রাজনৈতিক চাপে বাংলাদেশে গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে। সাংবাদিকতা সংকুচিত হয়েছে; কিন্তু দলবল নিয়ে গ্যাংস্টার স্টাইলে মিডিয়া হাউজ দখলের খবর এই প্রথম শুনলাম। তাও করল কারা? যারা দিনবদল ও সংস্কারের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে তারা!
জনকন্ঠ নানান দোষে জর্জরিত। তারা আ.লীগ সরকারের ফেভার নিয়ে অর্থ কামাই করেছে, কিন্তু স্টাফদের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে তাদের জীবন অনর্থে ভরিয়ে দিয়েছে। এর বিচার কী? আপনি সশব্দে মিছিল করতে করতে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন, বলতে পারেন, বিজ্ঞ আদালত আমাদের এইসব অভিযোগের আপনি সুরাহা করে দেন। তা না করে কী করলেন? নিজেরাই দখল করে নিজেরাই নিয়ন্ত্রক বনে গেলেন! এমন নিয়ন্ত্রণে আবার সব দল এক। গণমাধ্যমকে যদি পলিটিক্যাল পাওয়ার দিয়ে এইভাবে দখল করা যায় -ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নৈতিক বোধসম্পন্ন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর আশা করা যায়?
জনকন্ঠ পারবে এনসিপির বিরুদ্ধে একটা অনুসন্ধানমূলক নিউজ করতে? তেমনি নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টিভি ও সংগ্রাম জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কোনো নিউজ কখনো করেছে? দিনকাল বিএনপির বিরুদ্ধে খবর পরিবেশন করবে?
দলবল নিয়ে গিয়ে দখল এবং গায়ের জোরে আপন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করা -এইভাবে দেশের মিডিয়াকে গলাটিপে মেরে ফেলবার সব আয়োজন সম্পন্ন করছে নতুন পেশিশক্তি। যার ফল নিশ্চয়ই জাতিকে ভোগাবে।
আপনারা প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার দখল করতে চেয়েও -তা দখলে নিতে পারেন নাই; কারণ তারা আপন শক্তিতে বলিয়ান। আপনারা জনকন্ঠ কব্জা করতে পারলেন; কারণ দলের নির্যাস খাওয়া পরগাছার বাইরে নিজেকে উন্নীত করতে পারে নাই এই পত্রিকাটি। তো কী হবে ভবিষ্যতে? এনসিপির নির্যাস খেতে বাধ্য করা জনকন্ঠ কোনোদিনই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। যে না দাঁড়ায় তারে দিয়া আদৌ কিছু হয়? হয়েছে কখনো? এই অকেজোরে দিয়া কার কী উদ্ধার হবে?
লেখক: সাংবাদিক
৩ আগস্ট ২০২৫