পর্ব- ২ দাদুর পুরনো ডায়েরি”
জামানের নিখোঁজ হওয়ার পর কাঁঠালপুর গ্রামটা যেন এক অদৃশ্য ছায়ার নিচে ঢাকা পড়ে যায়। কারও মুখে হাসি নেই, সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে কেউ বের হয় না।
জামানের ছোট ভাই, ফাহিম, ছিল খুব সাহসী আর কৌতূহলী। সে বিশ্বাস করতে পারছিল না, যে তার ভাই হঠাৎ বনে গিয়ে হারিয়ে যাবে। সে ঠিক করল, সত্যি উদঘাটন করবেই।
একদিন সে দাদুর পুরনো আলমারি খুলতে গিয়ে একটা ছেঁড়া ডায়েরি পায়। সেই ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা ছিল—
“ডাইনি একজনা মানুষ, যে প্রতিশোধ নিতে চায়… আর তার শক্তি চাঁদের আলোয় জাগ্রত হয়।”
ডায়েরির পেছনের পাতায় একটা ম্যাপ ছিল, যেখানে ডাইনি বনের মাঝখানে লাল কালি দিয়ে এক জায়গা গোল করে চিহ্নিত করা। সেখানে লেখা —
“মাটি কাঁপবে, দেহ উঠবে, আর সত্যি প্রকাশ পাবে”
ফাহিম সেই ম্যাপ নিয়ে পরদিন রাতে বনের দিকে রওনা দেয়। এক হাতে মশাল, অন্য হাতে ডায়েরি। বুকের ভেতর ভয়, কিন্তু চোখে আগুন।
বনের মাঝখানে পৌঁছেই সে দেখে চারদিক কুয়াশা—একটা গাছের নিচে কবরের মতো মাটি, এক পাশে ছেঁড়া জামা… সেটা জামানের!
হঠাৎ আকাশে চাঁদ ফুটতেই চারপাশ কেঁপে উঠল। সেই সময় গাছের আড়াল থেকে আবার সেই ছায়া বেরিয়ে এল। এইবার ফাহিম ভয় পেল না—সে ডায়েরির পাতা খুলে জোরে পড়ে উঠল:
“তুমি এক সময় মা ছিলে, প্রেম ছিল, কিন্তু প্রতিশোধ তোমায় অমানুষ করেছে। ফিরে যাও, মুক্ত হও!”
ছায়াটা কিছুক্ষণ নড়ল না… তারপর কেঁদে উঠল। তারপর ধীরে ধীরে গলে গিয়ে মাটিতে মিশে গেল।
আলো ফুটল… আর জামান, ঠিক তার পাশে, মাটির ওপর অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে!
শেষ (পর্ব ২)
জামান বেঁচে ফিরে এলো, কিন্তু তার চোখে এখনো সেই রাতের ভয়। আর ফাহিম? সে হয়ে উঠল গ্রামের রহস্য উদ্ধারকারী!