মিনু মনোযোগ দিয়ে পড়ছে। সামনে ফাইনাল পরিক্ষা পড়ায় ব্যস্ত। হিমুর মনে পড়ে যায় সে দিন মেলা থেকে ফিরে মিনু নীলান্জনার নাম বলেছিলো। তখন সবার সামনে লজ্জায় জিজ্ঞেস করতে চাইলেও করে নাই। এখন মনে পড়ে গেলো। তাই জিজ্ঞেস করে
-- নীলা? পড়া বন্ধ রেখে মিনু উত্তরে বলে
-- কি দাদা?
-- ওই যে মেলায় তোকে অনেক গুলো জিনিস পাতি কিনে দিয়েছিলো ওই মেয়েটির নাম কি যেন বলছিলি?
-- ও, ওই মেয়ের নান-- নাম। নাম হলো দাঁড়া দাদা মনে করে নিই।
-- তুই কিরে দুই দিন আগের কথা মনে থাকেনা। পরিক্ষায় কি করবি ভগবান জানে।
-- দাদা তুই আগে বলতো তুই কেন নীলান্জনার নাম শুনতে চাস বলতো? এবার মনে পড়েছে ওই মেয়ের নাম নীলান্জনা। দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়ে হিমু বলে
-- কি ভাবে জানলি জিজ্ঞেস করছিস?
-- আরে না?
-- ওর ভাই এসে ডাকছিলো এই নামে তাই শুনেছি। আচ্ছা দাদা তুই এই নামটা কেন মনে রেখেছিস বলতো? তুই কি ওকে চিনিস। পছন্দ হয়? আমার কিন্তু ভিষন পছন্দ। যে লম্বায় তেমন গায়ের রং আবার চেহারাও দেবী দূর্গার মতো। কেন বিয়ে করতে চাইছিস নাকি। ভালোই মানাবে তোর সাথে। হিমু মনে মনে খুশি হয়ে হিমুর পিঠে থাপ্পর মারে।