আমি জানুয়ারী 2024 এ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করি । ছোটবেলা থেকে খুব ইচ্ছা ছিলো যে বড়ো হয়ে জব করবো । ইচ্ছা ছিলো যে সাময়িক বাহিনী তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে কেনো জানি এই ইচ্ছাগুলো নাই হয়ে যেতে লাগলো । এরপর আমি যখন হাই স্কুলে গেলাম তখনো মানুষ বলতো এসএসসি পাস কর চাকরি হয়ে যাবে ।এই কথা শুনলে কিযে ভালো লাগতো তখন । এই ভাবে দিন পার হয় এসএসসি শেষ হয় । পরীক্ষার রেজাল্ট দেয় আলহামদুল্লিহ রেজাল্ট ভালোই হয় । তখন আমার বাসা থেকে বলে আমাকে বাইরে গিয়ে লেখাপড়া করতে । আমার আব্বু আম্মু আমাকে অনেক ভালোবাসে । আর আব্বু আমাকে নিয়ে সব সময় টেনশন করে । আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালোই ছিলো তবে হটাৎ আমার আব্বু অসুস্থ হওয়াতে আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে যাই । হেল্প করার মতো কেউ ছিলো না পাশে । আসলে খারাপ সময় আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয় । তারপরও আমার আব্বুর আকাশ সমান স্বপ্ন । আমি যখন বাড়িতে ছিলাম তখন অনেক কাজ করতাম এমনকি অন্যের কাজও যে কতো করছি তার হিসাব নাই । আমার আব্বু আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চাইতো না তবে সংসারের অভাবের কারণে একটা সময় আর কিছু বলতো না । তারপরও আমাকে সে বাইরে লেখাপড়ার জন্য পাঠায় । আমি মেসে উঠলাম 2022 সালের মার্চ মাসে । আমি সেইবাড় প্রথম শহরে যাই । প্রথম দিন আব্বু গিয়ে রেখে আসলো । প্রথম দিন ভালোই গেলো বলে রাখা ভালো আমরা তিনজন গেছিলাম স্কুল ফ্রেন্ড । আমরা ছিলাম বিজ্ঞান বিভাগের তাই প্রাইভেট পড়তে হবে । খুঁজতে লাগলাম কার কাছে পড়া জায় । এরপর একটা ভাইয়ের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে হাজির হলাম প্রাইভেট । প্রাইভেটে গিয়ে ভেতরে বসলাম রসায়ান পড়াচ্ছিলো স্যার বসে বসে শুনছিলাম । ঐখানে শহরের পুলাপান ছিলো যারা কিনা এসএসসি শেষ. করেই প্রাইভেট পড়া শুরু করেছে । তখনি প্রথম জানলাম যে এইভাবেও পড়ালেখা করে মানুষ । আমার তাদের সাথে তাল মেলাতে কষ্ট হচ্ছিলো কারণ স্যার বলার আগেই ওরা বলে এয়ার অন্য কিছু পরান এইটা পারি । মাঝে মাঝে আমি বলতাম স্যার আমি পারি না আমাকে একটু বুঝায় দেন তখন সবাই হাসাহাসি করতো । এইভাবে আমি 4 টি প্রাইভেট পড়তাম । একমাস শেষ হলো মেস খরচ সাথে প্রাইভেট খরচ । প্রথম মাসেই আমি ডিপ্রেশনে চলে গেলাম । ভাবলাম আমার দাঁড়া কিছু হবে না । ভাবে নিলাম টিসি নিয়ে বাড়িতে চলে যাবো গিয়ে গ্রামের একটা কলেজ ভর্তি হবো । বাড়িতে বললাম কিন্তু আমার আব্বুর ইচ্ছা আমি বাইরেই পড়বো । মাঝে মাঝে আমি ফোন দিয়ে টাকা চাইতাম আব্বু দিত । আম্মু বলতো আব্বু টাকা কিভাবে নিয়ে আমাকে দেই ।ধার দেনা করে আমাকে টাকা দিত । আমার আব্বু কোনো কাজে করতে পারতো না । অমরদের কোনো ইকাম সোর্স ছিলো না শুধু খরচ এর খরচ ।