দুই দিন ধরে ফোনে খুব জ্বালিয়ে মারছে লোকটা নাম পরিচয় বলে না। শুধু রিং দিদি নীলান্জনা কে দিতে বলে। মনে মনে বুদ্ধি আঁটে মিনু এবার ওকে একটু হয়রানী করারই দরকার। ভাবতেই মোবাইল বেজে ওঠে। রিসিভড করে মিনু বলে
-- হ্যাঁলো কে বলছেন? অপর পান্তের কন্ঠে বলে
-- আমি কে পরে বলছি। তুমি কি রাজবাড়ী থেকে বলছো?
-- জ্বী, হ্যা এটা রাজবাড়ী। নীলান্জনা আছে?
-- না।নীলান্জনা মিনুর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। ওই লোকটা আবার বলে
-- তুমি মিথ্যা কথা বলছো।
-- আপনারও বোঝা উচিৎ পরিচয় গোপন রেখে এক টি মেয়ের সাথে কথা বলবেন আর সে আহ্লাদিত হয়ে আপনার সাথে কথা বলবে এটা ভাবলেন কি করে?
-- সরি, তুমি কে বলছিলে?
-- আমি?
-- হ্যাঁ?
-- আমার নাম(, একটু থেমে) শ্যামলি।
-- শ্যামলি মানে?
-- শ্যামলি মানে শ্যামলি?
-- নীলান্জনা তোমার কি হয়?
-- আমার, আমার দিদি।
তাহলে ভালোই হলো নীলান্জনা কে না পাই তার দিদিকে তো পেলাম। মিনু কোন কথা বলে না। ফোন কেটে দেয়। আবার রিং বেজে ওঠে। আবার কেটে দেয়।