#ফাসি
#পর্বঃ৫
#লেখকঃশিহাবুজ্জামানশাওন
হঠাৎ শাওন দেখতে পায়।রাস্তার মাঝে কিছু লোকের ভীর।কি হইছে দেখার জন্য শাওন আর রাকিব রাস্তার মাঝে যায়,গিয়ে দেখে একটা লোক এক্সিডেন্টে করেছে,রক্ত দিয়ে রাস্তায় মাখামাখি,শাওন আর রাকিব বলে উনাকে একটু ধরেন আর একটা গাড়ি দার করান,ওনাকে হস্পিটালে নিতে হবে।সবায় ধরাধরি করে সেই লোকটাকে হস্পিটালে নিয়ে যায়। আর ওনার মোবাইল থেকে কোল লিস্টে ডটার নামে সেভ করা তাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার বাবা এক্সিডেন্ট করেছে ওনাকে সদর হস্পিটালে আনা হয়েছে, এই বলে ফোন কেটে দেয়। তারপর শাওন নিজের রক্ত দিয়ে লোকটিকে বাচায়।এরপর শাওন বাসায় এসে পরে।
তখন শাওনের আম্মু বলে কিরে এতোক্ষন কই ছিলি
শাওন ওপোরের সব কথা বলে,
আম্মুঃখুব ভাল কাজ করেসিছ।যা ফ্রেস হয়ে আয়।আর ডিনার করতে বস। আর তর আব্বু আসসে।
আমিঃআব্বু কখন আসসে?
আম্মুঃসন্ধায়।যা ফ্রেস হয়ে তর বাবার তর জন্য অপেক্ষা করছে।
শাওন হুম বলে চলে যায়
।। খাবার টেবিলে।
আব্বুঃআব্বু কেমন আছো??
আমিঃআলহামদুল্লিলাহ ভালো আব্বু।তুমি কেমন আছো?
আব্বুঃআলহামদুল্লিলাহ।তো তোমার পড়াশুনার কি খবর
আমিঃভালো আব্বু
এমন সময় আম্মু বলে দূর খাও তো বাপ বেটা গপ্পো জোরা দিছে।
তারপর সবাই ডিনার করে আরো কিছুক্ষন আড্ডা মেরে ঘুমাতে চলে গেলাম।।।
পরেরদিন খুব সকালে উঠে নামাজ পরে, আব্বুর সাথে হাটতে বের হলাম।রাস্তা হেটে বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করে।রাকিবকে ফোন দিলাম।বললাম কই তুই।
রাকিব বল্লো সে বাসায়।
আমি তখন বললাম কলেজে যামু বের হো
রাকিবঃওকে আমি আসসি।
অনেকদিন থেকে কলেজে যাওয়া হয় না।ভাবলাম আজকে একটু কলেজে যাই, আর আমার জান পাখিটাকে একটু দেখে আসি।পরে আমি আর রাকিব একসাথে কলেজে চলে গেলাম।
সবায় চেয়ে আছে।
আমি কোনো কিছু না বলে।চোপ করে সবার সামনের ছিটে বসে পরলাম।আমি আর রাকিব।।।
এমন সময় একটি মেয়ে আসে আমার সাথে কথা বলার জন্য।
মেয়েটিঃহাই।আমি তোমাদের কলেজে নতুন আ্যডমিট হয়েছি।
আমার নাম নাহিদা। তোমার নামটা কি জানতে পারি
আমিঃশাওন।
এই বলে শাওন আবার চোপ হয়ে যায়।
আর নাহিদার নামের মেয়েটা বকর বকর করতেই থাকে কিন্তু শাওন চোপ করে বসে থাকে।
আর ভাবে মাইশা এখনো আচ্ছে না কেনো।
স্যার চলে আসচ্ছে কিন্তু মাইশা আসচ্ছে না।মনটা খারাপ করে শাওন স্যারকে বলে ক্লাস থেকে চলে আসে,
সাথে সাথে রাকিবো ক্লাস থেকে বের হয়ে পরে।
আমিঃকিরে ক্লাস করা বাত দিয়ে বের হয়ে আসলি কেনো।
রাকিবঃদুর তুই ক্লাস করবি না একা একা কষ্ট পাবি আর আমি ক্লাস রুমে বসে বসে আংগুল চুষবো।
