?
সাধারণত আমরা চেনা বলতে যা বুঝি(বিশেষ করে রাইসুর ক্ষেত্রে) সেটা হইলো মানুষকে জানা।আমরা যখন কোনো মানুষের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানি বা তার কাজ সম্পর্কে কিছু আইডিয়া থাকে তখন  আমরা মনে করি আমাদের বোধ করি সেই মানুষটাকে চেনা হয়ে গেছে।
ব্রাত্য রাইসুকে নিয়ে মানুষের ভুল এই জায়গায়।উনি কোনো লেখায় উল্লেখ করেন না যে তিনি সমরেশ মজুমদার বা শেন ওয়ার্ন সম্পর্কে কিছু জানেন না বরং তার কথাটা থাকে তিনি চিনেন না।
আমরা এই চেনা আর জানাকে গুলিয়ে ফেলি।আমরা কিছু জানলেই মনে করে বসি আমাদের সেই মানুষটাকে চেনা হয়ে গেল।এইটাই কী আসলে সত্যিকারের চেনা?
একজন মানুষ সম্পর্কে অনেক পরিমাণে তথ্য জানলেই আপনার তাকে চেনা হয়ে যায় না।হয়তো একজন মানুষ সম্পর্কে আপনার কিছু ধারণার জন্ম হইতে পারে কিন্তু চেনা হয় না।
অনেকেই বলে থাকেন,মানুষকে কখনো চেনা যায় না।
রাইসু নিজের জায়গায় ঠিক থেকে জানাকে চেনা বলেন না কখনো।মানুষ মনে করে বসে উল্টাটা।