অনেকবার চলে আসতে চাইছি তবে হয়ে উঠে নাই । এর মাঝে কেটে জায় কয়েক মাস । নেভিতে এপলাই করলাম মাঠে গেলাম বাদ । কিযে একটা চাপা কষ্ট আহ যখন আব্বু কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো কোথায় এখন ?? কি জবাব দিবো বলেন. বললাম বাদ পড়ছি চলে আসতেছি । আব্বু বললো সাবধানে চলে আয় । এরপর ভাবলাম যে ডিএহের বাইরে চলে যাবো । আম্মুর সাথে কথা বললাম এক প্রকার জোর করেই বললাম আমি দেশে ট্যাঁকবো না দেশের বাইরে যাবো । আম্মু প্রথমে রাজি হলো না আমি অনেক করে বুঝলাম তারপর রাজি হলো । কিন্তু আব্বু রাজি হলো না একটা জিনিস কি তখন. আমার মনে একটা জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছিলো টাকা লাগবে আর কিচ্ছু না । তারপর আবার একটা সেনা বাহিনীর মাঠ করলাম বাদ পরে গেলাম আবার মন খারাপ । ভেবে নিলাম এর কোনো মাঠে দরবো না চাকরি করবো না । এইভাবে গেলো ইন্টার পরীক্ষা শেষ. বাড়ি চলে আসাম । রেজাল্ট হলো রেজাল্ট ভালো হয় নাই । এর মাঝে পুলিশ এ আবেদন করলাম । মাঠে গেলাম চাকরি যে হবে বা করবো এমন কোনো আশা ছিলো না । ভাবছিলাম প্রথম দিন হয়তো বাদ দিয়ে দিবে । প্রথম দিন কেটে গেলো ভাবলাম দ্বিতীয় দিন বাদ দিবে এইভাবে তিনটা দিন কেটে গেলো । আমি ভাবলাম পরীক্ষায় আমি পাশ করে যাবো টেনশন করতাম না পরীক্ষা নিয়ে । এরপর রিটেন পরীক্ষার দিন প্রশ্ন পাওয়ার পর পরীক্ষা ভালো হলো । পরীক্ষা শেষে আব্বু জিজ্ঞাসা করলো কেমন হইছে পরীক্ষা বললাম যে হয়তো ভাইবা দেওয়া লাগবে । তারপর রেজাল্ট. যেদিন দিবে তার আগের দিন রাতে শুনলাম দুজন লোক আমার এলাকায় লোকজনের কাসে আমার বেপারে জিজ্ঞাসা করে গেছে । সকালে গেলাম পুলিশ লাইনে গিয়ে দেখি প্রায় লোক ফর্মাল পোশাকে এসেছে । আমি কি যে করি ভাবলাম চাকরি তাদের হবে আমি কি করতে আসছি ।।আসলে আমার কোনো ফর্মাল পোশাক ছিলো না । এইভাবে কিছু সময় পর রিল্ট দিলো । ভাইবা দিতে হবে ভাইবাতে কি হবে এ নিয়ে আমার অবস্থা খারাপ । তারপর গেঞ্জি পড়া এই ভাবেই গেলাম ভাইবা দিতে । আমার কেনো জানি মনে হলো যে প্রশ্ন গুলো আমাকে করলো আমার কাছে সহজ মনে হলো । ভাইবা দিয়ে আসে আরো টেনশনে পরে গেলাম ভাবলাম হয়তো আমাকে বাদ দিয়ে দিবে তাই হয়তো অনেকগুলো প্রশ্ন করছে । বসে থেকে থেকে দিন শেষ । বিকাল 5 টায় রেজাল্ট দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু রমজান মাস তাই সিদ্ধান্ত হলো ইফতারের পর রেজাল্ট দিবে । ইফতার করে আসে বসে আছি রেজাল্ট দেয় না । এরপর রাত 10 :25 ঘটিকায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে । আলহামদুল্লিহ❤️🤲
Comments
-
Shassue mllah 4 months ago
ধন্যবাদ ভুল গুলো দেখিয়ে দেবার জন্য । তাড়াহুড়ো করে লিখে পোস্ট করার আগে চেক করা হয় নাই ।
-
Kazi Eshita
4 months ago
বেশ কিছু বানান ভুল আছে, দেখে নেবেন। দুঃখের পর সুখ এসেছে জেনে ভালো লাগলো।