দেয়ালের ওপাশে
পর্ব ১
১. নতুন ঘর, অদ্ভুত দেয়াল
শতবছরের এক পুরনো বাড়ির নতুন ভাড়াটিয়া হয়ে এল রাতল। বাড়ির সামনে নিম এবং পিছনে জংলা। বাড়িটার প্রতিটি স্তর গুলো যেন কিছু বলতে চায়।
রাতুল: ঘরটা সস্তায় পেলাম, রুমগুলো বেশি বড় নয় মাঝারি তবে আলো বাতাসে ভরপুর কিন্তু একটা ব্যাপারে আটকে গেলাম — ঘরের মাঝের দেয়ালটা যেন না থাকলে আরো ভালো হতো। সে যাই হোক, সস্তায় এতো ভালো বাড়ি পাওয়া সোজা কথা নয়।
সারাদিন ফার্নিচারগুলো সেটআপ করার পর বিছানায় গা এলিয়ে দিল রাতুল।মাঝের দেয়ালটা যেটা ডাইনিংয়ের সাথে এটার্চ করা, সেটা রাতুলের রুম থেকে দেখা যায়। ঘুম চোখে দেয়ালটার দিকে তাকাতেই রক্তের মতো লাল লেখা কিছু খেয়াল করলো,তড়াৎ করে উঠেই লেখাটার কাছে গেলো।
রাতুল: আশ্চর্য লেখা কোথায়, কাছে যেতেই যেন উধাও হয়ে গেল। হ্যালুসিনেশন হবে, উফ্ ক্ষিদে লেগেছে তাড়াতাড়ি দু'টো খেয়ে শুয়ে পড়ি। [রাত তিনটা] হাসাহাসির শব্দে ঘুমাতে পারলাম না, যেন ঘরে উৎসব লেগেছে, ফাটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে সবাই। উঠে গিয়ে দরজা খুললাম, না সব ঠিকাছে, সবাই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। তাহলে আওয়াজটা আসছে কোথা থেকে? মনে হয় পাশের ফ্ল্যাট থেকে আওয়াজ আসছে, [রাগান্বিত] রাতের তিনটা বাজে সরাইখানা চলছে থামার কোনো নামিই নাই। মানুষ নাকি অন্য কিছু যত্তসব।
ঘড়ির কাটা ঘুরছে এদিকে উৎসবের আমেজ যেন আরো বেড়ে গেছে। সারারাত ঘুম না আসা রাতুলের ফজরের আযান দাওয়ার সাথে সাথে হঠাৎ সবকিছু নিশ্চুপ হয়ে গেল, যেন এই নিশ্চুবতা আবার ভয়ের সৃষ্টি হলো । দেরি না করে উঠে পড়লো।
— [নামাজ শেষে] না - - সকাল হতেই পাশের ফ্ল্যাটে যাবো , একদিন যেতে না যেতেই কি শুরু করলো তারা, বিষয়টা দেখতে হবে।