চল ঝিলের পারে হেটে আসি
আমিঃহুম চল
আমদের যেতে দেখে এমন সময় তানজিলা আমাদের সামনে আসে৷
তানজিলা ঃকিরে তরা ক্লাস করা বাত দিয়ে কয় যাস।আর রাকিব আমি যে তোমায় দেখা করতে বলেছিলাম দেখা করলে না কেনো
🤬🤬🤬🤬🤬
আমি রাকিবকে কানে কানে বললাম মামা তুমার রানী সেই খেপে আছে
যাউ তার রাগ ভাংগাউ।
আমি সামনে আছি তুই কথা শেষ করে আয়৷
রাকিব বল্লো আচ্ছা যা।
আমি এই বলে চলে আসলাম।
রাকিব, তানজিলা কথা বলছে।
,,
তানজিলা ঃকি হইছে দেখা করতে আসলে না কেনো।। নাকি অন্য কাউকে পাইছো যে আমায় এখন ভালো লাগে না৷
রাকিবঃআরে আজিব। আমার কথা বলতে দেউ না দিয়েই উলটা পালটা বলা শুরু করলা৷
তানজিলা ঃ আচ্ছা বল তুই কি বলবি?
রাকিব বলে আমি আর শাওন কাল তোমার সাথে দেখা করার জন্য বের হয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ দেখি রাস্তায় একটা লোখ এক্সিডেন্ট করেছে তারপর আমরা তাকে হস্পিটালে নিয়ে যায়। শাওন নিজের রক্ত দিয়ে লোকটিকে বাচায়।৷ এসব করতে করতেই কখন যে সন্ধে হয়ে গেছে যানি তার জন্যই যাওয়া হয় নাই৷৷
এখন বুঝছো। হুদাই আমারে এতোগুলা কথা শুনাইলা।।
তানজিলা ঃ srry bbu.. 🙏😭মাফ করে দেউ।
রাকিবঃIt's ok.
তানজিলাঃতোমরা এখন কোথায় যাউ।ক্লাসে যাবে না।
রাকিবঃনা,,,, যানোই তো সব কিছু শাওনের মনটা ভালো না তাই দেখি অরে নিয়ে একটু ঘুরে মনটা যদি ভালো করতে পারি।।।
তানজিলাঃ আমিও কি যেতে পারি তোমাদের সাথে।
রাকিবঃঅবশ্যই তাহলে চলো, দুজন মিলে যদি শাওনের মনটা ভালো করতে পারি।
তারপর শাওন রাকিব আর তানজিলা ঝিলের পারে গিয়ে অনেক্ষন ঘুরে আড্ডা মেরে বাসায় এসে পরে।।।।
শাওনের আম্মু শাওনকে বলে তুমি আজকেউ ক্লাস করো নাই৷ এভাবে আর কতোদিন।
কেনো এমন করছো।মাইশা ক্লাসে আসে নাই দেখে তুমিও ক্লাস করবে না।
মাইশার বাবা অসুস্থ তাই ক্লাসে আসে নাই ,।
এরপর যেনো আর ক্লাস মিছ না হয়।
কিছুদিন পর ফাইনাল এক্সাম, মন দিয়ে পড়াশুনা করো ,
আমিঃযি আম্মু
এই বলে শাওন তার রুমে এসে পরে।
শাওনের আব্বু বলে
কিছুই তো বুঝলাম না এই মাইশাটা আবার কে ।
ও ক্লাসে আসেনাই দেখে তোমার ছেলেউ ক্লাস করে নাই।
শাওনের আম্মু তখন সবকিছু খুলে বলে
তখন শাওনের আব্বু শাওনের আম্মুকে বলে।।
আমার এতো টাকা পইসা সব কার জন্য আমার একমাত্র ছেলের জন্য আর সাবিহার বিয়ে দিলেই চলে যাবে শুশুড় বাড়ি।
তো শাওনকে বলো সে যেনো ভালোভাবে পরিক্ষা দেয়।আমি অই মাইশার সাথেই তাকে বিয়ে দেবো।
শাওনের আম্মু এটা শুনে
তারপর শাওনকে সব বলে।
শাওন খুব খুশি হয়।
আর মন দিয়ে পড়াশুনা করে।
