Posts

গল্প

মুক্ত পাখি বন্দী খাঁচায়

August 4, 2025

Nizamul Hasan https://www.facebook.com/Readoy15

162
View

ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েছিল আব্দুল্লাহ। তিন দিন পর ঢাকা ফিরল আজ। আসার পর

 থেকে পুরো দিনটা বিশ্রাম করেই কাটিয়েছে  । সকালে মরিচ খুঁজতে পাঁচ তলা বিশিষ্ট বাসার ছাঁদটায়। সূর্যটা  তখন কিছুটা মাথার উপরে হেলে পড়েছে। ছাঁদের একপাশে খালি জায়গা অন্য পাশে হরেকরকম সবজির বাহার। এক সময় মরিচ আবদুল্লারও অনেক পছন্দ ছিল কিন্তু এখন একটু কম খায়। ছাঁদে মোটে তিনের মত মরিচ গাছ আছে। দুটো নীল মরিচের চারা আর একটি বোম্বে মরিচের। আবদুল্লাহ গাছে ফুল দেখল কিন্ত মরিচ দেখল না। হঠাৎ সে পিছনে দেখতে পেল একটি খয়রি রঙের কবুতর । কবুতরটি শান্ত ভাবে ছোট ছোট ইটের টুকরো খাচ্ছে। আবদুল্লাহ ভয়ও দেখাল কবুতরটি কে কিন্তু সে ভয় না পেয়ে দিব্যি খেতে থাকল। দুঃখের বিষয় হলো আবদুল্লাহ কবুতরটি কে ঢিল  ছুড়ল । কিন্তু কবুতরটি কোনো রকম প্রক্ষেপ করল না এদিকে শুধু অসহায় চোখে  তাকিয়েছিল। তাকে ধরার চেষ্টা করতেই সে উড়েও গেল। পরের দিন বাসায়ও পানির ট্যাংকি পরিস্কার করছিল আবদুল্লার পিতা। তাকে সাহায্য করছিল আবদুল্লাহ ও তার মা। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। ঠিক ওই দিন আবদুল্লাহ কবুতরটি আবার দেখল। বৃষ্টিতে ভিজে খাবার খুঁজছিল সেই পুরনো জায়গায়। একটু পর কবুতরটি আবদুল্লাদের মুরগী ও কবুতরের খাঁচার কাছে গেল এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা  খাবারগুলো খেতে লাগল। আবদুল্লাহ অনেকক্ষণ যাবৎ লক্ষ করছিল বিষয়টি। সে সুযোগের অপেক্ষাই   ছিল। কয়েক পলক তারপরই সুযোগটা এল। আবদুল্লাহও সুযোগ পেয়ে দেরি করল না আর। যখনই কবুতরটা খাঁচার সামনে গেল তখনই কাঠ আর টাইলসের টুকরো দিয়ে কবুতরটা কে বন্দী করল তারপর ঝটপট মাকে জানাল। ওদিকে পরিষ্কারের কাজও প্রায় শেষ। কবুতরটি দুইবার সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। কবুতরটি তখন মুরগীর খাঁচার উপর বসে ছিল। মা তৎক্ষনাৎ কবুতরটি কে খাঁচায় বন্দী করল। ক্ষনিক পরে কবুতরটি ছাড়া পেয়ে গেলেও এই ধরায় আর তার থাকা হয় না। ক্রমাগত বৃষ্টিতে ভিজে কবুতরটির নির্মম মৃত্যু হয়। 

Comments

    Please login to post comment. Login