নীলান্জনার বাড়ি। নীলুর মা বাবাকে বললো
-- এই শোন? আমার নীলার পরিক্ষা তো শেষ। ওর বিয়ের ভাবনাটা মাথায় নিতে হয়। নীলার বাবা ঘরের মধ্যে খাতা পত্র দেখছিলো। মুখ ঘুরিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলে
-- কেন? আমার মা নীলা কি কোন ঝামেলা করেছে?
-- কি যে বলো না। আমার নীলার মতো মেয়ে এই তল্লাটে নাই। ওর মতো ভদ্র প্রকৃতির সভ্য মেয়ে আর একটাও খুঁজে পাবেনা। হাতের খাতা ভাঁজ করে রেখে
-- দেখতে হবে না, মেয়ে টা কার?
কপালে চিন্তার ভাঁজ তুলে মা বললো
---মেয়ে বড় হলে বাবা মা,র মাথায় বিয়ের চিন্তা আসবেই। তুমি যা-ই বলো না কেন।
বাইড়ে থেকে ঘরে আসে নীলান্জনা। মা বাবার কথা শুনে ফিরে যাচ্ছিলো। বাবা ডাকে
-- নীলু মা শোন? নীলান্জনা কাছে গিয়ে বসে। বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় এতে বাবা ওর মা কে বলে
-- দেখ আমার মা বেঁচে থাকতে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতো। এখন আমার নীলু মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ওকে দেখলে আমার মা,র কথা মনে পড়ে যায়।
মা অভিমানের সুরে বললো
-- মেয়েকে বেশি আহ্লাদ দিয়োনা।
নীলান্জনা বাবার গলা জড়িয়ে ধরে মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলে
-- তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবোনা বাবা।