রাত তখন প্রায় ১টা। রায়হান তার গ্রামের পুরনো দাদাবাড়িতে ফিরেছে বহু বছর পর। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই শান্ত গ্রামটি তাকে অনেকটা শান্তি দিচ্ছিল, তবে পুরনো বাড়িটা যেন আজ অদ্ভুত রকমের চুপচাপ।
ঘরে ঢোকার পরই সে খেয়াল করলো দেয়ালে টাঙানো ঘড়িটা চলছে না, সময় থেমে আছে ১২:৪৫-এ। হঠাৎ জানালার কাচে একটা ছায়া ভেসে উঠলো। কেঁপে উঠল রায়হান। “হাওয়া হবে,” নিজেকে বোঝালো সে।
রাত গড়াচ্ছিল। হঠাৎ দরজায় টোকা পড়ল। কেউ কি এত রাতে আসতে পারে? সাহস করে দরজা খুলে বাইরে তাকালো কেউ নেই। কিন্তু পেছনে ঘুরতেই দেখে, একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে বারান্দার কোণে! মুখ দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু চোখদুটো যেন আগুনের মতো জ্বলছে।
রায়হান চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বেরোল না। সে দৌড়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল। ঘরে ফেরার পরই সে দেখতে পেল, দেয়ালে একটা নতুন ছবি টাঙানো যেখানে ছায়ামূর্তিটাকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই ছবি তো তার আগে কখনো ছিল না!
পরদিন সকালে গ্রামের এক বৃদ্ধ বললেন, “এই ঘরে তোর দাদু মারা যাওয়ার আগে একটা কথা বলে গিয়েছিল ‘রাত ১২:৪৫-এ জানালার ছায়া দেখলে দরজা কখনো খোলবি না।’”
রায়হানের হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এলো। ঘড়িটা কেন যেন এখনও ১২:৪৫-এ থেমে আছে...
**শেষ।**
84
View