ক্লাসে গেলে মাইশার দিকে তাকাই না।
পড়াশোনা নিয়ে বিজি থাকে।
এখন ক্লাসের সবায় শাওনের সাথে ভালো ভাবে কথা বলে পড়াশোনা নিয়ে আড্ডা দেয়।আর এদিকে মাইশা এসব দেখছে আর রেগে যাচ্ছে।আর ভাবছে এটা কেমনে কি যে আমায় দেখলে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে কান ঝালাপালা করে দিতো। আর এখন পুরায় উলটা।
কিছু একটা করতে হবে।।ওরে তো আমি ভালো হতে দিবো না।।।
আর এইদিকে নাহিদা নামের সেই মেয়েটা শাওনকে মনে মনে অনেক ভালোবেসে ফেলে,
শাওনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
শাওন বুঝতে পারে যে নাহিদা তাকে ভালোবাসে।
কিন্ত শাওনের মনে একটাই চিন্তা তাকে ফাইনাল পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট পেতে হবে।।তাহলেই সে মাইশাকে নিজের করে পাবে।।
এভাবেই শাওন নিজেকে পরিবর্তন করে মাইশাকে পাবার আসায়।।।
।।
হঠাৎ কিছুদিন পর শাওন পরিক্ষার এডমিট নেওয়ার জন্য কলেজে যায়।৷ এটা তার আম্মুই আনতে পারতো কিন্তু শাওন ভাবছে কিছুদিন পর তো পরিক্ষা সবার সাথে একটু দেখা করে আসি।কারন সে আর কলেজে যাবে না বাসায় ভালোকরে পরবে।
এমন সময় নাহিদা তার কাছে আসে এসে তাকে প্রপোজ করে।।।
কিন্তু শাওন তাকে না করে দেয়,আর অনেক বুঝায় দেখো আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি তাকে ছাড়া আমি আর কাউকে ভালোবাসতে পারবোনা,দয়া করে আমায় মাফ করে দাউ আর আমায় ভুলে যাউ।তারপরেউ নাহিদা তাকে ছারে না ঝোর করে তাকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে চায়।
শাওন আর সজ্য করতে না পেরে ঠাসিয়ে একটা চর মেরে সেখান থেকে চলে আসে।। ।
নাহিদা গালে হাত দিয়ে বসে বসে কান্না করছে।৷ আর বলছে তুমি আমার না হলে আর কাউকে আমি তোমায় পেতে দেবো না৷
এখন শাওন পড়াশোনাই এতো বিজি থাকে যে,সময় মতো খাওয়া দাওয়াউ করে না তাই দেখে তার বোন সাবিহা তার কাছে এসে বলে।
সাবিহাঃকিরে ভাইয়া ভাবিকে পাওয়ার জন্য তুই খাওয়া দাওয়াউ ছেরে দিলি।হাইরে প্রেমিক।।
তুই তো লাইলি মজনু শিরি ফরহাদ কেউ হারা মানাবি
৷ এই বলে হাসতে থাকে।
শাওন বলে তুই যাবি নাকি
আমার হাতে মার খাবি কোনটা?
সাহস থাকলে মারতো দেখি
যেই না শাওন তাকে মারতে যাবে সাবিহা আম্মুউউউউউউউ বলে দে দৌড়।।।।
শাওন আবার পড়তে বসে।এমন সময় শাওনের আব্বু আসে আর বলে।
আব্বুঃবাবা এইবার উঠো ডিনার করবে।।।
আমিঃআব্বু আর একটু পড়ি।তারপর যাচ্ছি।
আব্বুঃনা অনেক পরেছো।যাউ ফ্রেসব হয়ে আসো ডিনার করবে।
আমিঃওকে আব্বু তুমি যাউ আমি আসচ্ছি।।।।।
চলবে...................
,,